নজরুল একাডেমী নিয়ে অপপ্রচারে সিলেট মহানগর জামায়াতের নিন্দা ও প্রতিবাদ

সিলেটে নজরুল একাডেমী নিয়ে জামায়াত-শিবিরকে জড়িয়ে অপপ্রচার, সৃষ্টজটিলতা ও জনমনে বিভ্রান্তি নিরসনে সিলেট মহানগর জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমীর মো: ফখরুল ইসলাম এক বিবৃতি প্রদান করেছেন।
শনিবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম দেশের প্রত্যেক নাগরিক বিশেষ করে মুসলিম জনগোষ্ঠীর আবেগ ও অনুপ্রেরণার উৎস। জাতীয় কবির সাহিত্য চর্চা, গবেষণা ও বিশ্লেষণ প্রত্যেক বিবেকবান মানুষকে উন্নত জাতি গঠনে সহায়ক শক্তি হিসাবে কাজ করে। এরূপ একজন জাতীয় কবির সাহিত্য-সংস্কৃতির চর্চার কেন্দ্র সিলেট নজরুল একাডেমী। জামায়াতে ইসলামীর ন্যায় একটি আদর্শবাদী দল একাডেমীর ভূমি জবর দখল বা উচ্ছেদের সাথে জড়িত থাকার প্রশ্নই উঠেনা। যে বা যারা জামায়াতের নাম ব্যবহার করে অপপ্রচার করছে তা নিরেট একটি হিংসাত্মক বিভ্রান্ত ও সত্যের অপলাপ। জামায়াত বা শিবিরের কোন নেতা কর্মী এর সাথে মোটেই জড়িত নয়।
তিনি বলেন-একটি মহল বরাবরই জামায়াত-শিবিরের ভাবমর্যাদা ও সুনামকে ক্ষুন্ন করার জন্য উদ্দেশ্যমূলক ভাবে অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে। তারাই নতুন করে অপপ্রচার ও বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে চলছে। সংবাদপত্রের মাধ্যমে জানতে পারি উক্ত ভূমির রেকর্ডভুক্ত মালিক মির্জাজাঙ্গাল নিবাসী শ্রী কিরণ বিহারী দাস ও শ্রী কমলাকান্ত দাস। তাদের উত্তরাধিকারী শ্রী কপিল দাস ভূমির মালিকানা ও দখল বুঝিয়া পাওয়ার জন্য উচ্চ আদালতে মামলা করেন। কারণ তারা মহামান্য হাইকোর্ট ডিভিশন ও মহামান্য সুপ্রীম কোর্টের আপিল ডিভিশন শ্রী কপিল দাসের পক্ষে রায় ঘোষণা করেন। তাই প্রকৃত পক্ষে মাননীয় জেলা প্রশাসক মহোদয়কে উচ্চ আদালত যে নির্দেশনা দিয়েছে তার আলোকে কাজ চলছে। এতে জামায়াত-ছাত্রশিবিরের কোন প্রকারের সংশ্লিষ্টতা নেই। জায়গা-মসজিদ জবর দখল, চাঁদাবাজী প্রভৃতির সাথে জামায়াত-শিবিরের নেতা কর্মীরা কখনো জড়িত ছিল এমন নজির নেই। কারা এ সমস্ত অপকর্ম করে চলছে সিলেটের জনগণ ভাল করেই জানেন। তাই সংশ্লিষ্ট সকল মহলকে বিনয়ের সাথে অনুরোধ জানাই বিদ্বেষমূলক অপপ্রচার বন্ধ করুন এবং দলীয় ও ব্যক্তি স্বার্থ পরিহার করে জাতীয় কবির নামে প্রতিষ্ঠিত একাডেমীকে বিতর্কের উর্ধে রেখে প্রতিষ্ঠিত করতে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসুন। বিজ্ঞপ্তি