ফিরে এল মান্নার নাম

Manna Digital Complex3সুরমা টাইমস ডেস্কঃ বাংলা চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় ও শক্তিমান অভিনেতা মান্না। ২০০৮ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি তার আকস্মিক মৃত্যুতে চলচ্চিত্র অঙ্গনে নেমে এসেছিল শোকের ছায়া। তখন তার স্মৃতি সংরক্ষণের জন্যে অনেক উদ্যোগের কথা বলা হয়। তারই ধারাবাহিকতায় এফডিসিতে নির্মিত ডিজিটাল সাউন্ড কমপ্লেক্স মান্নার নামে করার প্রস্তাব করা হয়। এমন কি নব নির্মিত সেই ভবনে ‘মান্না ডিজিটাল কমপ্লেক্স’ শিরোনামে একটি নামফলকও স্থাপন করা হয়। কিন্তু ৩ এপ্রিল জাতীয় চলচ্চিত্র দিবসের দিন সেই ভবনটির উদ্বোধনকালে সেখানে মান্নার নামটি সম্পূর্ণভাবে বাদ দেওয়া হয়ছিল। এমন কি মান্নার নামে যে নাম ফলকটি ছিলো তাও মুছে ফেলা হয়েছিল। এরপর এ নিয়ে গণমাধ্যমে ফলাও করে খবর প্রকাশ করা হয়। যার ফলে ১৪ এপ্রিল আবার ডিজিটাল কমপ্লেক্সে ডানপাশে মান্নার নামের পুরনো স্মৃতিফলকটি নতুন করে লাগানো হয়।
Manna Digital Complex2Manna Digital Complexমান্না ডিজিটাল কমপ্লেক্সের প্রকল্প পরিচালক শাহ আলম বাংলামেইলকে বলেন, ‘ভবনটিকে সংস্কার করার জন্য ফলকটি খোলা হয়েছিল। এখন আবার লাগানো হয়েছে। খারাপ বা অন্যকোন উদ্দেশ্যে নিয়ে এ কাজটি করা হয়নি। এখন থেকে স্মৃতিফলকটি এভাবেই থাকবে।’
২০০৮ সালে তৎকালীন তথ্যসচিব জামিল ওসমান এবং বিএফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আ ন ম বদরুল আমিন বেশ অয়োজন করেই মান্না ডিজিটাল ভবনের উদ্বোধন করেছিলেন।
মান্না প্রায় তিন শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। এর মধ্যে ‘লুটতরাজ’, ‘লাল বাদশা’, ‘আব্বাজান’, ‘স্বামী স্ত্রীর যুদ্ধ’, ‘দুই বধু এক স্বামী’, ‘মনের সাথে যুদ্ধ’, ‘মান্না ভাই’, ‘পিতা মাতার আমানত’, ‘মিনিস্টার’, ‘টোকাই রংবাজ’, ‘জুম্মন কসাই’, ‘রাজু মাস্তান’, ‘আমি জেল থেকে বলছি’ উল্লেখযোগ্য।
এছাড়া মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ২০০৬ সালে সেরা অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেছিলেন।