ছাতকে ধর্ষিতার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে
মিজানুর রহমান ফজলু, ছাতক প্রতিনিধি: ছাতকে ধর্ষকরা গ্রেফতার না হওয়ায় ধর্ষিতার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। ঘটনার ্প্রায় মাসখানেক অতিক্রান্ত হলেও ধর্ষকদের এখনো গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। মামলা তুলে নেয়ার ক্রমাগত হুমকিতে নিরাপত্তাহীনতা ও আতংকে ভূগছে ধর্ষিতার পরিবার। পাশাপাশি ধর্ষিতার পরিবারকে গ্রামে একঘরে করে রাখার ষড়যন্ত্র করছে ধর্ষনকারী লম্পটরা। গেল বছরের ৪ডিসেম্বর নোয়ারাই ইউনিয়নের জয়নগর গ্রামের বাসিন্দা অষ্টাদর্শী যুবতী গনধর্ষনের শিকার হয়। ঘটনার রাতে ধর্ষিতা প্রকৃতির ডাকে বাইরে বের হলে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা কতিপয় লম্পট তাকে ঝাঁপটে ধরে একটি নির্জন টিলায় নিয়ে পালাক্রমে র্ধষন করে ফেলে যায়। এসময় ধর্ষিতার চিৎকারে একই গ্রামের ধর্ষনে অভিযুক্ত জবুর আলীর পিতা আলতু মিয়াসহ লোকজনের সাহায্যে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ছাতক হাসপাতালে পরে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অসিইউতে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় চলতি বছরের ২ জানুয়ারী ধর্ষিতা বাদী হয়ে একই গ্রামের আশ্রব আলীর পুত্র কাবির আলী (২০), নিজাম উদ্দিনের পুত্র হোসেন আলী টেকই (২৫), আকবর আলীর পুত্র জাহাঙ্গীর আলম (২১), আব্দুল আউয়ালের পুত্র সমছু মিয়া (২৩), আলতাব আলী আলতু মিয়ার পুত্র জবুর আলী (২৩) ও আব্দুল আহাদ ওরফে আবুল খায়েরের পুত্র খালিক মিয়া (২২) কে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ইং (সংশোধনী/০৩)এর ৯(৩)/৩০ধারায় ছাতক থানায় একটি মামলা (নং-১)দায়ের করে। এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আফজাল আবেদীন আবুল জানান, ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির এবং ধর্ষিতা ও তার পরিবারের নিরাপত্তার জন্যে অভিলম্বে জড়িতদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা প্রয়োজন। ওসি শাহজালাল মুন্সি ধর্ষনের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আসামীরা পলাতক রয়েছে। তবে তাদের গ্রেফতারের জোর প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে।