সিলেট মহানগর জামায়াতের স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা সভা

কোন গোষ্ঠীর অবৈধ ক্ষমতালিপ্সার জন্য স্বাধীনতার গৌরবোজ্জ্বল অর্জনকে বিসর্জন করতে দেয়া যাবেনা
—— সিলেট মহানগর জামায়াত

Sylhet City Jamat Sadinota Dibos Photo - 26-03-15সিলেট মহানগর জামায়াত নেতৃবৃন্দ বলেছেন, ২৬ শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস জাতির জন্য এক গৌরবোজ্জল প্রেরণার দিন। এই দিনেই স্বাধীনতার অর্জনের লক্ষ্যে দেশের আপামর জনতা মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বিশ্বের মানচিত্রে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ একটি উল্লেখযোগ্য স্থান দখল করে নেয়। আমাদের স্বাধীনতা চেতনা ছিল ঐক্যের। কিন্তু একটা গোষ্ঠী রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল করতে স্বাধীনতার পক্ষের-বিপক্ষের শক্তির ধুয়া তুলে জাতিকে বিভক্ত করতে চায়। কিন্তু তাদের ষড়যন্ত্র সফল হয়নি এবং ভবিষ্যতেও হবেনা। মুক্তিযুদ্ধকে পুঁিজ করে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের দিন শেষ হয়ে গেছে। কোন গোষ্ঠীর অবৈধ ক্ষমতা লিপ্সার কারনে আমাদের মহান স্বাধীনতার গৌরবোজ্¦ল অর্জনকে বিসর্জন করার যে কোন ষড়যন্ত্র দেশপ্রেমিক জনতা সফল হতে দিবেনা। স্বাধীনতার লক্ষ্য শুধু একটি ভুখন্ড নয় মানুষের স্বাধীনতা নিশ্চিত করাই প্রকৃত স্বাধীনতা। আর এই স্বাধীনতার জন্য দেশপ্রেমিক জনতার সংগ্রাম চলছে এবং স্বাধীনতার সুফল দেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে পৌছার পুর্ব পর্যন্ত এই সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে ইনশাআল্লাহ। ৭১-এ এই জাতি যেমন স্বাধীনতা অর্জন করতে পেরেছে। জাতির এই ক্রান্তিলঘেœ গনতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার এই আন্দোলনেও মুক্তিকামী জনতার এই বিজয় কেউ ঠেকাতে পারবেনা।
গতকাল বৃহস্পতিবার ২৬শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে সিলেট মহানগর জামায়াত আয়োজিত আলোচনা সভায় নেতৃবৃন্দ উপরোক্ত কথা বলেন। মহানগর জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী নুরুল ইসলাম বাবুল-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন, জামায়াত নেতা আব্দুর রব, জাহেদুর রহমান চৌধুরী, হাফিজ মিফতাহুদ্দীন, রফিকুল ইসলাম মজুমদার প্রমুখ।
নেতৃবৃন্দ বলেন, ক্ষমতাসীন অবৈধ সরকার তাদের হীন স্বার্থ হাসিলের জন্য দেশকে নৈরাজ্যের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে নির্মুল করেত তারা রাষ্ট্র শক্তিকে ব্যাবহার করছে। জনগণের কল্যানের চিন্তা বাদ দিয়ে তারা জনভোগ সৃষ্ঠিতে উঠে পড়ে লেগেছে। দেশে আইনের শাসন নেই, মানবাধিকার লংঘনের মহোৎসব চলছে। গুম আতংকে দেশবাসী আজ উদ্বিগ্ন। খুন,গুম,গণগ্রেফতার আর কথিত ক্রসফায়ার আতংকে জাতি আজ দুর্বিষহ জীবন যাপন করছে। এমতাবস্থায় স্বাধীনতা দিবস-এর আয়োজন জাতিকে বাকশালের হাত থেকে মুক্তির জন্য প্রেরণা জোগাবে। তাই সকল ভেদাভেদ ভুলে গনতন্ত্র পনুরদ্ধার ও স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় জাতিকে ইস্পাত কঠিন ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। আর এক্ষেত্রে গনমানুষের প্রানপ্রিয় সংগঠন হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সকল নেতাকর্মীদের অতন্দ্র প্রহরীর ভুমিকা পালন করতে হবে। বিজ্ঞপ্তি