মৌলভীবাজারে মিথ্যা চুরির অপবাদে ৪র্থ শ্রেণীর ছাত্র পাপলু এখন হাসপাতালে

মশাহিদ আহমদ, মৌলভীবাজার ঃ মৌলভীবাজারে রাজনগর উপজেলার উত্তর ভাগ ইউপি‘র চাঁদভাগ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণীর ছাত্র পাবলু মালাকার (১২) স্কুল থেকে বাড়ী ফেরার পথে মিথ্যা চুরির অপবাদে লাটি ও কিল ঘুষি মেরে পিটিয়ে আহত করে মুমুর্ষ অবস্থায় রাস্তায় ছুড়ে ফেলেদেন পার্শ্ববর্তী বাডীর প্রভাবশালী রুদ্রজিৎ ভট্রাচার্য (রুপক) ও তার পিতা রনজিৎ ভট্রাচার্য। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আহত শিশুটি মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। জানা যায়- গত ১৬ মার্চ স্কুল ছুটি শেষে বাড়ী ফেরার পথে রুদ্রজিৎ ভট্রাচার্য (রুপক)‘র বাড়ীর একটি বেল গাছ থেকে অপর একটি শিশু বেল পেরে নিয়ে যায় এবং সে সময় পাবলু মালাকার স্কুল থেকে তার বাড়ীতে যাওয়ার পথে সে সময় পার্শ্ববর্তী বাডীর প্রভাবশালী রুদ্রজিৎ ভট্রাচার্য (রুপক) ও তার পিতা রনজিৎ ভট্রাচার্য রাস্থায় তাকে আসতে দেখা মাত্র লাটি দিয়ে বেধম প্রহার করতে করতে বাড়ীতে নিয়ে গিয়ে ২য় পর্যায়ে পুনরায় আবারও তার বুক ও পিটে কিল ঘুষি মেরে মুমুর্ষ অবস্থায় ফেলে রাখেন। সেখান থেকে তাকে তার সহপাটি দীপ্ত ও হ্রুদয়সহ এলাকার লোকজন উদ্বার করে তার পিতা প্রদিব মালাকার‘র সহাতায় ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্য্র নিয়ে ভর্তি করেন এবং চিকিৎসা শেষে গত ১৯ মার্চ আবাসিক মেডিকেল অফিসার ছাড়পত্র প্রদান করেন। ঐদিন পাপলু বাড়ী ফেরার পর পুনরায় অবস্থার অবনতি হলে তাকে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আহত শিশুটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। ঘটনার সত্যতা জানতে এ প্রতিবেদক মৌলভীবাজার ২৫০ বিশিষ্ট্র সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শিশুটিকে দেখতে গত ২১ মার্চ গেলে প্রথমে তার দরিদ্র পিতা প্রদিব মালাকার হাউমাউ করে কেঁদে বলেন- ভাই আমরা গরীব, দিন আনি দিন খাই। আমার এ ছেলের পরিনতি দেখে চুখের পানি ধরে রাখতে পারছিনা। ছেলেটি বর্তমানে কতা বলতে পারেনা, শ্বাষ-প্রশ্বাস নিতে পারছেনা, বুকের মধ্যে প্রচন্ড ব্যথা পেয়েছে। ছেলেটির মা অসুস্থ হয়ে পড়েছে। এ ঘটনায় আমরা বাকরুদ্ব। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ভাই আমার ছেলেতো স্কুল থেকে বাড়ী ফেরার পথে এ ঘটনা ঘটেছে। আমি বিষয়টি সাথে সাথেই চাঁদভাগ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনুলাল সরকারকে জানিয়েছে কিন্তু ঘটনার ৭দিন অতিবাহিত এবং ছেলেটিকে নিয়ে এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তবে প্রধান শিক্ষক অধ্যাবধিও দেখতে আসেননি কিংবা তার খোাঁজ খবরও নেননি। কেন এমন ঘটনা ঘটল জানতে চাইলে তিনি প্রতি উত্তরে জানান ভাই আপনারাতো সাংবাদিক এলাকায় গিয়ে খোঁজ-খবর নেন দেখবেন প্রভাবশালী রুদ্রজিৎ ভট্রাচার্য (রুপক) ও তার পিতা রনজিৎ ভট্রাচার্য গংরা কত খারাপ লোক। তাদের এমন আরো কতো অপরাধ সংঘটিত‘র মত আরো বহু ঘটনা আছে কেহ প্রতিবাদ করার সাহস পায়না। আমার ছেলেতো নিরপরাধ, অবুঝ শিশু, তাকেতো চুরি করার শিক্ষা দেইনি।