বিদ্যুৎহীন নগরবাসীর ১২ ঘন্টা দূর্ভোগ; সন্ধ্যায় মিললো বিদ্যুতের দেখা

Khaleda Hause electricityসুরমা টাইমস ডেস্কঃ ফালগুনের প্রথম দিকে ঝড়ো বাতাস প্রাকৃতিক পরিবেশের জন্য সুবাতাস নিয়ে আসলেও দিনভর বিদ্যুৎহীন নগরীর নগরবাসী পড়েছেন চরম দুর্ভোগে। বৃহস্পতিবার শেষ রাতে তুমুল ঝড়ে নগরীর কুমারগাঁও এলাকার অন্যতম বিদ্যুৎ সাব স্টেশনে ‘সিটি প্লেসে’ বড় ধরনের ত্রুটি দেখা দেয়ায় প্রায় ১২ ঘন্টা দুর্ভোগ পোহাতে হয় নগরবাসীকে। বৃহস্পতিবার সকাল ৬ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত টানা ১১ ঘন্টা বিদ্যুৎহীন ছিল নগরী। বিদ্যুৎ না থাকায় বাসা বাড়িতে পানি সংকটে পড়ে চরম দুর্ভোগে পড়েন বাসাবাড়ি লোকজন। অনেকেই বাসায়, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং অফিসে গুরুত্বপূর্ণ কাজ করতে ঝামেলায় পড়তে হয়। স্থবির হয়ে পড়ে বিদ্যুৎ চালিত কলকারখানা ও যন্ত্রপাতি। এদিকে রাত ৩টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত বৃষ্টিপাত এর পরিমান ছিলো প্রায় ১৮ মিলিমিটার।
জানা যায়, সকাল থেকে ১২ ঘন্টা ছিলো বিদ্যুৎহীন। দুর্ভোগের শিকার হন নগরীর বন্দর বাজার, জিন্দাবাজার, আম্বরখানা, ফাজিল চিশত, মধুশহীদ, ওসমানী মেডিকেল, পাঠানটুলা, আখালিয়া, শেখঘাট, লামাবাজার, দক্ষিন সুরমার বরইকান্দি, কদমতলী, ভার্তখলা, কাইস্তরাল, বারখলাসহ আশপাশ এলাকাসহ নগরীর বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা।এমন বিপর্যয় সম্পর্কে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের কুমারগাঁও সাব স্টেশনের নির্বাহী কর্মকর্তা উজ্জ্বল লাল মোহন্ত জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার ভোরে সিলেট নগরী ও আশপাশ এলাকার উপর দিয়ে ঝড়ো বাতাস বয়ে যায়। আর এই ঝড়ের সময় কুমারগাঁও সাব স্টেশনের সিটি প্লেসে আগুন ধরে যায়। বেশ কয়েকবার শর্টসার্কিট হবার পর ওই স্টেশনটি পুরো বিকল হয়ে পড়ে। এদিকে ফাল্গুনের প্রথম ঝড়ো বুষ্টির রেকর্ড করা হয়েছে ১৮ মিলিমিটার। সিলেট আবহাওয়া অফিস সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার রাত ৩টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত বৃষ্টিপাত এর পরিমান ছিলো প্রায় ১৮ মিলিমিটার।