এবার তো তোকে ধর্ষণ করেই ছাড়ব রে ……

59076ডেস্ক রিপোর্টঃ মাদারীপুরের কালকিনির একটি গ্রামে ডিবি পরিচয়ে মোটরসাইকেলে মহড়া চালিয়ে এক নারীকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছে দুষ্কৃতকারীরা। এ সময় স্থানীয় নারীদের প্রতিরোধের মুখে তারা ব্যর্থ হলেও, কয়েকটি ঘরের মালপত্র তছনছ করে। স্থানীয় একটি পরিবারের মা ও মেয়েদের নির্যাতনের ঘটনায় থানায় অভিযোগের ঘটনায় পাল্টা শোধ তুলতে রবিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় দুস্কৃতকারীরা বারবার বলতে থাকে, ‘আমাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছিস, এবার তো তোকে ধর্ষণ করেই ছাড়ব রে।’
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মতিন মোল্লা বলেন, থানায় অভিযোগ করায় এলাকার একটি সংঘবদ্ধ চক্র এ তাণ্ডব চালায়। ডিবির পোশাক পরা দুষ্কৃতকারীদের মধ্যে কয়েকজনকে স্থানীয় হিসেবে চিহ্নিত করেছে এলাকাবাসী। তদন্ত করলেই বিস্তারিত বেরিয়ে আসবে।
এলাকাবাসী জানায়, গত ৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় পান্তাপাড়া গ্রামের ফজলুল শেখের ছেলে শামসু শেখ বাড়ির পাশের একটি জমিতে হাঁসের গম খাওয়াকে কেন্দ্র করে একই গ্রামের এক তরুণীকে মারধর করে এবং পরনের পোশাক ছিড়ে ফেলে। এ সময় হামলার শিকার তরুণীর মা ও ছোট বোন তাকে রক্ষা করতে গেলে তারাও নির্যাতনের শিকার হন। পরে আহত তিনজনকে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনার পরদিন পরিবারটির পক্ষ থেকে শ্লীলতাহানীর অভিযোগ এনে ডাসার থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে রবিবার রাতে এলাকার শামসু শেখ, সিরাজ শেখ ও ইব্রাহিম তাদের ১০-১২ জন সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে পাঁচটি মোটরসাইকেলে করে রবিবার রাত আটটার দিকে ডিবির পোশাক পরে গ্রামে ঢুকে পড়ে। এ সময় আতংকিত গ্রামের পুরুষরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে ওই যুবকরা ৩টি বাড়িতে হামলা চালায়। এক পর্যায়ে ওই তরুণীর বাড়িতে গিয়ে সেখানেও হামলা চালিয়ে তরুণীকে টেনে-হিঁচড়ে পাশের ক্ষেতে নিয়ে যায়। এ সময় গ্রামের নারীরা একাট্টা হয়ে হামলাকারীদের ঘিরে ধরে ও তরুণীকে উদ্ধার করে।
স্থানীয় নারীরা জানান, ডিবির পোশাক পরে এলাকার শামসু, সিরাজ ও ইব্রাহিম এ ঘটনা ঘটিয়েছে। তবে তাদের সঙ্গে আসা অন্যদের পরিচয় জানা যায়নি। এ বিষয়ে মাদারীপুর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)-এর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল হাসান জানান, রবিবার রাতে ডাসারের পান্তাপাড়ায় আমাদের ডিবি পুলিশের কেউ যায়নি। সেখানে ডিবি পরিচয়ে যে বা যারা গেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ঘনটাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে উল্লেখ করে এ বিষয়ে ডাসার থানার এসআই দেলোয়ার হোসেন জানান, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। বিষয়টি জানার জন্য ওই তরুণীকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তার বক্তব্যের ভিত্তিতে থানায় মামলা নেওয়া হবে এবং তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ডাসার থানার ওসি এমদাদুল হক বলেন, আমি এখন প্রশিক্ষণের জন্য এলাকার বাইরে রয়েছি। তবে তদন্তকারী কর্মকর্তা বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবেন।