ছাত্রদলের বিদ্রোহী ৩ নেতা কারাগারে : রাজপথে নিষ্ক্রিয় নতুন কমিটি
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ সিলেট ছাত্রদলের নতুন কমিটিতে পদ পেয়ে কমিটি প্রত্যাখানকারী বিদ্রোহী ৪ নেতার মধ্যে ৩ নেতা এখন কারাগারে । তাদের একজন মহানগর ছাত্রদলের সিনিয়র সহ সভাপতি বিদ্রোহী নেতা মাহফুজুল করিম জেহিন । অন্য ২ জন জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র সহ সভাপতি বিদ্রোহী নেতা আহমদ চৌধুরী ফয়েজ ও জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক বিদ্রোহী নেতা এখলাছুর রহমান মুন্না।জানা যায় গত ৫ জানুয়ারী গনতন্ত্র হত্যা দিবস পালন করতে না দেওয়া বিএনপি চেয়াপার্সন বেগম খালেদা জিয়া সারা দেশে অনির্দিষ্টকালের অবরোধের ডাক দেন। আর এই অবরোধ কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে এই ৩ নেতা আটক হন। মাহফুজুল করিম জেহিন ৫ ই জানুয়ারীর আগের দিন নগরীর চৌকিদিখি একটি বাসা থেকে আটক হন। আর আহমদ চৌধুরী ফয়েজ ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে নগরীর জিন্দবাজারে মিছিল করতে গেলে তাকে পুলিশ গ্রেফ্তার করে। অপর ছাত্রদলনেতা এখলাছুর রহমান মুন্না ১৪ জানুয়ারী নগরীর শাহী ঈদগা হরতালের সমর্থনে মিছিল করতে গেলে পুলিশ তাকে আটক করে। এদিকে ছাত্রদলের নতুন কমিটির বিদ্রোহী ৪ নেতা বাদে ছাত্রদলের নতুন কমিটির ১২ জনের মধ্যে ২/৪ জনকে মাঝে মধ্যে রাজপথে দেখা গেলে অন্যদের কে রাজপথে কখনো দেখা যায় না। যাদের কে রাজপথে দেখা যাচ্ছে না তারা হচ্ছেন জেলা ছাত্রদলের সহ সভাপতি চৌধুরী মোঃ সুহেল,যুগ্ন সম্পাদক মকসুদ আহমদ,সহ সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান নেছার, মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি নূরুল আলম সিদ্দীকি খালেদ,সহ সভাপতি ফখরুল ইসলাম,সাধারণ সম্পাদক আবু সালে লোকমান, যুগ্ন সম্পাদক শাহ রুমেল,সহ সাধারণ সম্পাদক আজিজ হোসেন আজিজ,সহ সাধারণ সম্পাদক একদাদুল হক স্বপন,সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রকিব চৌধুরী। তবে মহানগরের সহ সাধারণ সম্পাদক আজিজ হোসেন আজিজ কমিটিতে স্থান পাওয়ার আগেই তিনি অসুস্থতার কারণে রাজনীতি থেকে নিষ্কিয় হয়ে পড়েন। তাছাড়া মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি নুরুল আলম সিদ্দীকি খালেদ ও সাধারণ সম্পাদক আবু সালেহ লোকমানকে হঠাৎ কখনো তাদেরকে ফটো সেশনের জন্য রাজপথে দেখা যায়।এদিকে মহানগর ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রকিব চৌধুরী রাজপথে না নেমে তিনি উপশহর একটি ব্যাংকে প্রয়াই আড্ডা দেন বলে একটি সুত্রে জানা যায়। অথচ ৫ জানুয়ারীর আগে নতুন কমিটির সকল নেতাদেরকে মাঠে সক্রিয় দেখা যায়। ছাত্রদলের বিদ্রোহীদেরকে মাঠ ছাড়া করার জন্য তারা মরিয়া হয়ে উঠেন। কিন্তু বার বার তারা ব্যার্থ হওয়ার পর। সর্বশেষে তারা দীর্ঘ দেড় মাস পর ৮ নভেম্বর আওয়ামীলীগ ও পুলিশ প্রশাসনের সহায়তা নিয়ে মাঠে নামেন বলে অভিযোগ উঠে ছিল। এদিকে ৫ ই জানুয়ারীর আগে পুলিশ প্রশাসনের চাপে ছাত্রদলের বিদ্রোহীরা নিস্কিয় হয়ে গেলে তারা ৫ ই জানুয়ারীর পর আবার মাঠে সক্রিয় উঠেন। গত বৃহস্পতিবার বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে অবরুদ্ধ করে রাখা, গণমাধ্যমে তারেক রহমানের বক্তব্য প্রকাশে নিষেধাজ্ঞা ও তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহী মামলা দায়ের সহ বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এম. ইলিয়াস আলী, ছাত্রদল নেতা ইফতেখার আহমদ দিনার গুমের প্রতিবাদে এবং ছাত্রনেতা আহমদ চৌধুরী ফয়েজ, মাহফুজুল করিম জেহিন, এখালাছুর রহমান মুন্না এবং স্থানীয় ও জাতীয় নেতৃবৃন্দের মুক্তির দাবিতে হরতাল আহবান করেন।তাদের হরতাল দেখে জামাতের সাথে মিলে একই দাবিতে গত বুধবার হরতাল আহবান করে ছিলেন নতুন কমিটির নেতারা। কিন্তু এই হরতালেই কমিটির ২/৪ জন নেতা ছাড়া আর কাউকে দেখা যায়নি। তাই তৃণমুল ছাত্রদলের নেতাকর্মা মনে করেন নতুন কমিটির সকল নেতারা যদি মাঠে নামতেন তাহলে আন্দোল আরো জোরদার হত। আর ছাত্রদলের কর্মীরা উৎসাহ পেতো। তবে নতুন কমিটির নেতারা নিষ্কিয় কেনও সে সম্পর্কে কমিটির দায়িত্বশীলদের সাথে ফোনে যোগাযোগ করতে চাইলে তাদের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।