নবীগঞ্জে খাবার পানির তীব্র সংকট : অকেজো হয়ে পড়ছে অধিকাংশ টিউবওয়েল
উত্তম কুমার পাল হিমেল,নবীগঞ্জ থেকেঃ নবীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে এখন খাবার পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। পানির স্তর একেবারে নীচে নেমে যাওয়ায় টিউবওয়েলগুলো ও মটর মেশিন চালিয়ে পর্যাপ্ত পরিমান পানি উঠানো সম্ভব হচ্ছে না। পানি উন্নয়র বোর্ডের বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন এ শুষ্ক মৌসুমে পর্যাপ্ত পরিমান বৃষ্টি না হওয়ায় পানির এ রকম সংকট দেখা দিয়েছে। যার ফলে নবীগঞ্জ উপজেলা ও পৌরসভা মিলিয়ে প্রায় ৩৫৪টি গ্রামের সব টিউবওয়েলগুলোতেই পানি ঠিকমত না উঠায় সাধারন মানুষ পড়েছেন মারাত্মক বিপদে। বোরো ফসলের মৌসুম হওয়ায় বেশিরভাগ বোরো জমিতে শ্যালো মেশিন বসানোর ফলে পানির এ রকম সংকট দেখা দিয়েছে বলেও অনেকে মনে করেন।
বিভিন্ন এলাকায় খোজ নিয়ে ও সরজমিনে ঘুরে দেখাগেছে,বিভিন্ন গ্রামের অধিকাংশ টিউবওয়েলগুলোই পানি না উঠার কারনে প্রায় অকেজো হয়ে পগে আছে। তাই গ্রামের সাধারন মানুষ বিশুদ্ধ খাবার পানি না পেয়ে পুকুর ও ডোবার পানি সংগ্রহ করে ফুটিয়ে খাবার উপযোগী করে তোলার চেষ্টা করছেন। যার ফলে তাদেরকে মারাত্মক ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হচ্ছে। এ অবস্থা এখন শুধু বিভিন্ন গ্রামেই নয় শহর এলাকায়ও মোটর মেশিনের সাহায্যে পাতাল থেকে পর্যাপ্ত পরিমান পানি উত্তোলন করা সম্ভব হচ্ছে না। এ ক্ষেত্রে গ্রামের মানুষের মত শহরের মানুষও বিশুদ্ধ খাবার পানির জন্য পড়ছেন মারাত্মক বিপাকে। কোন কোন পরিবারের লোকজন বাজার থেকে মিনারেল ওয়াটার বোতল কিনে এনে খাবার পানির চাহিদা মেঠালেও বাসার অন্যান্য কাজের পানি যোগাড় করতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। অনেকেই পানি সংকটের কারনে প্রতিদিন গোসল করতে পারছেন না। যার ফলে অনেক এলাকায় ডায়রিয়া ও আমাশয় রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিচ্ছে।
সরজমিনে পৌর এলাকার কানাইপুর গ্রামের কয়েকটি বাড়ীতে গিয়ে টিউবওয়েলের হাতল চাপলে দেখা যায় বেশির ভাগ টিউবওয়েলেই ফোটা ফোটা হয়ে পানি পড়ছে। যার ফলে অধিকাংশ টিউবওয়েলই অকোজো হয়ে বন্ধ হয়ে গেছে। কানাইপুর গ্রামের গৃহবধ ুমীরা রানী ওÍওশন আক্তার এ প্রতিনিধিকে জানান। পানির কল গুলোতে কিযে হল এক কলস পানি ভরতে আধাঘন্টা লেগে যায়। পানির কল চাপতে চাপতে হাত বেদনা করে। টিউবওয়েলের হাতল চাপতে গিয়ে অনেক কিশোর-কিশোরী ও বৃদ্ধ লোক হাত ফসকে গিয়ে পড়ে দাত ভেঙ্গেছেন।
নবীগঞ্জ পৌর সভার গয়াহরি,কানাইপুর,রাজাবাদ,রাজনগর,মদনপুর গন্ধা,শিবপাশা,আনমনু,আক্রমপুর,জয়নগর,মায়ানগর,শাখোয়া,কলেজপাড়া,সোজাপুর,রিফাতপুর,মান্দারকান্দিসহ বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে দেখা গেছে প্রায় প্রতিটি গ্রামের টিউবওয়েলগুলোতেই পানি উটছে না। তবে ঐ সকল গ্রামের যে ১/২টি টিউবওয়েলে কিছু পানি উঠছে সেগুলোতে লাইনে দাড়িয়ে মহিলা পুরুষরা খাবার পানি সংগ্রহ করছেন। ফলে সাধারন মানুষের মারাত্মক ভোগান্তি দেখা দিয়েছে।