যৌন পল্লী থেকে পালিয়ে রক্ষা কমলগঞ্জের কিশোরীর
শেষ আশ্রয় সিলেট নারী পুনর্বাসন কেন্দ্রে
কমলগঞ্জ প্রতিনিধিঃ মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার পতনউষার ইউনিয়নের একটি অবৈধ যৌন পল্লী থেকে পালিয়ে আসা কিশোরী মনোয়ারার শেষ আশ্রয় এখন সিলেট প্রতিবন্ধী প্রশিক্ষণ ও পূণর্বাসন কেন্দ্রে। গত মঙ্গলবার সকাল সাড়ে নয়টায় কিশোরীটি পালিয়ে আসার পর কমলগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে গতকাল বুধবার সকালে তাকে সিলেটস্থ খাদিমনগর প্রতিবন্ধী প্রশিক্ষণ ও পূণর্বাসন কেন্দ্রে প্রেরণ করা হয়।
জানা যায়, বাবা-মার মৃত্যুর পর ভাইদের সাথে সম্পর্ক ভালো না থাকায় কমলগঞ্জের আদমপুর ইউনিয়নের নইনারপার গ্রামের কিশোরী মেয়ে মনোয়ারা (১৩) গত বছর জুলাই মাসে রাগ করে বাড়ি বের হয়। দুই প্রতারক তাকে কাজ দেবার নাম করে পতনউষার ইউনিয়নের টিলাগড় গ্রামের আজিদ আলীর বাড়িতে জনৈক আসমা বেগমের কাছে বিক্রি করে দেয়। সে বাড়িতে তাকে আটকিয়ে রেখে অসামাজিক কাজে নিয়োজিত করা হয়েছিল। গত মঙ্গলবার সকাল সাড়ে নয়টায় কিশোরীটি পালিয়ে পার্শ্ববর্তী রথেরটিলা গ্রামের রফিক মিয়ার বাড়িতে আশ্রয় নেয়। পতনউষার ইউনিয়ন পরিষদ ও আদমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের মাধ্যমে কিশোরী কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার শরনাপন্ন হয়েছিল। কিশোরীটি ভাইদের জিম্মায় যেতে না চাইলে কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা শীতের জামা কাপড় সহ উপজেলা সমাজসেবা অফিসার সরজিৎ কুমার পালের মাধ্যমে গতকাল সকালে তাকে সিলেট প্রতিবন্ধী প্রশিক্ষণ ও পূণর্বাসন কেন্দ্রে প্রেরণ করেন। এ সময় উপজেলা কৃষি অফিসার মো.শামসুদ্দিন, আদমপুর ইউপি চেয়ারম্যান সাব্বির আহমদ ভূঁইয়া উপস্থিত ছিলেন।
কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবাসহ নিরাপত্তায় অবস্থানের জন্য সিলেটে সমাজসেবা অধিদপ্তরের প্রতিবন্ধী প্রশিক্ষণ ও পূণর্বাসন কেন্দ্রে পাঠানো হয়। নির্বাহী কর্মকর্তা আরো বলেন, কিশোরীর কোন অভিভাবক না থাকায় ও সে অপ্রাপ্ত বয়স্ক থাকায় তিনি কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে বলেছিলেন পুলিশি উদ্যোগে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য।
এদিকে বুধবার দুপুরে শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) মতিউর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সে বাড়িতে কাউকে না পেয়ে ফিরে আসেন।