হবিগঞ্জ সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভা ও বৃত্তি প্রদান
হবিগঞ্জের অতীত গৌরবকে ধরে রাখতে বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষাথীদের এগিয়ে আসতে হবে ———–উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ সালেহ উদ্দিন
মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি, সিলেট-এর উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ সালেহ উদ্দিন বলেছেন, হবিগঞ্জবাসীর রয়েছে গর্ব করার মতো বিভিন্ন গৌরবোজ্জল ইতিহাস। সেই ইতিহাসের গৌরবকে ধরে রাখতে বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষাথীদেরকে কাজ করে যেতে হবে। হবিগঞ্জের বিভিন্ন মনিষীদের উজ্জল অবদানে নিরন্তর সমৃদ্ধ হচ্ছে এ অঞ্চলের মানুষ। একটি সুন্দর ও কল্যাণকামী চিন্তা চেতনার বাস্তব প্রতিফলন হলো হবিগঞ্জ সমিতি। গরীব ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্যে বৃত্তি প্রদানের মাধ্যমে হবিগঞ্জ সমিতি সমাজে অনেক বড়ো ভুমিকা রাখছে।
হবিগঞ্জ সমিতি, সিলেট-এর ২০১৪ সালের বার্ষিক সাধারণ সভা ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
গত শুক্রবার নগরীর একটি অভিজাত হোটেলে এ বার্ষিক সাধারণ সভা ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান অনুূিষ্ঠত হয়।
হবিগঞ্জ সমিতি, সিলেট-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট সৈয়দ আহসানুর রেজার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী এনামুল হাবীব, সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এ.জেড.এম নূরুল হক, সমিতির অন্যতম উদ্যোক্তা নাছির উদ্দিন আহমদ চৌধূরী। মাওলানা মুজাহিদুল ইসলাম চৌধূরীর পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত ও সহকারী অধ্যাপক শ্যামল চন্দ্র রায়ের পবিত্র গীতা থেকে পাঠের মাধ্যমে শুরু হওয়া সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা সমাজ সেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম।
সমিতির মহিলা বিষয়ক সম্পাদক শামীমা চৌধুরী ও সাংগঠনিক সম্পাদক বিদুৎ কান্তি দাসের যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সমিতির সহ-সভাপতি ও বাংলাদেশ ব্যাংক-এর যুগ্ম পরিচালক মোঃ ফজলুর রহমান চৌধুরী, নবীগঞ্জ সমিতি, সিলেট এর সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আবুল ফজল, চুনারুঘাট সমিতির আহবায়ক আজিজুল ইসলাম, ডা. মোঃ আফজাল, ডা. বীরেন্দ্র দেবনাথ, এডভোকেট গোলাম রব্বানী চৌধূরী, এডভোকেট এ.এইচ.এম আব্দুল মুবিন, ড. আবুল ফতেহ ফাত্তাহ, মোঃ শওকত আলী, নিরেশ চন্দ্র দাশ, মোঃ জাফর সাদেক কয়েজ গাজী, কর্নেল (অব) ডা. শাহ আবিদুর রহমান, ডা. শাহ নেওয়াজ চৌধূরী, মাসুদ চৌধূরী ও মনসুর আলী খান প্রমুখ। সভায় বার্ষিক রিপোর্ট পেশ করেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুল হান্নান ও বার্ষিক আয়-ব্যয়ের প্রতিবেদন রিপোর্ট পেশ করেন সমিতির কোষাধ্যক্ষ মোঃ মাসুদ চৌধূরী।
উল্লেখ্য, সভায় সৈয়দ আহসানুর রেজাকে সভাপতি ও আবু মোঃ আব্দুল হান্নানকে সাধারণ সম্পাদক এবং বিদুৎ কান্তি দাশকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ৪৫ সদস্যের একটি কার্যনির্বাহী পরিষদ গঠন করা হয়।
স্বাগত বক্তব্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম বলেন, ইতিহাস-ঐতিহ্য, শিক্ষা ও সাহিত্য চর্চার ঐক্যতানে হবিগঞ্জবাসীর অবদান সর্বজন স্বীকৃত। বিভিন্ন কর্মসূচীর মাধ্যমে আর্তমানবতার সেবা করে যাচ্ছে এ সংগঠন। এ সংগঠনের প্রতিটি সদস্য হবিগঞ্জ জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের গরীব রোগীদের চিকিৎসা সেবা প্রদানের জন্য বিনামূল্যে চিকিৎসা শিবির স্থাপনে আত্মনিয়োগ করেছে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে নির্বাহী প্রকৌশলী এনামুল হাবীব বলেন, হবিগঞ্জ সমিতির বৃত্তি প্রদানের উদ্দেশ্য হলো শিক্ষার্থীরা যাতে তাদের লেখাপড়া চালিয়ে যেতে পারে ও সমাজে যেন তারা ভালোভাবে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে। কেননা শিক্ষার অংশ হলো সমাজে একজন নাগরিক হিসেবে ভালোভাবে বেচে থাকা। শিক্ষার্থীদেরকে নিয়মিত পড়তে হবে ও পাঠ্যসূচীর বাইরেও অনেক বই পড়াশুনা করতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে সমিতির সভাপতি ডাঃ এ হাসান বলেন, সিলেট মহানগরীতে অবস্থানরত বৃহত্তর হবিগঞ্জ অঞ্চলের মানুষের সমন্বয়ে প্রতিষ্ঠিত সকলের প্রাণে সংগঠন হবিগঞ্জ সমিতি। এই সমিতির সদস্যরা পারস্পরিক সৌহার্দ্য, সামাজিক দায়বদ্ধতা ও সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ। দীর্ঘদিন থেকে এই সংগঠনটি একটি সাংগঠানিক শৃংখলার মধ্য দিয়ে তার অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রেখেছেন। আমি এ সংগঠনের দীর্ঘায়ু কামনা করি।