আমি যেন চেয়ারের সম্মান যেন রা করতে পারি
কমলগঞ্জে মনিপুরী সমাজের আয়োজিত অর্ভ্যথনা সভায় প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা
বিশ্বজিৎ রায়, মৌলভীবাজার প্রতিনিধিঃ বাাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা(এসকে সিনহা) বলেছেন,জীবনে আমি কোন পদের জন্য লালায়িত ছিলাম না। শপথ ছিল মনে এ ভুবনের শীর্ষে পৌঁছবো একদিন। সততা ও আদর্শ থেকে বিচ্যুত হইনি। কর্তব্য পালনে কোন প্রতিকুলতা বাঁধা হয়ে দাড়াতে পারেনি বলেই আজ এ আসনে আসীন হয়েছি। আপনারা আমার জন্য সৃষ্টি কর্তার কাছে প্রার্থনা করবেন,আমি যে চেয়ার অলংকিত করেছি সেই চেয়ারের সম্মান যেন রা করতে পারি। কোন কিছু আদায় করতে তার নাম ব্যবহার করে তার পদকে যেন কেউ কলংকিত করতে না পারে সে দিকে দৃষ্টি রাখার জন্য উপস্থিত বিভিন্ন কর্মকর্তার প্রতি প্রধান বিচারপতি আহবান জানান।
তিনি বলেন দেশের কৃষক শিক সবাই কর্মেেত্র অবদানের জন্য আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়ে থাকেন। ল্য উদ্দেশ্যে অটুট থেকে পথ চললে একদিন মুল ল্েয পৌছা যায়। শিার্থীদেরও উদ্দেশ্য তিনি বলেন,কোন পদে আসীন হয়ে তোমাদের বাবা-মা,ভাই-বোনকে ভুলে গিয়ে কষ্ট দিওনা। এ সময় তিনি তাহার বাবার স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি।
তিনি গতকাল শুক্রবার ৬ ফেবুয়ারী স্থানীয় দয়াময় উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বাংলাদেশের বৃহত্তর মণিপুরী সমাজের উদ্যোগে আয়োজিত অভ্যর্থনা সভায় সন্ধ্যা ৬টায় বক্তব্যপ্রদান কালে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নেয়ার পর বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা শুক্রবার সকালে প্রথম গ্রামের বাড়ি কমলগঞ্জের তিলকপুর গ্রামে তিনি সফরে আসেন। এই উপলে বিকাল ৪ টায় স্থানীয় দয়াময় উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বাংলাদেশের বৃহত্তর মণিপুরী সমাজের উদ্যোগে দেয়া হয় লাল গালিচা সম্বর্ধনা। অভ্যর্থনা সভা মঞ্চে উঠার সময় বাজানো হয় প্রায় ৪মণ ওজনের রাজঘন্টা। প্রায় সাড়ে ৪শত বছর পূর্বে রাজ পরিবারে বাজানো হতো এ রাজঘন্টা। অভ্যর্থনা কমিটির আহবায়ক ডা. নন্দকিশোর সিংহ-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অভ্যর্থনা সভা মঞ্চে ছিলেন প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা,সহধর্মীনি সুষমা সিনহা, সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি ভবানী প্রসাদ সিংহ, মৌলভীবাজার জেলা ও দায়রা জর্জ মনির আহমদ পাটোয়ারী, চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মমতাজ বেগম, জেলা পুলিশ সুপার তোফায়েল আহমেদ, জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান,কমলগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যাপক রফিকুর রহমান।
জাতীয় সংগীত,কোরআন তেলাওয়াত ও গীতাপাঠ শেষে সাংবাদিক সংগ্রাম সিংহ,দেব শ্রী সিনহা ও শ্যাম সুন্দর সিংহের যৌথ সঞ্চালনায় মানপত্র পাঠ করেন সুনামগঞ্জ আদালতের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শ্যাম কান্ত সিংহ।
বক্তব্য রাখেন বিশ্বজিত সিংহ, কৃষ্ণ কান্ত সিংহ, রাজকান্ত সিনহা,শশী কুমার সিংহ, প্রতাপ কুমার সিংহ, নির্মল কুমার সিংহ প্রমুখ। অভ্যর্থনা সভা শেষে আনন্দ লোকে মঙ্গলানন্দে সংকলনের মোড়ক উন্মোচন করেন প্রধান অতিথি। সর্বশেষে মণিপুরী ললিতকলা একাডেমি ও মণিপুরী থিয়েটারের পরিবেশনায় অনুষ্ঠিত হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। প্রধান বিচারপতির সম্বর্ধনাকে কেন্দ্র করে মণিপুরী সম্প্রদায়ের বিষ্ণুপ্রিয়া,মৈতৈ ও পাঙাল সম্প্রদায়ের পাশাপাশি বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মিলনমেলায় পরিণত হয় সম্বর্ধনা অনুষ্টানটি। কঠোর নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠিত সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানে বিভিন্ন প্রশাসনিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা,আইনজীবি,জনপ্রতিনিধি,শিক,সাংবাদিক,চিকিৎসকসহ নানা পেশার মানুষজন উপস্থিত ছিলেন।