জাতিসংঘের সামনে বিএনপির বিক্ষোভ : এ সংগ্রাম গণতন্ত্র ও দেশ রক্ষার সংগ্রাম

খালেদা জিয়াকে বন্দী করে হাসিনা প্রমাণ করেছেন তিনি বাকশালের প্রেতাত্মা : ওসমান ফারুক

BNP-United-Nationনিউইয়র্ক থেকে এনা: ৫ জানুয়ারি ঢাকায় বিএনপিকে সমাবেশ করতে না দেয়া, বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে গুলশান কার্যালয়ে অবরুদ্ধ বা বন্দী করে রাখার প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির ( ডা. মুজিব) গ্রুপের এক প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয় গত ৪ জানুয়ারি (নিউইয়র্ক সময়) দুপুরে নিউইয়র্কের জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সামনে। বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে বাক্তব্য রাখেন বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ওসমান ফারুক। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা আহবায়ক ডা. মজিবুর রহমান মজুমদারের সভাপতিত্বে ও পরিচালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি প্রফেসার দেলোয়ার হোসেন, সাবেক সহ সভাপতি ইলিয়াস আহমেদ মাস্টার, সাবেক সহ সভাপতি মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরী, এডভোকেট জামাল আহমেদ জনি, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা যুগ্মসাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন, বিএনপির বৈদেশিক বিষয়ক বিশেষ দূত জাহিদ সর্দার সাদি, বিএনপি নেতা জাহিদ দেওয়ান শরিফ, শাহজাহান শেখ, যুক্তরাষ্ট্র জাতীয়তাবাদী ফোরামের সভাপতি রাফেল তালুকদার, ওমর ফারুক, জাফর তালুকদার, রাসেদুল ইসলাম, ছানা উল্যাহ বাবুল প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ওসমান ফারুক বলেন, শেখ হাসিনার এই সরকার ভারত নয়, আফ্রিকা নয়, আমেরিকা মহাদেশ নয় সারা বিশ্বের নিকৃষ্টতম সরকার। আজকে এই সরকার দেশের গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে, মানবাধিকার লঙ্গন করেছে ও দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছে। সেই সাথে দেশের প্রতিটি প্রশাসন যন্ত্রকে দলীয়করণ করেছে। এই সরকার শুধু গণতন্ত্রকে হত্যা করেনি, গণতন্ত্রের কবর রচনা করেছে। তিনি আরো বলেন, বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে বন্দী করে প্রমাণ করেছে শেখ হাসিনার সরকার হচ্ছে ফ্যাসিস্ট সরকার, শেখ হাসিনা বাকশালের প্রেতাত্মা এবং বাকশালের সত্যিকার উত্তরসূরি। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যে জবাব বলেন, বেগম খালেদা জিয়া ক্ষমতায় যাবার জন্য আন্দোলন করছেন না, তিনি আন্দোলন করছেন গণতন্ত্র এবং দেশকে রক্ষা করার জন্য। মানুষের অধিকার রক্ষার জন্য, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষার জন্য। বেগম খালেদা জিয়ার যদি ক্ষমতালিপ্সা থাকতো তাহলে তিনি স্বৈরাচারি এরশাদ এবং সর্বশেষ ১/১১ সরকার মঈন উদ্দিন এবং ফখরুদ্দিনের সাথে সমঝোতা করতেন। কিন্তু এরশাদ ও মঈন উদ্দিন- ফখরুদ্দিনের সাথে শেখ হাসিনাই সমঝোতা করেছিলেন। সুতরাং ক্ষমতারলিপ্সা কার এটা বাংলাদেশের মানুষ ভাল করেই জানে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ হচ্ছে ক্ষমতালিপ্সু একটি দল, দেশের গণতন্ত্র এবং দেশবিরোধী একটি দল। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ৭ মার্চের ভাষণের সাথে মিল রেখে বলেন, এবারের সংগ্রাম, গণতন্ত্র রক্ষার সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম দেশ রক্ষার সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের নেতৃত্বে চিরতরে বাকশাল থেকে মুক্তির সংগ্রাম। এই আন্দোলনে তিনি দেশে এবং প্রবাসে সবাইকে পদ পদবী এবং ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন করার আহবান জানান।
ডা. মজিবুর রহমান মজুমদার বলেন, দেশ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে আমাদের দ্বিতীয় মুুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়েছে। এই যুদ্ধে জয়ী না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন তিনি।
এডভোকেট জামাল আহমেদ জনি বলেন, শেখ হাসিনা সরকার হচ্ছে গণতন্ত্র হত্যার সরকার, ভোট চোর সরকার। এই সরকারের পতনে ঘটিয়ে বাংলাদেশের মানুষের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দিতে হবে।
গিয়াস উদ্দিন বলেন, এই ফ্যাসিস্ট হাসিনার সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত আমরা ঘরে ফিরে যাবো না। তিনি বলেন, বন্দী, হামলা এবং মামলা করে কোন স্বৈরাচার ক্ষমতায় থাকতে পারেনি, শেখ হাসিনাও পারবে না।
প্রফেসার দেলোয়ার হোসেন বলেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার পতনে প্রয়োজনে আমরা প্রবাসী সরকার গঠন করবো।
রাফেল তালুকদার বলেন, ১৯৭১ সালে আমরা দেশের জন্য মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম, এবার বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্বে গণতন্ত্র রক্ষার যুদ্ধে নেমেছি। বিজয় অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো।
বিক্ষোভ সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা আনোয়ার হোসেন, আবুল কাশেম, ছানা উল্যাহ, মিনহাজ উদ্দিন, মোহাম্মদ আফসার উদ্দিন চৌধুরী, নাসির উদ্দিন, এ বি সিদ্দিকী, এ কে এম শাহীন আক্তার, মাহবুবুর রহমান, এম এ হাসান, মোহাম্মদ রফিকুর রহমান, মোহাম্মদ আবুল কাশেম, আব্দুল হাই, আব্দুল কাদের, ওমর ফারুক, মিজানুর রহমান, আব্দুর রহিম, নাজমুল হাসান মানিক প্রমুখ।