সহিংসতা বন্ধে গণজাগরণ মঞ্চের স্বাক্ষর কর্মসূচি
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ রাজধানীর শাহবাগে শুরু হয়েছে গণজাগরণ মঞ্চের গণস্বাক্ষর কর্মসূচি। রাজনীতির নামে মানুষ হত্যা ও সহিংসতা বন্ধ, যুদ্ধাপরাধী জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধসহ ছয় দফা বাস্তবায়নের দাবিতে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
ফেরদৌসি প্রিয়ভাষিণী এবং গণজারণ মঞ্চের এক অংশের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার শুক্রবার স্বাক্ষর করার পরেই সকলের জন্য এ গণস্বাক্ষর কর্মসূচি উন্মুক্ত করা হয়।
ফেরদৌসি প্রিয়ভাষিণী বলেন, ‘মানুষ পুড়িয়ে মারার সংস্কৃতি এবং সহিংসতার অভিশাপ থেকে মানুষ মুক্তি পাক এবং আমাদের এই দেশ সভ্যতার দিকে এগিয়ে যাক এই দাবিতে গণজাগরণ মঞ্চ যে গণস্বাক্ষর কর্মসূচির আয়োজন করেছে আমি তাতে একমত পোষণ করেছি। আশা করি বাংলাদেশের জনগণও একমত পোষণ করে গণস্বাক্ষর কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করবে।’
প্রতিদিন বিকেল ৪টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত যে কেউ গণজাগরণ মঞ্চের মিডিয়া সেলে এসে স্বাক্ষর করতে পারবে। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে সারা দেশব্যাপী এই গণস্বাক্ষর কর্মসূচি শুরু হবে। ২৬ মার্চ সারাদেশ থেকে সংগৃহীত স্বাক্ষর রাষ্ট্রপতি ও স্পিকারের কাছে দেওয়া হবে।
গণস্বাক্ষর কর্মসূচির পাশাপাশি চলতে থাকে যুদ্ধাপরাধী কামারুজ্জামানের ফাঁসির রায় কার্যকরের দাবিতে পূর্বঘোষিত গণ-অবস্থান ও সমাবেশ।
সমাবেশে ইমরান এইচ সরকার বলেন, ‘সারা দেশে রাজনীতির নামে ধারাবাহিক সহিংসতা চলছে। নারী-পুরুষ-শিশুসহ সহায়-সম্পদ জ্বলে পুড়ে নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছে। চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে পোড়া মাংসের গন্ধ। স্বজন হারানোর মাতম চলছে দেশজুড়ে।’
তিনি বলেন, ‘শিক্ষা, যোগাযোগ, উৎপাদন ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ধ্বংস এবং জনগণের মাঝে ত্রাসের রাজত্ব কায়েমের মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার অপচেষ্টা চলছে।’
দেশের মানুষ সম্পূর্ণ নিরাপদ না হওয়া পর্যন্ত ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে গণজাগরণ মঞ্চ ঘোষিত একটানা অবস্থান কর্মসূচি চলবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
গণজাগরণ মঞ্চের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে প্রজন্ম চত্বরে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি রাজা মোহাম্মদ চৌধুরী, বঙ্গবন্ধু স্টাডি মুভমেন্টের আহ্বায়ক কৃষিবিদ মুজিবুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা শেখ বাতেন প্রমুখ।