সিলেট জেলা ছাত্র জমিয়তের কাউন্সিল সম্পন্ন

বাংলার মাঠিতে ইসলাম বিদ্বেষীকোন আইন মেনে নেওয়া হবেনা
…..মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক

24.4জমিয়তে  উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর হেফাজতে ইসলামের নেতা শায়খুল হাদীস মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক বলেছেন, জমিয়ত বাংলাদেশের স্বাধনিতা সার্বভৌমত্বে বিশ্বাসী হক্কানী উলামায়ে কেরামের নেতৃত্বাধীন একটি র্নিভর যোগ্য কাফেলা। যুগে যুগে দেশ ও জাতির কল্যানে জমিয়ত অবদান রেখেছে। বৃটিশ বিরোধী আন্দোলন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ও আমাদের উলামায়ে কেরামের সীমাহীন অবদান ছিলো। পাকবাহীনীর হাত থেকে নিরিহ জনগণকে রক্ষায় আমাদের আলেমগনই সর্বাপ্রেক্ষা বেশী ভূমিকা রেখেছেন। তিনি বলেন, এই দেশের মাটি ও মানুষের হৃদয়ের সাথে ইসলাম সম্পৃক্ত। তাই বাংলার মাঠিতে ইসলাম বিদ্বেষী কোন আইন মেনে নেওয়া হবেনা। প্রয়োজনে জানমাল কোরবান করতে হবে। আমরা ক্ষমতার জন্য রাজনীতি করিনা, ইসলামী হুকুমত কায়েমের জন্যই আমরা জমিয়ত করি। জমিয়ত একটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল হিসেবে গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও রাজনীতি করা আমাদের সাংবিধানিক অধিকার।  জোরকরে ক্ষমতার অপব্যবহারকরে কেউ আমাদের সেই অধিকার করতে পারবেনা। তিনি সরকারের উদ্দেশ্যে কঠোর হুশিয়ারী উচ্চারণ করে বলেন, বিরোধী দলের উপর হয়রানী বন্ধ করুন, বন্দুকের নলদিয়ে ক্ষমতাকে স্থায়ী করা যায়না।
তিনি গতকাল শুক্রবার ২৪ এপ্রলি বাদ জুম্মা সিলেট বন্দরবাজারস্থ একটি অভিজাত হোটেলে সিলেট জেলা ছাত্র জমিয়তের  কাউন্সিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন,সিলেট জেলা জমিয়তের সভাপতি মাওলানা শায়খ জিয়াউদ্দীন। জেলা ছাত্র জমিয়তের আহবায়ক মাওলানা সাইফুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে প্রধান বক্তাহিসেবে বক্তব্য রাখেন, ছাত্র জমিয়তের সাবেক কেন্দ্রীয সেক্রেটারী প্রাক্তন সাংসদ এডভোকেট মাওলানা শাহীনুর পাশা চৌধুরী। অন্যান্যরে মধ্যে বক্তব্য রাখনে, সিলেট মহানগর জমিয়তের সহসভাপতি মাওলানা খায়রুল হোসেন, জেলা সহসভাপতি আলহাজ্ব শামসুদ্দীন, সেক্রেটারী অধ্যক্ষ হাফিজ আব্দুর রহমান সিদ্দিকী,  প্রবাসী জমিয়ত নেতা মাওলানা আব্দুল আজীজ ফারুকী, জেলা জমিয়তের সহসাধারণ সম্পাদক মাওলানা জয়নুল আবদেীন, মাওলানা নুর আহমদ কাসেমী, দক্ষিণ সুনামগঞ্জের উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা তৈয়্যিবুর রহমান চৌধুরী, মাওলানা শিব্বির আহমদ বিশ্বনাথী,  মাওলানা আব্দুল গফ্ফার ছয়ঘরী, মাওলানা ওলিউর রহমান, মুফতি এবাদুর রহমান, মাওলানা নাজিম উদ্দীন, মাওলানা সালিম কাসেমী,মাওলানা রুহুল আমীন নগরী, চৌধুরী নাসির আহমদ। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মাওলানা সালেহ আহমদ শাহবাগী, শাহিদ আহমদ হাতিমী, ইমাদ উদ্দীন সালিম,হাফিজ ত্বাহা হোসাইন, মাওলানা ফয়সল আহমদ,আব্দুর রাজ্জাক,মাওলানা বদরুল আলম, হাফিজ শাহ আদনান, ইমরান আহমদ,বাহাউদ্দীন বাহার, হাফিজ ফরহাদ, ইয়াহইয়া হামিদী, খালেদ আহমদ, মিনহাজ আহমদ, আব্দুল্লাহ,বিলাল আহমদ,তোফাযেল আহমদ, হাফিজ রশীদ আহমদ,ইউসুফ সিদ্দিকী,মাসুদ আজহার, মুতিউর রহমান, আখতারুজ্জামান, রেজাউল করিম রাজু, মুফতি আব্দুল মুমিন, আতিকুর রহমান মাহফুজ, ফুজায়েল আহমদ,আলমগীর হোসাইন,হা:জুবায়ের আহমদ, হাসান বিন ফাহিম, জুনাইদ আহমদ, আমিনুর রশিদ, হাফিজ কযেস আহমদ, আব্দুল মুহিত খান মুরাদ, জাকির হোসাইন, মামুন বিন রশিদ , রুহুল আমীন সিরাজী, মারুফুল হাসান প্রমুখ। পরিচালনায় ছিলেন মাওলানা মোহাম্মদ আলী। কাউন্সিল সুষ্ট ও সুন্দর ভাবে পরচিালনার জন্য জেলা জমিয়তের পক্ষ থেেক ৫ সদস্য বিশিষ্ট নির্বাচনকমিশন গঠন করা হয়। কমিশনারগন হলেন জেলা জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সহসভাপতি মাওলানা খললিুর রহমান, সাধারন সম্পাদক মাওলানা আতাউর রহমান, সহসম্পাদক মাওলানা আব্দুল মালিক কাসমেী ও সাংগঠনকি সম্পাদক মাওলানা নজরুল ইসলাম। কাউন্সিলে মাওলানা সাইফুর রহমানকে সভাপতি,আব্দুল হামীদ খানকে সাধারণ সম্পাদক ও হাফিজ ফয়েজ উদ্দীনকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ৩৩ সদস্য বিশিষ্ট সিলেট জেলা ছাত্র জমিয়তের কমিটি ঘোষণা করা হয়।  উদ্বোধনী ভাষণে শায়খ জিয়াউদ্দীন বলেন, আজকের ছাত্ররাই আগামি দিনের ভবিষ্যৎ তাই জাতির নেতৃত্ব দিতে ছাত্র জমিয়তের প্রতিটি কর্মীকে আর্দশবান ও মেধাবী হতে হবে। সকল ধরনের গ্রুপিং কোণ দলের উর্ধে থেকে জমিয়তের কাজকে ত্বরান্বিত করতে হবে। এডভোকেট মাওলানা শাহীনূর পাশা চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের আকাশে আজ শকুনের আনাগোনা লক্ষ করা যাচ্ছে। তাই দেশ ও ইসলামের বৃহত স্বার্থে ছাত্র সমাজকে হক্কানী উলামায়ে কেরামের নেতৃত্বাধীন গণমানুষের সংগঠন জমিয়তের পতাকাতলে সমবেত হতে হবে।বিজ্ঞপ্তি