সিলেটে ছাত্রদলের গরম তেলে ছাত্রলীগ কর্মীর মা-বোন দগ্ধ
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ নগরীর খুলিয়াটুলায় ছাত্রদল নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ছাত্রলীগকর্মীর মা ও বোনের উপর গরম তেল নিক্ষেপের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে গুরুতর আহত হয়েছেন মা ও মেয়ে। তাদেরকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে পুলিশ দাবি করছে রাজনৈতিক নয় পারিবারিক বিরোধের জের ধরে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- খুলিয়াপাড়া ১৩ নম্বর বাসার বাসিন্দা ছাত্রলীগকর্মী আশফাক আহমদ বাপ্পীর মা নাজমা বেগম (৪৫) ও বোন ফাহমিদা আহমেদ (১৮)। বাপ্পী স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আলাউদ্দিন আহমদ মুন্নার ছেলে।
সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি রশিদুল ইসলাম রাশেদ গনমাধ্যমকে জানান- আশফাক আহমদ বাপ্পী একসময় ছাত্রদল করত। পরে সে ছাত্রলীগে যোগ দেয়। এরপর থেকে স্থানীয় ছাত্রদল নেতাকর্মীদের সাথে তার বিরোধ চলে আসছিল।
দল পরিবর্তনের জের ধরে মঙ্গলবার রাতে খুলিয়াটুলায় তার বাসার পাশে একটি রেস্টুরেন্টের সামনে ছাত্রদলকর্মী সবুজ, তোফায়েল, শামীম, সুমন ও রহিমসহ কয়েকজনের সাথে বাপ্পীর কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে উত্তেজনা দেখা দিলে বাপ্পীর মা ও বোন বাসা থেকে বের হয়ে আসেন। এসময় ছাত্রদল কর্মীরা কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক ছড়ায় ও হোটেলের কড়াই থেকে বাপ্পীর মা ও বোনের শরীরে গরম তেল নিক্ষেপ করে।
ছাত্রলীগ নেতা রাশেদ আরও জানান- আহতাবস্থায় মা ও মেয়েকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৪র্থ তলার ৬নং ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। তবে হামলার এ ঘটনা রাজনৈতিক নয় দাবি করে লামাবাজার ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই রবিউল ইসলাম জানান- পারিবারিক বিরোধের জের ধরে মা ও মেয়ের উপর দুর্বৃত্তরা গরম তেল ছুঁড়ে মেরেছে। হামলাকারী একজনের নাম সবুজ বলে স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানান এসআই রবিউল।
এদিকে, হামলার খবর পেয়ে আহতদের দেখতে মঙ্গলবার রাতে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছুটে যান সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ডের কমান্ডার ভবতোষ রায় বর্মন রানা, ডেপুটি কমান্ডার আবদুল খালিক, মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আসাদুজ্জামান আসাদ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আফসার আজিজ, যুবলীগ নেতা শাহাদত হোসেন শাহেদ, শাহ জুনেদ, পাপ্পু আহমদ, জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি রশিদুল ইসলাম রাশেদ, আলী হোসেন, রুহেল তালুকদার ও ওসমানী মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি সৌমেন রায় প্রমুখ। তারা আহতদের চিকিৎসার খোঁজ খবর নেন এবং এ ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।