ইসলাম ও আলেম ওলামা বিরোধী সব ষড়যন্ত্র বন্ধে অবিলম্বে সরকারের পদক্ষেপ নিতে হবে

বেহেশতে যেতে হলে শিরক ও মাজার পূজা করা যাবে না : শ্রীনাথপুর মোহাম্মদিয়া মাদরাসার ইসলামি মহাসম্মেলনে আল্লামা জুনাইদ বাবুনগরি

amir hafazotমশাহিদ আহমদ, মৌলভীবাজার: বেহেশতে যেতে হলে শিরক করা যাবে না, মাজার পূজা, মাজারে গিয়ে সন্তান চাওয়া, চাকরী চাওয়া এবং মাজারে টাকা দেওয়া যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী দারুল উলুম হাটহাজারী মাদরাসার মহাপরিচালক ও হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা মুফতি শাহ আহমদ শফী। একই সঙ্গে তিনি এগুলো পরিহার ও সঠিকভাবে ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলার মাধ্যমেই কেবল বিপদাপদ থেকে মুক্তি পেতে আল্লাহর সাহায্য আশা করা যায় বলেও মন্তব্য করেছেন। গত ১ ফেব্রুয়ারী মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জের শ্রীনাথপুর মোহাম্মাদীয়া মাদ্রাসার বার্ষিক ইসলামী মহাসম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। সম্মেলনে প্রত্যন্ত অঞ্চলের হাজার হাজার ওলামায়ে কিরাম ছাড়াও প্রায় ১৫ হাজারেরও বেশি মুসল্লি সমাবেশ ঘটে। সকাল ১০টায় শুরু হওয়া এই সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন- msommelonশায়খুল হাদিস আল্লামা আব্দুল বারী ধর্মপুরী, মাওলানা সৈয়দ মাসউদ আহমদ, মাওলানা সৈয়দ মুজাদ্দিদ আলী। মাওলানা লুৎফুর রহমান জাকারিয়া ও মাওলানা শামসুল ইসলামের যৌথ পরিচালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য পেশ করেন- হাটহাজারী মাদরাসার প্রখ্যাত মুহাদ্দিস, হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব আল্লাামা হাফেজ মুহাম্মদ জুনায়েদ বাবুনগরী। তিনি তার বক্তব্যে বলেন- দেশকে ইসলাম শূন্য ও ঈমানি চেতনাহীন করার ষড়যন্ত্রে ওলামা-মাশায়েখ ও তৌহিদি জনতা চোখ বুঁজে থাকবে না। অন্যথায় তৌহিদি জনতার ক্ষোভ কোনো ভাবেই থামাতে পারবে না সরকার। ইসলাম ও আলেম ওলামা বিরোধী সব ষড়যন্ত্র বন্ধে অবিলম্বে সরকারের পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে আরো বয়ান রাখেন-শায়খুল হাদিস আল্লামা তাফাজ্জুল হক হবিগঞ্জী, শায়খুল হাদিস আল্লামা মুফতি রশিদুর রহমান বর্ণভী, শায়খুল হাদিস আল্লামা আব্দুস সালাম, প্রিন্সিপাল মাওলানা হাবিবুর রহমান, অধ্যাপক মাওলানা আব্দুস সবুর, মাওলানা নুরুল মুত্তাকিন জুনাইদ প্রমুখ। আল্লামা শাহ আহমদ শফী আরও বলেন- আমরা সব মুসলমান আস্তিক। কিছু আছে নাস্তিক। নাস্তিকদের স্থান বাংলার জমিনে হবে না। ইসলামে অসত্য, অন্যায়, সন্ত্রাস ও ষড়যন্ত্রের কোনো স্থান নেই। ইসলাম ন্যায় ও শান্তি ধর্ম। ইসলামকে অনুসরণ করতে পারলে এদেশে কোনো হানাহানি ও সন্ত্রাস থাকবে না। আর ইসলামী শিক্ষায়ও কোনো সন্ত্রাসের স্থান নেই। তিনি উপস্থিত হাজারো জনতার কাছ থেকে প্রতিশ্রুতি নেন, তাদের সন্তানদেরকে কওমী মাদরাসায় পড়ানোর, মিথ্য কথা না বলার, নামাজে গাফলতি না করার,যাকাত আদায়ে অলসতা না করা। আল্লামা শফি স্টেইজে ওঠার পরই প্রথমে বাইয়াত (মুরিদ) কার্য সম্পাদন করেন এবং দীর্ঘ মোনাজাত করেন। মুনাজাতের পর সংক্ষিপ্ত নসিহত পেশ করেন ইসলামের পাঁচটি স্থম্ভের ওপর। সম্মেলনে প্রশাসনের বিভিন্ন লোক, পুলিশ, ডিবি, আনসার বাহিনীদের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়। উল্লেখ্য,নাস্তিক¦্ ব্লগারদের শাস্তির দাবিসহ ১৩ দফা দাবিতে আন্দোলনের ডাক দিয়ে সাপ্রতিক সময়ের সবচেয়ে বহুল আলোচিত হেফাজতে ইসলাম ও আল্লামা শাহ আহমদ শফী।