জকিগঞ্জে সুরমা নদীর করাল গ্রাসের মুখে ২ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ ৩ টি গ্রাম
নদীগর্ভে বিলিন শতাধিক বাড়িঘর
আল হাছিব তাপাদার,জকিগঞ্জঃ সুরমা নদীর অব্যাহত ভাঙ্গন উপজেলার বারহাল ইউনিয়নে ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। ভাঙ্গনের হুমকির মুখে রয়েছে পরচক সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, শরিফাবাদ আরজানিয়া মাদ্রাসা ও একটি মসজিদসহ বেশ কয়েকটি বাড়ীঘর। সুরমা নদীর বেড়িবাধ ভেঙ্গে যাওয়ায় বন্ধ রয়েছে ২০/২৫ টি গ্রামের যাতায়াত ব্যবস্থা। তলিয়ে গেছে শরীফাবাদ গ্রামের কয়েকটি বাড়ী ও দোকান কোঠা।
স্থানীয়রা জানান, গত কয়েক বছরে নদীগর্ভে বিলিন হয়েছে উত্তর খিলগ্রাম, চকগ্রাম, শরীফাবাদ ও পরচক গ্রামের শতাধিক ঘরবাড়ী। চলতি বছর ৪০লক্ষ টাকা ব্যয়ে পরচক প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্মাণ হয়েছে। ভাঙ্গনের মুখে পড়ায় উদ্বিগ্ন স্কুল, মাদ্রাসা পড়–য়া শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা। ভাঙ্গনের বিষয়ে উপজেলা পরিষেদের সমন্বয় সভায় একাধিকবার ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রস্তাব করলেও কোন ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়নি বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।
শরিফাবাদ গ্রামের বাসিন্দা ওহিদুজ্জামান চৌধুরী বলেন, নদী ভাঙ্গনে আমরা অসহায়, ব্যবস্থা নিতে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করছি। ইউপি সদস্য আতাউর রহমান চৌধুরী বলেন, নদী ভাঙ্গন রোধে ব্যবস্থা না নিলে নদীগর্ভে হারিয়ে যাবে এ অঞ্চল। যাযাবরের জীবন যাপন করবে কয়েক হাজার মানুষ ।
বারহাল ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমদ চৌধুরী জানান, নদীর ভাঙ্গন রোধে ব্যবস্থা নিতে উপজেলা পরিষদের সমন্বয় সভায় একাধিকবার উপস্থাপন করা হলেও কোন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা টিটন খীসা বলেন, ভাঙ্গন রোধে জরুরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সিদ্দিকুর রহমান বলেন, সংসদ সদস্যের সুপারিশ পেয়ে একটি প্রকল্প তৈরি করা হয়েছে। অনুমোদনের জন্য প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
সিলেট-৫ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব সেলিম উদ্দিন জানান, নদী ভাঙ্গন জকিগঞ্জের প্রধান সমস্যা। জকিগঞ্জ দিয়ে প্রবাহিত সুরমা কুশিয়ারা দু’টি নদীই সীমান্ত নদী হওয়ায় এ নদীগুলোর ভাঙ্গন মানচিত্রে আঘাত হানছে। নদী ভাঙ্গন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলীকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।