জামায়াত নেতা সোবহানের যুদ্ধাপরাধ মামলার রায় কাল
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের নায়েবে আমির আব্দুস সোবহানের মামলার রায় আগামীকাল বুধবার ঘোষণা করা হবে। মঙ্গলবার সকালে ট্রাইব্যুনাল এ তারিখ নির্ধারণ করেন। এসময় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সুলতানা রেজিয়া চমন উপস্থিত ছিলেন। আসামি পক্ষের আইনজীবী আসাদউদ্দিন গনমাধমকে এ তথ্য জানান।
মামলার বিষয়ে সোবহানের প্রধান আইনজীবী এসএম শাহজাহান গনমাধমকে বলেন, ‘রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা সোবহানের বিরুদ্ধে কথিত অভিযোগগুলো ট্রাইব্যুনালের কাছে প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন। তার বিরুদ্ধে প্রসিকিউশন নয়টি অভিযোগ এনেছে। তারা অভিযোগগুলো নিশ্ছিদ্রভাবে প্রমাণ করতে পারেননি। যেহেতু অভিযোগগুলো যথাযথভাবে প্রমাণ করতে পারেনি প্রসিকিউশন তাই তিনি খালাস পাবেন বলে আমরা আশা করছি।’
উল্লেখ্য, গত বছরের ৪ ডিসেম্বর বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-২ মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রেখে রায় দেন। ওইদিন রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউটর জিয়াদ আল মালুম ও আসামিপক্ষে মিজানুল ইসলাম সমাপনী যুক্তি উপস্থাপন করেন।
এ মামলার শুরু থেকেই এর সাক্ষ্যগ্রহণ ও যুক্তি উপস্থাপন করে আসছিলেন প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজ, প্রসিকিউটর সুলতানা রেজিয়া চমন, প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ সীমন, প্রসিকিউটর তাপস কান্তি বল প্রমুখ।
অপরদিকে সুবহানের পক্ষে মামলা পরিচালনা করেছেন আইনজীবী মিজানুল ইসলাম, ব্যারিস্টার এহসান এবং এসএম শাহজাহান।
উল্লেখ্য, সুবহানের পক্ষে কোনো সাফাই সাক্ষী না থাকায় রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন গত ২ নভেম্বর থেকে শুরু হয়।
এর আগে গত ৭ এপ্রিল থেকে আব্দুস সোবহানের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের সাক্ষীদের জবানবন্দি গ্রহণ শুরু হয়। ৩০ সেপ্টেম্বর সুবহানের মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তা নূর হোসেনের জেরা শেষ করার মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রপক্ষের মোট ৩১ সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণ শেষ হয়।
গত বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর সুবহানের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল। এরপর ৩১ ডিসেম্বর তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। এর আগে ১৫ সেপ্টেম্বর সুবহানের বিরুদ্ধে ৮৬ পৃষ্ঠার ওই আনুষ্ঠানিক অভিযোগ ট্রাইব্যুনালে জমা দেয় প্রসিকিউশন।
গত বছরের ১৫ এপ্রিল থেকে সোবহানের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে গত ১২ সেপ্টেম্বর তদন্ত কাজ সম্পন্ন করে তদন্ত সংস্থা। তদন্তের স্বার্থে গত ১ সেপ্টেম্বর সেফহোমে নিয়ে সোবহানকে জিজ্ঞাসাবাদও করে ওই সংস্থা।
৯টি অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত কর্মকর্তা ও জব্দ তালিকার সাক্ষীসহ মোট ৪৩ জনকে সাক্ষী করা হয় সোবহানের বিরুদ্ধে।
২০১২ সালের ২০ সেপ্টেম্বর সকালে টাঙ্গাইলে বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্বপ্রান্ত থেকে সোবহানকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।