খেলা ওপারে, দর্শক এপারে; মাঝখানে জুয়া ও মাদক ব্যবসা
জৈন্তপুর প্রতিনিধিঃ সীমান্তবর্তী উপজেলা জৈন্তাপুরের গোয়াবাড়ী সীমান্ত এলাকায় ভারতের চাঁন্দ ঘাট নামক এলাকায় চলছে ২দিন ব্যাপি ফুটবল টুর্নামেন্ট। খেলাকে কেন্দ্র করে মুলত এখানে চলছে জুয়া ও মদের আসর। আর সীমান্ত এলাকা অতিক্রমের বিষয় বিজিবি কিছুই জানে না। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, আন্তজাতিক সীমান্ত পিলার ১২৯৪সংলগ্ন ভারতের চাঁন্দঘাট নামে স্থানে প্রতি বৎসর ফুটবল খেলা আয়োজন করে স্থানীয় খাসিয়া সম্প্রদায়ের বাসিন্দারা। আর এই ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে চলতে থাকে নানা রকমের আয়োজন। আয়োজনের মধ্যে মদ ও জোয়া খেলার আসর। বিজিবি-বিএসএফের অনুমতি না নিয়ে স্থানীয় বাংলাদেশীরা অবাধে ভারতে প্রবেশ করছে। তাদের মধ্যে অনেকেই মদ খাচ্ছে আবার কেউ কেউ জোয়া খেলছে।
ভারতীয় ও বাংলাদেশী সূত্রে জানা যায়, ভারতের খেলা আয়োজক কমিটি ভারত অংশে ১টি জোয়ার বোর্ড এর জন্য ১ লাখ ১ হাজার টাকা, মদ ও ভাতের দোকান ৪০হাজার টাকা এবং আনুসাঙ্গিক দোকান ৩২হাজার টাকা নিলাম দিয়েছে। ফুটবল খেলাকে ঘিরে ১২৯৩ হতে ১২৯৫পিলার পর্যন্ত ভূখন্ডে বসেছে জোয়ার পসরা। এছাড়া বাংলাদেশের অংশে জোয়া খেলাকে কেন্দ্র করে ২টি গ্র“পের মধ্যে চলছে উত্তেজনা। এদিকে বডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি ৫ ও বিজিবি ৪১ কোন টহল দলের দেখা মিলেনি। এব্যাপারে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকাবাসী জানান, চাঁনঘাটের ফুটবল খেলার বিষয়টি বিজিবির সবাই জানে। কিন্তু ১২৯৪ পিলারটি ২টি ব্যাটালিয়নের অধিনস্থ থাকায় দায়িত্ব পালনে কাউকে কখনো দেখা যায়নি। তাই নিবিঘেœ বাংলাদেশীরা ভারতে প্রবেশ করছে। কোন কারনে অপ্রিতিকর ঘটনা ঘটেলে পাতাক বৈঠক ছাড়া কারো কিছু করার থাকবে না।
এব্যাপারে বিজিবি ৪১ লালাখাল ক্যাম্প কমান্ডার নায়েক সুবেদার সুরেন্দ জানান, এখানে ফুটবল খেলা হচ্ছে এবিষয়টি আমকে কেউ অবহিত করেনি। টহল টিমের অবস্থান জানতে চাইলে তিনি বলেন, জায়গাটি দুরে হওয়ায় কারনে পায়ে হেটে যেতে অনেকটা সময় লাগে তাই বিজিবিকে পাননি। আজ শুক্রবার ফাইনাল খেলা হবে এবং বাংলাদেশীরা প্রবেশ করবে প্রশ্ন করা হলে তিনি কোন সদোত্তর দেননি।
এবিষয়ে বিজিবি-৫ এর কোম্পানী কামান্ডার আব্দুর রশিদ জানান- আমি জৈন্তাপুর বিজিবি ক্যাম্পকে কড়া সর্তক করার পরেও কিভাবে সাধারণ মানুষ ভারতে প্রবেশ করেছে বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। আগামী দিন যাতে কোন বাংলাদেশী চাঁনঘাটে প্রবেশ করতে না পারে এজন্য কড়া ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এ বিষয়ে জৈন্তাপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ হারুনুর রশীদ চৌধুরী জানান, এটি সীমান্তের জিরো পয়েন্ট এলাকা । এখানে তাদের করনীয় কিছু নেই, সীমান্তের বিষয়টি বিজিবি দেখে। তারপরও তিনি বিজিবিকে বিষয়টি অবহিত করবেন। এছাড়া সীমান্ত অতিক্রম করে কেউ যাতে বাংলাদেশের অভ্যান্তরে প্রবেশ করতে না পারে, সে জন্য পুলিশ সর্তক অবস্থানে রয়েছে।