দরগাহ গেইট থেকে ব্যবসায়ীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার : আটক ২
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ নগরীর দরগাহ গেইট এলাকার হোটেল ইশিতা ও মাদার কেয়ার ক্লিনিকের মধ্যে খানের ড্রেনে রাহুল (৩৫) নামের এক ব্যবসায়ীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার সকালে স্থানীয়রা ড্রেনের মধ্যে লাশ পড়ে থাকতে দেখে কোতোয়ালি থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে ঘটনাস্থল থেকে দুপুর ১২টায় লাশ উদ্ধার করে।
এসময় পুলিশ ক্লিনিকের সামনে রাখা রাহুলের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল নং (সিলেট-এ-১১ ১৪৮১) উদ্ধার করে। পুলিশ ধারণা করছে রোববার দিবাগত রাতে তাকে হত্যা করে লাশ ড্রেনের মধ্যে ফেলে যায়। পারিবারিক অথবা ব্যবাসায়ীক কোন কারণে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটতে পারে। এ ঘটনায় প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুজনকে আটক করেছে পুলিশ ।
আটককৃতরা হচ্ছে মাদার কেয়ার ক্লিনিকের নিরাপত্তারক্ষী নগরীর কুয়ারপাড়া এলাকার বাসিন্দা ফারুক মিয়ার ছেলে তারেক আহমদ সুমন (২২) ও ওয়ার্ডবয় বটেশ্বর এলাকার মতি উদ্দিনের ছেলে ইশরাখ উদ্দিন মনা (২৩)। রোববার দুপুর সাড়ে ১২টায় কোতোয়ালি থানা পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ওসমানি হাসপাতালের মর্গে লাশ প্রেরণ করে। নিহত রাহুল বরিশালের পটুয়াখালির জেলার মহিলা আনসার ক্যাম্প রোডের বাসিন্দা তারেক চন্দ্র দাসের ছেলে। দীর্ঘদিন থেকে রাহুল নগরীর শাপলাবাগ এলাকার আব্দুস সালাম রোডের ৩৭ নং ভাড়াটে বাসায় পরিবার নিয়ে বসবাস করে আসছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, প্রায় ২০বছর পূর্বে ধর্মান্তরিত হয়ে রাহুল ভালবেসে বিয়ে করেন রুজিনা বেগমকে। তাদের সংসারে লিজা নামের ১০ বছরের এক মেয়ে রয়েছে। রাহুল শ্রমিকলীগের রাজনীতির পাশাপাশি ওই ক্লিনিকের সামনে তার একটি বসে চা স্টল রয়েছে। এর পাশাপাশি সে নগরীতে চা পতা ও দুধ বিক্রি করে আসছে দীর্ঘদিন থেকে । নিহত রাহুলের স্ত্রী রুজিনা বেগম জানান, সম্প্রতি রাহুল সাথী নামের এক খারাপ মহিলার ফাঁদে পড়েছিলো। এছাড়াও তার আর কোন শত্রু ছিলোনা। শনিবার রাত সাড়ে ১২টা থেকে রাত দেড়টা পর্যন্ত বেশ কয়েকবার তাকে ফোনদিলেও ফোন কেটে দেয়া হয়। ।
মহানগর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি নূর মোহাম্মদ বাবু বলেন, নিহত রাহুল শ্রমিকলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলো। সে বিভিন্ন সময় দলের বিভিন্ন কর্মসূচিতেও অংশগ্রহণ করে।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, ঘটনাটি রহস্যজনক। পুলিশ বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করে যাচ্ছে। ময়নাতদন্ত রির্পোট পাওয়ার পর বিস্তারিত জানা যাবে।