তাহিরপুরে নিরপরাধ শ্রমিককে মদ দিয়ে আটক সংবাদ নিয়ে ভিন্নমত
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ তাহিরপুরে এক নিরপরাধ শ্রমিক জুলহাস মিয়াকে মদ দিয়ে আটক করে জেল হাজতে প্রেরন করেছে থানা পুলিশ। এ ঘটনার সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে সুরমা টাইমসএ। এতে ভিন্নমত প্রকাশ করেছেন অভিযুক্ত সাজ্জাদ মিয়া। তিনি জানান মূল ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে একটি মহল।
তার মতে, গত ১৯ ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার মধ্য রাতে তাহিরপুর থানার বাদাঘাট পুলিশ ক্যাম্পের এএসআই শরিফ হোসেন গোপন সংবাদের বিত্তিতে উপজেলার পাঠানপাড়া গ্রামের নাজ শিকদারের ছেলে মাদক ব্যাবসায়ী জুলহাস মিয়া (৩২) কে ৫ বোতল ভারতীয় অফিসার্স চয়েজ মদ সহ আটক করে জেল হাজতে প্রেরন করেন। এ ঘটনাটিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে কিছু সাংবাদিক ঘটনার তিন চার দিন পর বিভিন্ন অনলাইন ও প্রিন্ট মিডিয়ায় একটি ভূয়া মিথ্যা বানোয়াট সংবাদ প্রকাশ করে যার সঙ্গে এ ঘটনার কোন সম্পর্ক নেই।
সংবাদে উপজেলার কামড়াবন্দ গ্রামের বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী হাজী বৈদ মিয়া শাহ্’র দুই ছেলে দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার সুনামগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি হাবিব সরোয়ার আজাদ ও তার ছোট ভাই দৈনিক ভোরের কাগজের তাহিরপুর প্রতিনিধি সাজ্জাদ হোসেন শাহ্’র নামে রূপ কথার গল্পের মত মিথ্যা বানোয়াট ও ভুয়া সংবাদ পরিবেশন করা হয়েছে, যার কোন ভিত্তি খোঁজে পাওয়া যায়নি।
বাদাঘাট পুলিশ ক্যাম্পের এএসআই শরিফ হোসেনের বরাত দিয়ে তিনি জানিয়েছেন, জুলহাস মিয়াকে মদ সহ এলাকাবাসীর সামনে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তখন সে তাঁর ভাগিনা কামড়াবন্দ গ্রামের কৃষক আঃ রাজ্জাকের ছেলে সাংবাদিক কামালের পরিচয় দিয়েছিল তাকে ছেড়ে দেয়ার জন্য, তা না হলে তাঁর ভাগিনা তাদেরকে দেখে নেবে। পরদিন সকালে সাংবাদিক কামাল বিভিন্ন নাম্বার থেকে আমাকে ফোন করে তদবিরও করেছিল জুলহাসকে ছেড়ে দেয়ার জন্য, তাছাড়া ঘটনা সময় ছিল ১৯ ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার রাত, সংবাদে কোথাও লিখা হয়েছে শুক্রবার, আবার কোথাও রোববার।
তিনি আরও বলেন, মোটরসাইকেল চালক পাঠানপাড়া গ্রামের সেমানুর জানিয়েছে, তার কোন মোটরসাইকেল নেই, সে একটি মোটরসাইকেল ভাড়ায় চালায়, সেটি কেউ আটক করেনি।
সুরমা টাইমস প্রতিনিধির বক্তব্যঃ
এ ব্যাপারে সুরমা টাইমস’র তাহিরপুর প্রতিনিধি কামাল হোসেন জানান, জুলহাস মিয়া তার মামা নন। জুলহাস মিয়ার গ্রামের বাড়ী তার মামাবাড়ীর এলাকায় হওয়ার কারনে দুষ্কৃতিকারীরা আসল সত্য ধামাচাপা দেয়ার উদ্দেশ্যে অনুমান নির্ভর বানোয়াট বক্তব্য দিচ্ছে।
তারা থানার চিহ্নিত দালাল ও চাঁদাবাজ হিসেবেই এলাকায় পরিচিত। এদের বিরুদ্ধে আদালতে সম্প্রতি দুইটি চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মোটর সাইকেল চালক সেমানুর ও থানার ওসি, এসআইয়ের যে বক্তব্য নেয়া হয়েছে তার প্রমানাদিও প্রতিবেদকের হাতে আছে।