এক বাজারে নয় পাগলের মিলন মেলা

ফকির শাহ তোফাজ্জল হোসেন ভান্ডারী, বিশ্বনাথ থেকেঃ প্রবাসীবহুল সিলেট জেলার বিশ্বনাথ উপজেলার খাজান্সী ইউনিয়নের রাজাগঞ্জ বাজার। এ বাজারে ঘটেছে নয়জন পাগলের এক মিলন মেলা। বাজারে আসা আশপাশের লোকজন এদের আচরনে মুগ্ধ। শত ক্লান্তির মধ্যে বাজারে আগন্তুক লোকজন এদের সান্নিদ্ধ্যে এসে আনন্দ পান। এই নয় পাগল নিয়ে আমাদের আজকের আয়োজন।
আনর পাগলা। ছোট-বড় কাউকে মানেননা। চায়ের দোকানগুলোতে পানি বহন করেন প্রায় বিনামূল্যে। যে যাহা দেন তাতেই তিনি সন্তুষ্ট। আউয়াল পাগলা। জনস্বার্থে বনবিভাগের দায়ীত্ব তিনি নিজের হাতে তুলে নিয়েছেন। ফাদ পেতে শেয়াল, টলা, মেছোবাঘ ইত্তাদি ধরেন। মনির পাগলা। ছেড়া কাপড়, বস্তা, বোতল ইত্তাদি নিয়ে রাস্তায় ঘুরেন। কেউ খাওয়ালে খান, নতুবা উপোশ। জগমর পাগলা। তার চাওয়ার অংক বিশাল। চার লাখ/পাচ লাখ টাকা ছাড়া তিনি কারও কাছে হাত পাতেননা। তবে কেউ টাকা দিলে তখন তিনি দৌড়ে পালিয়ে যান। টাকা নেননা। তার আরেকটি বিশাল গুন হচ্ছে তিনি পাট পড়ে দিলে অসুস্থ পশু সুস্থ হয়ে উঠে। তবে সচরাচর এ কাজ তিনি করেন না।
আরেক পাগলার নাম ইলিয়াছ। তিনি সব সময় বৈঠা, কুড়াল, দাঁ সাথে নিয়ে ঘুরেন। তবে কারও ক্ষতি করেন না। ফিফা পাগলা। তিনি সব সময় একটি কেরোসিনের ফিফা (বোতল) নাকে নিয়ে ঘুরতে থাকেন। কেরোসিনের গন্ধে তিনি উপভোগ করেন জীবনের আনন্দ।
দিলোয়ার পাগলা। সিলেটের প্রখ্যাত বাউল শিল্পী সাজ্জাদ নুরের প্রথম ঢোল বাদক ছিলেন। গানের গলাও তার আকর্ষনীয়। আজ পাগল হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন রাস্তায় রাস্তায়। হারুন পাগলা। কখনও ড্রাইভার, কখনও বেকার। যখন যা মনে আসে তাই করেন। সব সময় রঙ্গীন চশমা পরে ঘুরে বেড়াতে তার পছন্দ। সর্বশেষ নুর আলী পাগলা। তিনি বেকার ঘুরেন এবং বিনামূল্যে চায়ের দোকানের পানি বহন করে আনন্দ পান।mad man at rajagonj bazar