জামিনে মুক্তি পেলেও শ্রমিক নেতা জয় মাহাত্য কুর্মীকে অফিস থেকে ফের গ্রেফতার করেছে পুলিশ
বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ সিলেট জেলা শাখার যুগ্ম সম্পাদক ও মালনীছড়া রাবার শ্রমিক সংঘের সভাপতি জয় মাহাত্য কুর্মী জামিনে মুক্তি ফেলেও সংগঠনের অফিস থেকে পুনরায় গ্রেফতার করেছে বিমানবন্দর থানা পুলিশ। গত ৯ নভেম্বর মালনীছড়া চা বাগানের ভিতর থেকে দুজন সাংবাদিকের সামন থেকে বিমানবন্দর থানা পুলিশ গ্রেফতার করে। সাহেব বাজারে একটি হত্যা মামলায় তাকে জড়িয়ে জেল হাজতে প্রেরণ করে। আদালত থেকে গতকাল ১৯ জানুয়ারী তার জামিন হলে আজ ২০ জানুয়ারি সকাল ১১টার দিকে জয় মাহাত্য কুর্মী জেল থেকে বের হয়। জেল থেকে বের হওয়ার পর জেল গেইট থেকে রাবার শ্রমিকসহ বিপুল সংখ্যক শ্রমিক জেল গেইট থেকে মহাজনপট্টিস্থ কার্য্যালয়ে এক সমবর্ধনা সভা করার প্রস্তুতি গ্রহণ করে। জেল থেকে বের হওয়া ক্ষুধার্ত জয় মাহাত্য কুর্মী অফিসে নাস্তা করা অবস্থায় হাজির হয় বিমানবন্দর থানা পুলিশ। পুলিশ কর্মকর্তা মোঃ হুমায়ুন, জয় মাহাত্য কুর্মীর সাথে আলোচনা করে সহকারী পুলিশ কমিশনারের সাথে আলোচনা করার কথা বলেন। নতুন কোন মামলা আছে কিনা জানতে চাইলে পুলিশ কর্মকর্তা কোন মামলা নেই বলে জানান। শুধু পুলিশ কমিশনারের সাথে আলোচনা করার জন্য যাওয়ার কথা বলা হয়। পুলিশ কর্মকর্তার আচরণ রহস্যজনক মনে হলে পুলিশের গাড়িতে তুলে নেওয়া সি.এন.জি এর পিছনে সংগঠনের নেতা কর্মীরাও যান। বিমানবন্দর থানা পুলিশ জয় মাহাত্য কুর্মীকে কতোয়ালী থানা হাজতে আটকে রাখে। সংগঠনের নেতা কর্মীরা কতোয়ালী থানা হাজতে দেখা করতে গেলে কাউকে দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না। জয় মাহাত্য কুর্মী জেল গেইট থেকে বের হওয়ার পর মালনীছড়া রাবার বাগান ম্যানেজার সাহাব উদ্দিন রাবার শ্রমিক শাহিনকে মোবাইল ফোনে জয় মাহাত্য কুর্মীর অবস্থান জানতে চাইলে রাবার শ্রমিক শাহিন জয় মাহাত্য কুর্মী সংগঠনের মহাজনপট্টিস্থ কার্য্যালয়ে আছে বলে জানায়। এরপর ১৫ মিনিট পরেই বিমানবন্দর থানা পুলিশ জয় মাহাত্য কুর্মীকে গ্রেফতার করে। জয় মাহাত্য কুর্মীকে পুনরায় আটকের ঘটনায় নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মালনীছড়া রাবার শ্রমিক সংঘের নেতৃবৃন্দ। রাবার শ্রমিক সংঘের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মিলন মুন্ডা ও যুগ্ম সম্পাদক সুজন আহমদ। অনুরূপ বিবৃতি প্রদান করেছেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ সিলেট জেলা শাখার সভাপতি নুরুল হুদা সালেহ, সাধারণ সম্পাদক রূপক দাস। এক যুক্ত বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, শ্রমিক অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনকে ধ্বংস করার জন্য মালিক পক্ষ সরকারের পুলিশ বাহিনীকে ব্যবহার করছে। নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে ষড়যন্ত্রমূলক সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে জয় মাহাত্য কুর্মীসহ কারাগারে আটক সকল নেতা কর্মীর মুক্তি দাবী করেন। বিজ্ঞপ্তি