গোলাম আযমের পরিবার কীভাবে ‘ভিআইপি মর্যাদা’পায় : হাইকোর্ট
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ যুদ্ধাপরাধে দণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতের সাবেক আমির গোলাম আযমের স্ত্রী ও ভাতিজার জন্য ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরে কীভাবে ‘ভিআইপি মর্যাদার’ ব্যবস্থা করা হয়েছিল তা জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট। গত ৮ এপ্রিল ওই ঘটনায় সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কি না- তাও জানতে চেয়েছে আদালত।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানকে দুই সপ্তাহের মধ্যে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে হবে। সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদন আমলে নিয়ে বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের হাই কোর্ট বেঞ্চ বুধবার স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এই রুল দেয়। দৈনিক জনকণ্ঠে ৯ এপ্রিল প্রকাশিত ওই প্রতিবেদন আদালতে তুলে ধরেন আইনজীবী মুনতাসির উদ্দিন আহমেদ।
আদেশের পর তিনি বলেন, “গোলাম আযমের স্ত্রী সৈয়দা আফিফা আযম ও তার ভাতিজা লুৎফুল কবিরকে কীভাবে শাহজালাল বিমানবন্দরে বিশেষ ব্যক্তির মর্যাদা দেওয়া হয়েছে তা রুলে জানতে চেয়েছে আদালত।”
স্বরাষ্ট্র সচিব, সিভিল এভিয়েশনের চেয়ারম্যান, উত্তরা পুলিশের ডিসি, বিমানবন্দর থানার ওসি, শাহজালাল বিমানবন্দরের পরিচালক, প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা এবং ‘ভিআইপি পাসের’ ব্যবস্থাকারী বেলেনা বেগমকে দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আদালত এ বিষয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য ১২ মে দিন রেখেছে বলে মুনতাসির জানান।
জনকণ্ঠের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, গোলাম আযমের স্ত্রী ও ভাতিজা গত ৮ এপ্রিল সৌদি আরব যাওয়ার জন্য ভিআইপি পাস নিয়ে ইমিগ্রেশন পার হতে চাইলে পুলিশ তাদের আটকে দেয়। পরে মুচলেকা রেখে বিমানবন্দর থেকে তাদের বের করে দেওয়া হয়।
দণ্ডিত যুদ্ধাপরাধীদের স্ত্রী, পুত্র, কন্যা ও নিকটাত্মীয়দের ‘দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা’ থাকার পরও শাহজালাল বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন জাকির হাসান পরিচয় গোপন রেখে তাদের জন্য ভিআইপি মর্যাদার ব্যবস্থা করেন বলে ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের ষড়যন্ত্র, পরিকল্পনা ও উসকানির দায়ে মুক্তিযুদ্ধকালীন জামায়াত আমীর গোলাম আযমকে ২০১৩ সালের ১৫ জুন ৯০ বছরের কারাদণ্ড দেয় ট্রাইব্যুনাল।
রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের শুনানি চলার মধ্যেই গতবছর ২৩ অক্টোবর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ৯২ বছর বয়সী জামায়াতগুরু।