মৌলভীবাজারে অনুমোদনহীন আনন্দ মেলার নামে দীর্ঘদিন যাবৎ চলছে অসামাজিক কার্যক্রম
মশাহিদ আহমদ, মৌলভীবাজার ঃ মৌলভীবাজারে দীর্ঘদিন যাবৎ আনন্দ মেলার নামে লটারীর ফাঁদ, জৃুয়ার আসর, মাদক বানিজ্য এবং যাত্রাগানের মোড়কে নগ্ন নৃত্যের সুড় সুঁড়ির ধারাবাহিকতায় অতিক্রান্ত হচ্ছে মৌলভীবাজার ও রাজনগরের বিভিন্ন গ্রাম জনপদের নৈশ অঙ্গণ। এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তপক্ষ নিরব ভৃমিকা পালন করায় এলাকার মধ্যে নীরব ক্ষোভ প্রতিকারহীন অবস্থায় ধুমায়িত হচ্ছে। মৌলভীবাজার সদরের শেরপুর, সাধুহাটি, আথানগিরি এবং রাজনগরের নন্দী উড়া গ্রামে গত দুইমাস যাবৎ বিজয় মেলায় শুরু হয়েছে উল্লেখিত অসামাজিক কার্যক্রম। ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠা সাংস্কৃতিক গোষ্ঠির তত্বাবধানে এই অসামাজিক কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে জেলা প্রশাসনের অনুমোদন ছাড়াই। সংশ্লিষ্ঠ সুত্রে জানা গেছে- অনুমোদনের কোন তেয়াক্কা না করে কেবল রাজনৈতিক খুটির জোরে উদ্যোক্তা মহল রাত ব্যাপি নাচ গান ও জুয়ার আসর বসায়। দর্শক টানার লক্ষ্যে প্রতি প্যান্ডেলে হাউজি বাম্পার র্যাপেলড্র এবং যাত্রা গানের নামে অশ্রীল নৃত্যেরও আয়োজন করা হয়েছে। পেশাদার জুয়ারীদের জন্য তৈরি করা হয়েছে পৃথক মঞ্চ। জানা গেছে- ইউনিয়ন এবং থানা পর্যায়ের রাজনৈতিক নেতৃত্বের অধীনে প্রত্যেক এলাকার প্যন্ডেলের নিরাপত্তার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে উঠতি ক্যাডারদেরকে। রাত দশটার পর থেকে আনন্দমেলার প্রতিটি ইউনিট সক্রিয় হয়ে উঠে। প্রথমে অনুষ্টিত হয় র্যাপেলড্র। অতঃপর হাউজি বাম্পার। রাত গভীর হওয়ার সাথে সাথেই যাত্রা মঞ্চে শুরু হয় নগ্নীকার দৈহিক কসরৎ। অন্যদিকে রাত ১২টার পর থেকেই চিহ্নিত লাইটেস, কার এবং সিএনজি বোঝাই জুয়াড়ীদের আগমনে ভরপুর হয়ে উঠে জুয়ার আসর। অভিযোগ উঠেছে, প্রতিটি প্যন্ডেলে মাদক সেবীদের আনাগোনা বেড়েছে। শহর কিংবা বাজারি মাদক ব্যবসায়ীরাও আনন্দ মেলার মাঠে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। আথানগিরি এবং সাধুহাটি এলাকার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বাসিন্দা জানান- রাত ব্যাপি লাগাতার এই অনাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেও কোন কিনারা পাননি তারা। তাদের মতে প্রত্যেক রাতে প্রতি প্যন্ডেল থেকে লক্ষ টাকার সেলামী যায় বিভিন্ন মহলে। তাই প্যন্ডেল উপদ্রবকে এলাকাবাসী নিয়তি বলেই গণ্য করছেন। অপর একটি সুত্রে প্রকাশ- অবৈধ আনন্দ মেলা চালু করার জন্য আরও বিভিন্ন স্থানে প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।