শিবির সভাপতি গ্রেফতার নিয়ে এএসপি-ওসির মিথ্যাচার ॥ ৩৬ ঘন্টা পর দুঃখ প্রকাশ
মশাহিদ আহমদ, মৌলভীবাজারঃ কুলাউড়া উপজেলা (পশ্চিম) শিবির সভাপতি মোঃ মেহদী হাসান দিদারকে গ্রেফতার বিষয়টি শুরু থেকেই কুলাউড়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার জুনায়েদ আলম সরকার ও কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মতিয়ার রহমান জেলার সাংবাদিকদের নিকট অস্বীকার করে আসার ৩৬ ঘন্টা পর স্বীকারপূর্বক দুঃখ প্রকাশ করেছেন। বরমচাল ইউপির সিংঙ্গুর গ্রামের মিলন মিয়ার পুত্র কুলাউড়া উপজেলা (পশ্চিম) শিবির সভাপতি মোঃ মেহদী হাসান দিদারকে গত ২৩ ফেব্রুয়ারী রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার মাধবপুরস্থ তার খালার বাড়ী থেকে গ্রেফতার করে কুলাউড়া থানার পুলিশ। ঘটনা জানার পর তার পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় যোগাযোগ করা হলে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান “বিষয়টি আমার জানা নেই”। পরে উপজেলা ও জেলা শিবিরের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলেও তিনি একই জবাব দেন। ঘটনাটি জানাজানি হলে উপজেলার এবং এ প্রতিনিধিসহ জেলার সাংবাদিকরা যোগাযোগ করলেও তিনি সেই একই জবাব দেন। এরপর কুলাউড়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপারের সাথে যোগাযোগ করা হলে পরদিন রাত প্রায় ১১টা পর্যন্ত তিনিও একই জবাব দেন। অথচ এর আগে একটি জাতীয় দৈনিকের প্রধান কার্যালয় থেকে যোগাযোগ করা হলে সহকারী পুলিশ সুপার জুনায়েদ আলম সরকার ষিয়টি নিশ্চিত করেন। রাত ১১টার পর একটি জাতীয় নিউজ পোর্টালের সম্পাদক যোগাযোগ করলে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মতিয়ার রহমানও বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এ ঘটনা জানতে পেরে আজ দুপুর ১টার দিকে “একটি জাতীয় দৈনিকের প্রধান কার্যালয় এবং একটি জাতীয় নিউজ পোর্টালের সম্পাদককে মোঃ মেহদী হাসান দিদার গ্রফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, অথচ আমাদের কাছে বিষয়টি বার বার অস্বীকার করার কারণ কি”- এ প্রতিনিধির এমন প্রশ্নের জবাবে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মতিয়ার রহমান জানান- মোঃ মেহদী হাসান দিদার ও তার সাংগঠনিক সহযোগীদের একটি সিরিজ অপারেশন সংঘটন নস্যাতের অভিযানে থাকায় কৌশলগত কারণে বিষয়টি অস্বীকার করা হয়েছিল জননিরাপত্তার স্বার্থে। তাকে সিলেট এসএমপি পুলিশ গ্রেফতার করেছিল। তবুও অনিচ্ছাকৃত এ বিষয়টির জন্য আমি আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করছি। অপরদিকে, মোঃ মেহদী হাসান দিদারকে গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন ইসলামী ছাত্রশিবির মৌলভীবাজার জেলা সভাপতি মু, দেলাওয়ার হোসেন জয়নুল ও সেক্রেটারী আব্দুল্লাহ আল মাহফুজ সুমন। প্রতিবাদ বার্তায় তারা বলেন, মেধাবী শিবির নেতা মেহদী হাসানকে গ্রেফতার করে ২০ ঘন্টা অতিবাহি হওয়ার পরেও পুলিশ প্রশাসন গ্রেফতারের বিষয় নিশ্চিত না করে তার পরিবারের সদস্যবৃন্দকে দুশ্চিন্তায় নিপতিত করা অমানবিক। তারা আরও বলেন, মেহদী হাসানের কোন কিছু হলে এর সম্পূর্ণ দায়ভার প্রশাসনকেই নিতে হবে। নেতৃদ্বয় গ্রেফতারকৃত সব নেতাকর্মীকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে ও শিবির নেতাকর্মীদের গ্রেফতার-নির্যাতনসহ অমানবিক ও বর্বর আচরণ থেকে সরে আসতে পুলিশ প্রশাসনের প্রতি আহবান জানান।