মেলার নামে অসামাজিকতা বন্ধের দাবিতে উত্তাল জগন্নাথপুর
ইউএনও’র কাছে ১৫টি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের স্মারকলিপি
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ মেলার নামে অসামাজিকতা বন্ধের দাবিতে জগন্নাথপুরের ১৫টি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন উপজেলা চেয়ারম্যান, নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে গতকাল বুধবার স্মারকলিপি দেয়া হয়েছে। গণআন্দোলনের সাথে অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী, স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা একাত্মতা পোষন করেছেন। তাতেও কাজ হচ্ছে না। মেলা বসানোর জন্য আয়োজনকারীরা সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। এ নিয়ে এলাকায় ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে। জানা গেছে, আজ বৃহস্পতিবার রাত থেকে জগন্নাথপুর উপজেলার রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের রাণীগঞ্জ বাজারের পাশে হাওরে রাণীগঞ্জ কলেজের নাম ভাঙিয়ে ৭দিন ব্যাপী বসন্ত মেলার নামে প্রকাশ্যে অসামাজিক কর্মকান্ড শুরু করছে একটি প্রভাবশালী মহল। মেলাটি বন্ধের দাবিতে গত কয়েক দিন ধরে এলাকাবাসীর উদ্যোগে বিভিন্ন দপ্তরে লিখিতভাবে আবেদন-নিবেদন করা হয়। এরই ধারাহিকতায় গতকাল বুধবার জগন্নাথপুর উপজেলার রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের আদর্শ ছাত্র কল্যাণ পরিষদ, ফ্রেন্সক্লাব, মডেল সোসাইটি, নব দিগন্ত যুবসংস্থা, বালিশ্রী ফাইভ স্টার যুবসংঘ, ভাই ভাই যুবসংঘ, লতিফিয়া ছাত্র সংসদ, এসডি ফ্রেন্সক্লাব, হাজী সাজিদ উল্লাহ ফাউন্ডেশন, শহীদ গাজী ফাউন্ডেশন, অগ্রগামী ইসলামী যুবসংঘ, রাণীগঞ্জ আলিয়া মাদ্রাসার সাবেক ছাত্র পরিষদ, ইউনাইটেড যুবসংঘ, এসএসসি পরীক্ষার্থী, বিভিন্ন স্কুল ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থী, এলাকার সচেতন যুবসমাজসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার শতশত লোকজন মৌন মিছিল সহকারে মেলা বন্ধের দাবিতে জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও জগন্নাথপুর থানার অফিসার ইনচার্জের নিকট পৃথকভাবে স্বারকলিপি প্রদান করেন। এ সময় উত্তেজিত ছাত্র জনতাকে মেলা বন্ধ করা হবে বলে আশ্বস্থ করেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
রাণীগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ডা. ছদরুল ইসলাম, উপজেলা বঙ্গবন্ধু সৈনিকলীগের সভাপতি হুমায়ূন আহমদ তালুকদার ও রাণীগঞ্জ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আজমল হোসেন মিঠু জানান, অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নানসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আশ্বস্থ করেছেন রাণীগঞ্জে মেলা হবে না। এরপরও যদি মেলা বসে তা হলে উত্তেজিত জনতার উদ্যোগে মেলাটি ভেঙে দেয়া হবে। এদিকে-আন্দোলনকারীদের এমন আল্টিমেটামের মুখেও মেলার আয়োজনকারীরা পিছু হঠেনি। তারা মেলাটি বসানোর জন্য অবকাটামো তৈরিসহ সকল প্রস্তুতি নিয়েছে বলে জানাগেছে। মেলা নিয়ে কেউ কাউকে ছাড় দিচ্ছে না। মেলা বসানো হলে বড় ধরনের সংঘর্ষের আাশঙ্কায় শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন স্থানীয় লোকজন।
মেলার নামে অসামাজিকতা বন্ধের জন্য এতো আন্দোলন হলেও গতকাল বুধবার রাত থেকে উপজেলার পাটলি ইউনিয়নের কচুরকান্দি এলাকায় মেলা শুরু হয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানাগেছে। জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ হুমায়ূন কবির জানান, রাণীগঞ্জে যাতে মেলা না বসে এ ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়া মেলার আয়োজনকারীরা এখনো কোন সরকারি অনুমতি পায়নি।