পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হচ্ছেন ইংলাক

yingluckসুরমা টাইমস ডেস্কঃ থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রাকে অভিশংসনের পক্ষে ভোট দিয়েছেন দেশটির পার্লামেন্টের আইনপ্রণেতারা। এরফলে পাঁচ বছরের জন্য তাকে রাজনীতিতে নিষিদ্ধ করা হতে পারে।
বিবিসি বলছে, চালে ভর্তুকির বিতর্কিত প্রকল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ নেয়ার পক্ষে ভোট দেন পার্লামেন্ট সদস্যরা।
শুক্রবার দিনের প্রথমভাগে দেশটির অ্যাটর্নি জেনারেল ঘোষণা দিয়েছেন, ওই প্রকল্পে তার ভূমিকার জন্য তাকে অপরাধের অভিযোগ মোকাবিলা করতে হবে। এই অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার ১০ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।
২০১৪ সালের মে মাসে আদালতের নির্দেশে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে অপসারিত হন ইংলাক। আর এর কয়েকদিনের মাথায় সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখল করে।
শুক্রবার সেনাসমর্থিত দেশটির পার্লামেন্টের ২১৯ আইনপ্রণেতার মধ্যে ১৯০ জন তার বিরুদ্ধে অভিশংসনের পক্ষে ভোট দেন। মাত্র ১৮ জন আইনপ্রণেতা এর বিপক্ষে ভোট দেন। একজন ভোটদানে বিরত থাকেন আর বাকিরা অনুপস্থিত ছিলেন।
এই ভোটের পরিসংখ্যান একটি সাদাবোর্ডে লিখা হয় এবং এই অধিবেশন সরাসরি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সম্প্রচার করা হয়।
ব্যাংককে নিযুক্ত বিবিসির প্রতিবেদক জোনাথন হেড বলেন, এই অভিশংসন যে জোরালো বার্তা দিয়েছে তা হল, কোন সমঝোতা হবে না এবং তাকেসহ তার পরিবারকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দেয়া হবে।
ইংলাক ও তার ধনকুবের ভাই সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রা থাইল্যান্ডের গ্রামের দরিদ্র মানুষের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয়। কিন্তু দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ তুলে শহরের অভিজাত ও মধ্যবিত্ত শ্রেণি তাদের ঘৃণা করে।
তাদের রাজনৈতিক দল থাইল্যান্ডের সবচে জনপ্রিয়। ২০০১ থেকে হওয়া প্রতিটি নির্বাচনে তাদের দল বিজয়ী হয়েছে।
ইংলাকের বিরুদ্ধে ‘চাল প্রকল্প’ নিয়ে যে অভিযোগ উঠেছে তা হল, ইংলাক সরকার কৃষকদের কাছ থেকে আন্তর্জাতিক বাজার মূল্যের বেশি দিয়ে চাল কিনেছিল। তাতে দেশে চালের মজুদ বেড়ে যায় এবং চাল রপ্তানি কঠিন হয়ে পড়ে।
দুর্নীতিবিরোধী তদন্তকারীরা অভিযোগ করেছেন, ইংলাক ও তার দল এই প্রকল্পকে কৃষকদের ভোট কেনার লক্ষ্যে ব্যবহার করছে।
কিন্তু ইংলাক এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, এই প্রকল্পের প্রতিদিনের কর্মসূচির সঙ্গে তিনি জড়িত ছিলেন না। তিনি নিজের পক্ষে সাফাই গেয়ে বলেন, এটি ছিল গ্রামের দরিদ্রদের সহায়তা করার উদ্যোগ।
ইংলাকের সমর্থকেরা দাবি করছে, তাকে রাজনীতি থেকে নির্মূল করতেই এই অভিযোগ তোলা হয়েছে।