খালেদা জিয়ার নাতনি বলে কথা !

Khaleda Zia's Gransdoughtersসুরমা টাইমস ডেস্কঃ হরতালের মাঝে সোমবার বাংলাদেশ ত্যাগ করেছেন সদ্য প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী ও দুই মেয়ে। মালয়েশিয়ায় স্কুলে পরীক্ষা থাকায় তাদের এই প্রস্থান বলে জানিয়েছে বিএনপি, যার সমালোচনা করেছেন অনেকে।
গত বছরের ৫ জানুয়ারির বিতর্কিত নির্বাচনের বছর পূর্তিতে শুরু হওয়া বিএনপি জোটের আন্দোলন এখনো চলছে। নতুন নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন জোরদার করতে অবরোধের পাশাপাশি হরতালও করছে এই জোট। আর তাদের আন্দোলনের কারণে পিছিয়ে গেছে এসএসসি পরীক্ষা। অথচ একই সময়ে মালয়েশিয়ার স্কুলে পরীক্ষা থাকায় সোমবার হরতালের মাঝেই দেশত্যাগ করেন সদ্য প্রয়াত কোকোর স্ত্রী ও দুই মেয়ে।
সামাজিক যোগাযোগ সাইট ফেসবুকে অনেকে বিষয়টির সমালোচনা করেছেন। ক্যানাডা প্রবাসী সাংবাদিক সওগাত আলী সাগর লিখেছেন, ‘‘১৫ লাখ শিক্ষার্থীর পরীক্ষা বেগম খালেদা জিয়ার কাছে গুরুত্ব পায় না। কারণ তাদের সন্তানরা পরীক্ষার জন্য মালয়েশিয়া উড়ে যায়। সেখানে পেট্টোল বোমার আতঙ্ক নেই। পরীক্ষা নিয়ে অনিশ্চয়তা নেই। নিজের সন্তানদের নিরাপদে দূরে রেখে তারা দেশের সন্তানদের জীবনকে, ভবিষ্যৎকে আগুনে পুড়িয়ে দগ্ধ করেন। এই তো রাজনীতি!”
মঙ্গলবার পত্রিকায় এ সংক্রান্ত এক খবর প্রকাশ করেছে। পত্রিকাটি লিখেছে, ‘‘জাহিয়া ও জাফিয়া মালয়েশিয়ার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত। সেখানে পরীক্ষা থাকায় তাঁরা ফিরে গেছেন বলে বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। গত ২৪ জানুয়ারি মালয়েশিয়ায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে কোকো ইন্তেকাল করেন।” অ্যাক্টিভিস্ট শারমিন জাহান পল্লবী এই বিষয়টি তুলে এনেছেন তাঁর ফেসবুক স্ট্যাটাসে।
তিনি লিখেছেন, ‘‘নিজের মেয়েদের পরীক্ষার জন্য চলে গেছে মালয়েশিয়া! আর বাংলাদেশে যারা এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে তাদের বেলায়, ‘‘কিসের পরীক্ষা কিসের কি, আগে আইনের শাসন।” আসলেই তো, যারা জনগণ কে পেট্রল বোমা দিয়ে পুড়িয়ে জনগনের অধিকার আদায় করে তাদের কাছে তো আইনের শাসনই তো বড় হবে! আমরা ম্যাংগো পিপল কেন যে কিছু বুঝি না!!!”
প্রসঙ্গত, গত ২৪ জানুয়ারি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মালয়েশিয়ায় মারা যান আরাফাত রহমান কোকো। এরপর তাঁকে ঢাকায় এনে দাফন করা হয়।