নবীগঞ্জে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের প্রেক্ষিতে আ’লীগ নেতার সংবাদ সম্মেলন
নবীগঞ্জে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের প্রেক্ষিতে সাংবাদিক সম্মেলন, কোন তথ্য উপাত্ত ছাড়া সংবাদ প্রকাশ করে চরম মানহানী ঘটানো হয়েছে অভিযোগ আওয়ামীলীগ নেতা কানন বাগচী’র
উত্তম কুমার পাল হিমেল,নবীগঞ্জ থেকেঃ নবীগঞ্জে দৈনিক বিবিয়ানা পত্রিকায় প্রকাশিত একটি সংবাদকে মিথ্যা ভিত্তিহীন ও মানহানীকর দাবী করে নবীগঞ্জ প্রেসকাবে সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে এর ন্যায় বিচার দাবী করেছেন আওয়ামীলীগ নেতা কানন বাগচী। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে নবীগঞ্জ প্রেসকাবে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি অভিযোগ করে বলেন,আমি একটি রাজনৈতিক দলের সাথে দীর্ঘ প্রায় ৩০ বছর ধরে কাজ করে যাচ্ছি। অনেক সময় গুরুত্বপূর্ণ পদেও ছিলাম। আমি আপনাদের মাধ্যমে জাতীর বিবেকের কাছে একটি দুঃখের কথা জানানোর জন্য অনুমতি নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলনের ব্যবস্থা করেছি। আমার কষ্টের কথা হলো,গত ০৭ এপ্রিল ২০১৫ইং তারিখে নবীগঞ্জ থেকে প্রকাশিত দৈনিক বিবিয়ানা পত্রিকায় “ নবীগঞ্জে আ’লীগ নেতা কালন বাগচী সহ ৪ জনের বিরুদ্ধে থানায় ছিনতাইয়ের অভিযোগ” শিরোনামে একটি মিথ্যা ও মানহানীকর সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। ওই সংবাদে নবীগঞ্জ উপজেলার ৮নং নবীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের দত্তগ্রামের মৃত রাজেন্দ্র সরকারের পুত্র জগীন্দ্র সরকার -এর বরাত দিয়ে আমাকে সমাজে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য সম্পূর্ণ মিথ্যা,বানোয়াট,অশালীন এবং কাল্পনিক কথা জড়ানো হয়েছে। যে কথা গুলোর বাস্তব কোন ভিত্তি নেই। কথিত ওই সংবাদে নবীগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগের যে বরাত দেওয়া হয়েছে এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানায় আমি ব্যক্তিগত ভাবে গিয়ে যোগাযোগ করেছি। নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব মোঃ লিয়াকত আলী আমাকে বলেছেন এ ধরনের কোন অভিযোগ থানায় কেহ দেয়নি। এক কথায় থানায় আমার বিরুদ্ধে প্রকাশিত সংবাদের বিষয়ে কোন ধরনের মামলা নাই।
প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে,উল্লেখিত জগীন্দ্র সরকারের ছোট ভাই লিটন সরকার প্রবাসে যাওয়ার সময় প্রায় ৭/৮ মাস আগে আমার কাছে এক লক্ষ টাকা হাওলাত চায়। এবং বলে নবীগঞ্জ এনজিও সংস্থা ব্র্যাক থেকে ঋন তুলে সে আমার টাকা ফেরত দিবে। আমি তাকে কয়েকজন স্বাক্ষীর সামনে নগদ পঞ্চাশ হাজার টাকা হাওলাত দেই ওই সময়ে। জগীন্দ্র সরকার একদিন আমাকে নিয়ে নবীগঞ্জ ব্র্যাক অফিসে যায়। ঋন উত্তোলনের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট অফিসারের সাথে আলাপ করিয়ে আমাকে বিশ্বাস করায়। এবং আমি ব্র্যাকের সংশ্লিষ্ট অফিসারকে জগীন্দ্র সরকারকে ঋনটি প্রদানের জন্য অনুরোধ করি। কিন্তু ব্র্যাক থেকে ঋন উত্তোলন করে জগীন্দ্র সরকার আমার কাছ থেকে নেওয়া পঞ্চাশ হাজার টাকা ফেরত দেয়নি। এবং সে আমার সাথে কোন যোগাযোগও রাখেনি। এক পর্যায়ে আমি আমার টাকার জন্য কয়েকজন লোক নিয়ে তার বাড়ি যাই। জগীন্দ্র সরকার আমার কাছে এক সপ্তাহের সময় চায়। স্বাক্ষীগণের সামনে আমি সরল মনে তাকে সময় দেই। এর পর থেকে তাকে আর পাইনি। গত ৫ এপ্রিল ২০১৫ইং রাত প্রায় ১০টার দিকে নবীগঞ্জ শহরস্থ শেরপুর রোডের সিএনজি ষ্ট্যান্ডের সামনে জগীন্দ্র সরকারকে দেখতে পাই। এবং কয়েকজন লোকের সামনে আমার পাওনা হাওলাতি টাকা দিতে বলি। জগীন্দ্র সরকার পরের দিন বিকাল ৫ ঘটিকার মধ্যে আমার পাওনা টাকা ফেরত দিবে বলে পুনরায় সময় নেয়। কিন্তু সে আর আসেনি। এছাড়া যেখানে থানায় আমার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগই নেই,সেখানে ওই দৈনিক বিবিয়ানা পত্রিকা কিভাবে কোন কারনে ডাহা মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রকাশ করেছে তা আমার বোধগম্য নয়। আমি মনে করি কোন এক অশুভ চক্র আমাকে সমাজে কলঙ্কিত করার জন্য সম্পূর্ণ মিথ্যা ও মানহানীকর ওই কথিত সংবাদটি প্রকাশ করেছে। তিনি বলেন, আমি স্বীকার ও বিশ্বাস করি ‘ একজন বস্তনিষ্ট ও নিরপেক্ষ সাংবাদিকের কলম শহীদের রক্তের চেয়েও পবিত্র’। আমাকে সমাজে হেয়প্রতিপন্ন করার হীন মানসে যে বা যারা আমার বিরুদ্ধে মানহানীকর ওই সংবাদটি প্রকাশ করিয়েছে বা যে পত্রিকা ডাহা মিথ্যা ও মানহানীকর সংবাদটি ছেপেছে আমি দেশের প্রচলিত আইন মোতাবেক তাদের বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নেবো। তিনি এ ব্যাপারে সকল কলম সৈনিকসহ বিবেকবান সকল শ্রেণী পেশার মানুষের ন্যায় সঙ্গত সহযোগিতা কামনা করেন।