পুলিশের রক্তচক্ষুকে বৃদ্ধাংগুলি : মিছিল করল বিএনপি
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ প্রশাসন ও পুলিশের রক্তচক্ষুকে বৃদ্ধাংগুলি দেখিয়ে সরকারবিরোধী চলমান আন্দোলনের প্রায় দেড়মাস পেরিয় যাওয়ার পর অবশেষে মাঠে নামলেন সিলেট বিএনপির নেতারা। পুলিশের অনুমতি না পাওয়ায় সিলেট বিএনপি বিক্ষোভ সমাবেশ নিয়ে ছিল অনিশ্চয়তা। নানা অনিশ্চয়তা, নেতা কর্মীদের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতা, পুলিশের বেধে দেয়া সময় এবং গন্ডির ভেতরে থাকা স্বত্তেও প্রায় বড়সড় মিছিল করেছে সিলেট বিএনপি। কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে শনিবার বিকেলে সিলেট নগরীর কোর্ট পয়েন্ট থেকে জিন্দাবাজার পয়েন্ট পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল করেন তারা।
দুপুর ১টায় সিলেট জেলা বিএনপি নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য দিলদার হোসেন সেলিম বিক্ষোভ মিছিল সফল করতে দুপুর ১টায় কোর্ট পয়েন্টে একাই উপস্থিত হন বিএনপি নেতা দিলদার হোসেন সেলিম। এসময় দিলদার হোসেনে সেলিম কে দেখে তার কাছে ভিড় জমান পুলিশ ও গণমাধ্যমের কর্মীরা। কিছু সময় কোর্ট পয়েন্টে অবস্থান করলেও পরে পুলিশী বাধার কারণে কোর্ট পয়েন্টে ছাড়তে হয় তাকে। এসময় তিনি হেটে হেটে জিন্দাবাজার উদ্দ্যেশ কিছু দূর আসার পর পুলিশ তার পিছু নেয় এবং তাকে রিকশা তুলে দিয়ে বাসায় চলে যেতে বলে।
বিএনপি সহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা আত্মগোপনে থাকার কারনে গনমাধ্যম কর্মীরা তাদের সাক্ষাৎ পাওয়াতো দুরের কথা, মোবাইলেও যোগাযোগ করা যাচ্ছিলনা। তবে কেন্দ্র ঘোষিত শনিবারের বিক্ষোভ কর্মসূচীতে অনেক নেতাকর্মীকেই দেখা যায়। এসময় মহানগর বিএনপি’র আহবায়ক কমিটির সিনিয়র সদস্য আজমল বকত সাদেকের সাথে সংক্ষিপ্ত কতোপকথনে তিনি জানান সরকার যেভাবে নির্লজ্জ্যভাবে বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীর উপর হামলা/মামলা ও গনগ্রেফতার জুলুম চালাচ্ছে তাতে চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবেই নেতাকর্মীরা আত্মগোপনের পথ বেছে নিয়েছেন। অবৈধ সরকারের পতন এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র।
মিছিলে উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য এম এ হক, নাসিম হোসাইন, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আলী আহমদ, মহানগর বিএনপির সদস্য আজমল বখত সাদেক, আব্দুল জব্বার তুতু, জেলা যুবদলের সভাপতি এম এ মান্নান, সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশীদ মামুন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা দলের সদস্য সচিব ডা. নাজমুল ইসলাম, বিএনপি নেতা এডভোকেট মুজিবুর রহমান মুজিব. এডভোকেট মুমিনুল ইসলাম মুমিন, সালাউদ্দিন মামুন, রায়হান আহমদ, আলী আকবর রাজন প্রমুখ। এসময় অর্ধ শতাধিন নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
মিছিল থেকে সরকারবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দেয়া হয়। এছাড়া ২০ দলীয় জোটের ডাকা আগামীকাল রবিবার থেকে ৭২ ঘন্টার হরতাল সফল করার আহবানও জানানো হয়।