তাহিরপুরে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত বয়োবৃদ্ধ আসকর আলীর মৃত্যু

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে মামলা মোকদ্দমার জের সংঘর্ষে গুরুতর আহত হয়ে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় টানা ৯দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে এক বয়োবৃদ্ধ সোমবার সকালে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন। নিহতের নাম আশরাফ হোসেন ওরফে আসকর আলী । তিনি উপজেলার বড়দল উওর ইউনিয়নের শিমুলতলা গ্রামের মৃত ইউনুছ আলী মুন্সীর ছেলে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায়, উপজেলার শিমুলতলা গ্রামের মৃত ইউনুছ আলী মুন্সীর ছেলে হত্যাকান্ডের শিকার আসকর আলী সহ তার পরিবারের লোকজনের সাথে তারই প্রতিবেশী ও নিকটাত্বীয় মৃত আক্রম আলীর ছেলে হাবিবুর রহমান ও তার পরিবারের লোকজনের মধ্যে দ্বীর্ঘ দিন ধরেই আদালতে বিচারাধীন একাধিক মামলা মোকদ্দমা নিয়ে পুর্ব বিরোধ চলে আসছিলো। চলতি মাসের ১৫ ফেব্রুয়ারী রবিবার সকালে গ্রামের রাস্তায় আসকর আলীর ছেলে মশিউরকে পথরোধ করে হাবিবুর ও তার পরিবারের লোকজন এলোপাতারী ভাবে রামদা দিয়ে কুপাতে থাকে। এ অবস্থায় মশিউরের পরিবারের লোকজনও ঘটনা দেখে পরে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে উভয় পরিবারের মহিলা পুরুষ সহ কমপক্ষে ১৩ থেকে ১৫ জন আহত হন। এদিকে এ অবস্থায় সংঘর্ষ থামাতে ও নিজ ছেলেকে কুপাতে দেখে নিজের দোকান থেকেই ছেলেকে রক্ষায় এগিয়ে আসেন বয়োবৃদ্ধ আসকর আলী। কিন্তু প্রতিপক্ষের লোকজন তাকেও রামদা দিয়ে মাথায় কুপিয়ে রক্তার্থ জখম করে মাটিতে ফেলে লোহার রড ও কাঠের রোল দ্বারা বেধরক ভাবে পিঠিয়ে সংজ্ঞাহীন ভাবে ফেলে যায়। পরে গ্রামবাসী ও পরিবারের লোকজন পিতা ও ছেলেকে উদ্যার করে ঐ দিন দুপুরে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উভয়কেই সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজে হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এদিকে টানা ৯ দিন চিকিৎসার পর মাথায় অতিরিক্তক্ষরণ, বাম চোখের কর্ণিয়া নষ্ট হয়ে যাওয়া ও হাত ,বুক, কোমড়ের নিচে একাধিক আঘাত এবং জখমের যন্ত্রনা সইতে না পেরে অবশেষে গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ১০ টায় বয়োবৃদ্ধ আসকর আলী মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। গতরাতে নিহতের স্বজনরা তার লাশ বাড়িতে নিয়ে আসলে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
অপরদিকে ১৫ ফেব্রুয়ারীর ঘটনায় আসকর আলীকে চিকিৎসাধীন রেখে তার জেষ্ট ছেলে মোয়াজ্জেম হোসেন গত ১৯ ফেব্রুয়ারী হাবিবুর তার ভাতিজা আলমগীর, ওয়াসীম,তারেক ও সহ ৬ জনকে অভিযুক্ত করে একটি মামলা দায়ের করেন।
থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.শহিদুল্লাহ্র নিকট এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বললেন , পুর্বের অভিযোগটি ইতিমধ্যেই ডায়রীভুক্ত করা হয়েছে এবং ঐ এজাহারনামাকেই হত্যা মামলা হিসাবে তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।