নবীগঞ্জে চেয়ারম্যান পুত্র সন্ত্রাসী রাসেলের শাস্তির দাবী করলেন বিধবা আজিজা বেগম

Nabi 2উত্তম কুমার পাল হিমেল,নবীগঞ্জ থেকেঃ হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার গজনাইপুর ইউনিয়নের লোগাঁও গ্রামের অসহায় বিধবা আজিজা বেগম একই ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান শাহ নেওয়াজ, তার ভাই সামছুজ্জামান ও শ্যালক আব্দুল মান্নান এবং ছেলে রাসেলের বিরুদ্ধে তার ছেলে রমজান আলীকে অবৈধ বন্দুক দিয়ে ফাসাঁনোর অভিযোগ করেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে নবীগঞ্জ প্রেস কাবে সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি এ অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, আমার স্বামী মারা যাওয়ার পর আমাদের পরিবারের ৬ ছেলে ৩ মেয়ে নিয়ে মানবেতর ভাবে জীবন যাপন করে আসছি। পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী আমার ছেলে রমজান আলী সে গত ৬/৭ বছর যাবৎ রাজমিস্ত্রীর কাজ করিয়া আমাদের পরিবারের ভরন পোষনসহ আমার ছোট বাচ্ছাদের লেখা পড়ার খরচ চালিয়ে আসছিলো। গত প্রায় মাস দেড়েক আগে কোন কাজকর্ম না থাকায় একই গ্রামের সাবেক চেয়ারম্যান শাহ নেওয়াজের পুরাতন বাড়ীতে রাতের বেলায় পাহাড়াদারের দায়িত্বে নিযুক্ত হয়। দায়িত্বে থাকা অবস্থায় গত ২৬ জানুয়ারী ২০১৫ইং তারিখ রাত অনুমান ১১টার দিকে আমার ছেলে রমজান আলীকে বাড়ীর মালিক সাবেক চেয়ারম্যান শাহ নেওয়াজ ও তার ভাই সামসুজ্জামান, শ্যালক মান্নান ও ছেলে সন্ত্রাসী রাসেল পাহারারত অবস্থায় তাকে ধরে নিয়ে ঘরের ভিতরে ঢুকিয়ে দরজা বন্ধ করে দিয়ে চুর বলে তাকে বেদড়ক ভাবে মারপিট করে। এ সময় রাসেল তার হাতে থাকা একটি অবৈধ বন্দুক রমজান আলীর সামনে এনে দিয়ে বলে যদি বাচতে চাস তাহলে বর্তমান চেয়ারম্যান আবুল খায়ের গোলাপ, তার ছেলে কাউছার, আলা মিয়া ও সাবেক মেম্বার জিতু মিয়া, মোবারক হোসেন, মসুদ মিয়া, আজাদ মিয়া, জালাল মিয়াদের নাম প্রশাসনের লোকের কাছে বলবে আর না বললে তাকে প্রানে হত্যা করা হবে। অন্যতায় মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাসিয়ে দেয়া হবে। পরে রাতেই নবীগঞ্জ থানা পুলিশ ওই বাড়ীতে গেলে সাবেক চেয়ারম্যান শাহ নেওয়াজ তার ছেলে সন্ত্রাসী রাসেলসহ তাদের সহযোগীরা আমার ছেলে রমজান আলীকে বন্দুকসহ পুলিশের কাছে হস্থান্তর করে। পরে থানা পুলিশ আমার ছেলেকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার বর্ননা দেয়। এবং পরবর্তীতে আদালতেও সে একই ঘটনার বর্ননা দেয়। তাদের দুই পরিবারের কোটি টাকার বাড়ীর কেলেংকারির ঘটনায় আমার নিরপরাধ ছেলেকে ষড়যন্ত্র করে ফাসিয়ে জেলে পাঠিয়েছে। আমার একমাত্র উপার্জনকারী ছেলে রমজান আলী জেলে যাওয়ার কারনে আমার পরিবার পরিজন নিয়ে অনাহার, অর্ধাহারে অতি কষ্টে দিনাতিপাত করিতেছি। আমার নিরাপরাধ ছেলে রমজান আলীর মুক্তি দাবী করছি, পাশাপাশি ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রশাসনের প্রতি জোর দাবী জানাচ্ছি। আমি সন্ত্রাসী রাসেল ও তার পিতা শাহ নেওয়াজের বিচার চাই।