সুনামগঞ্জ সীমান্তে “জজ মিয়া নাঠক” সাঁজিয়ে অন্যদের মামলায় ফাঁসিয়ে দিল জয়ধর পুত্র নজরুল
পুলিশ-বিজিবি-আইনশৃংখলা বাহিনী শামীমের অবৈধ পিস্তল উদ্যারে ব্যর্থ
সুনামগঞ্জ-৮ বর্ডারগার্ড ব্যাটালিয়নের সীমান্তবর্তী লালাঘাট ,চারাগাঁও,বাঁশতলা ও লামাকাঁটা দিয়ে গত ৮ মাসে কয়েক হাজার মেট্রিক টন কয়লা বিনাশুল্কে ভারত থেকে চোরাচালানের মাধ্যমে নিয়ে আসা হলেও বিজিবি ৫ টন কয়লা আটক দেখিয়ে তিন চুনোপ্ুটির নামে মামলা দায়ের করছে। রহস্যজনক কারনে সীমান্তের চোরাচালানী চাঁদাবাজির মুলহোতা জয়ধর ও তার পুত্র স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত অস্ত্রচোরাকারবারী নজরুল অবশেষে অধরাই রয়ে গেল।
সরজমিনে অনুসন্ধান কালে জানা যায়, তাহিরপুর থানা পুলিশের দালাল উওর শ্রীপুর ইউনিয়নের কলাগাঁও গ্রামের জয়ধর ও তার অপর দু’পুত্র নজরুল ,ফজলু ও ভাতিজা সেই অস্ত্রধারী শামীম এবং তাদের হাতেগড়া বাহিনীর নিয়ন্ত্রনে মহাজোঠ সরকার ক্ষমতায় আসার পর সীমান্তে অর্ধকোটি টাকা মুল্যের কয়লার ডিপো দখল, জনমনে ত্রাস ও আতং সৃষ্টি করা , মাদক, কয়লা, মোটরসাইকেল চুরি, চোরাচালান এমনকি পুলিশ-বিজিবি- কাষ্টমসের নামে বেপরোয়া চাঁদাবাজি, পিস্তল দিয়ে গুলি বর্ষণ সহ একের পর এক নানা অপকর্ম ঘটিয়ে সাধারণ মানুষের নিকট আইনশৃংখলা বাহিনী ও সরকারের ভাবমুর্তি ক্ষুণ্য করে আসলেও অদৃশ্য কারণে গত ছয় বছর ধরে সীমান্তের চারাগাঁও শুল্ক ষ্টেশন এমনকি সাত গ্রামের কয়েক হাজার মানুষকে জিম্মি করে এক মুর্তিমান আতংক হিসাবে পরিচিতি লাভ করেছে বর্ডার কুতুবখ্যাত জয়ধর বাহিনী ও তার লোকজন।
এলাকাবাসীর তথ্যের ভিক্তিত্বে ব্যাটালিয়ন কমান্ডার লে.কর্ণেল গোলাম মহিউদ্দিন খন্দকারের নির্দেশে চারাগাঁও বিজিবির একটি টহলদল বাঁশতলা গ্রামের ইদ্রিস আলীর বাড়িতে কয়েক’শ বস্তা ভারতীয় চোরাই কয়লা মজুদ করার পর ৫ টন কয়লা আটক করে। নানা ঠালবাহানা আর নাঠকিয়তা শেষে কয়লা আটকের ৪ দিন পর শনিবার থানায় চোরাচালান বাণিজ্যের মুলহোতা নজরুল ও তার সহযোগী মর্তুজ আলীকে আড়ালে রেখে বিজিবি তিন চুনোপুটিকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করে। লাললাট পশ্চিমপাড়া ও বাঁশতলা চোরাই কয়লারঘাট নিয়ন্ত্রনকারী নজরুল নিজেকে মামলার হাত থেকে রক্ষা করার কথা বলে ইদ্রিসকে মামলায় ফাঁসিয়ে দিয়ে ‘জজ মিয়া নাঠক সাজিয়ে’ সে অধরাই রয়ে গেল।
বাঁশতলা থেকে গত ২৬ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার বিজিবি ৪ মে.টন চোরাই কয়লা আটক করলেও রহস্যজনক কারণে ঐ রাতে কোন চোরাচালানীকে আটক করেনি। সে সময় হাসিম নামক নজরুলের এক সহযোগী চোরাচালানী জানিয়েছিল এ ঘাট দিয়ে কয়লা কেনা বেচা ও সিরিয়াল ঠিক করে দেয় জয়ধর পুত্র নজরুল।
লালঘাট পশ্চিমপাড়া, বাঁশতলা ও লামাকাঁটা চোরাই কয়লার ঘাট নিয়ন্ত্রন: অনুসন্ধানে জানা যায়, এক সময় লালঘাট পশ্চিম পাড়া ও বাঁশতলা, লামাকাঁটা তিনটি চোরাই কয়লারঘাট নিয়ন্ত্রন করতেন জয়ধর আলী ও তার আরেক সহযোগী। এসব ঘাট দিয়ে অবৈধভাবে ওপারের মেঘালয় পাহাড়ের মৃত্যুকুপ নামক কোয়ারীতে কয়েক’শ শ্রমিক পাঠিয়ে কয়লা আনার পর বিজিবি , পুলিশ ,কাষ্টমস, আমদানিকারক সমিতিকে ম্যানেজ করার কথা বলে প্রতিটন কয়লা সাড়ে ৪ হাজার টাকা শ্রমিকদের দিয়ে নিজ ডিপোতে মজুদ করে আবার সেই কয়লা প্রতিটন সাড়ে ১২ হাজার টাকায় বিক্রি করে চোরাই কয়লার রমরমা বাণিজ্য করে কয়েক মাসের ব্যবধানে তিনি লাখ লাখ হাতিয়ে নেন। এ গোমর ফাঁস হয়ে গেলে চতুর জয়ধর ঘাট থেকে সঠকে পড়ে নিজেই পরোক্ষভাবে বসেন চালকের আসনে আর গুনধর ছেলে নজরুল ও তার সহোদর কুলি সর্দার ফজলুকে সপে দিয়ে যান ঘাট নিয়ন্ত্রনের দায়িত্ব।
নজরুলের সন্ত্রাসী জীবনের নবযাত্রা, চাঁদাবাজি, কয়লা চোরাচালান, ডিপো দখল : ২০০৯ সালের ২৪ মে একটি বিদেশী অবৈধ পিস্তল, ৪ রাউন্ড গুলি ও ২টি গুলির খোসা সহ বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি)’র হাতে ধরা পড়ার পর নজরুলকে নিজের স্বার্থেই জয়ধর জেল থেকে জামিনে বের করে নিয়ে আসার পর সে ফের জড়িয়ে পড়ে অস্ত্র চোরাকারবারে। মহাজোঠ সরকার ক্ষমতায় আসার পর জয়ধরের গুরু খ্যাত স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের আর্শীবাদে অস্ত্রের মুখে প্রথমে সিলেটের পিকে দেবনাথ, অমিয়পাল, মৌলভীবাজারের আলী ইমাম, বড়ছড়ার বিশ্বজিত পালের অর্ধকোটি মুল্যের (সাত কেয়ার জমির) ডিপো দখলের মাধ্যমে ফের নজরুলের সন্ত্রাসী জীবনের নবযাত্রা শুরু হয়। এরপর চুরির কয়লা কেনা-বেচার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে পুলিশের নাম ভাঙ্গিয়ে পিতার ছাঁয়ায় শুরু হয় লালঘাট, বাঁশতলা, চারাগাঁও শুল্ক ষ্টেশন, কলাগাঁও বাজার মাইজহাটি মোড়, জঙ্গলবাড়ি, লামাকাটা সহ সীমান্তবর্তী সাত গ্রামের একাধিক ছড়া নদী ও পয়েন্ট থেকে চোরাই কয়লা- চুনাপাথর, কাঠ, গাছের ছাল, মাদক, চোরাই মোটর সাইকেল থেকে নজরুলের বেপরোয়া চাঁদাবাজি। উওরাধিকারী সুত্রে চোরাই কয়লা ঘাটের নিয়ন্ত্রন নজরুলের হাতে চলে আসার পর গত ৬ মাস অধিক সময় ধরে নজরুল এই ঘাট দিয়ে চোরাই কয়লা কেনা-বেচার সিরিয়াল ঠিক করে দেয়া, নিজস্ব সোর্স দিয়ে বিজিবির নামে প্রতিবস্তা কয়লার জন্য ৫০ থেকে ৭০ টাকা,কাষ্টমস প্রতিবস্তা ১০ টাকা, পুলিশের নামে প্রতিটন ৩’শ টাকা করে আদায় করছে। শ্রমিকদের টনপ্রতি সাড়ে ১০ হাজার পরিশোধ করে সেই কয়লা প্রতিটন সাড়ে ২২ হাজার টাকা দামে অন্যদের নিকট বিক্রয় করে পিতার ন্যায় নজরুল নিজেও লাখ লাখ হাতিয়ে নিয়েছে। হাসিম জানায়, আমরা গরীব মানুষ পেঠের দায়ে ঠুকঠাক চোরাই কয়লা নামাই নজরুলেই এই কয়লা কেনা-বেচা করে, সে পুলিশ-বিজিবি-কাষ্টমসের কথা বলে বস্তা প্রতি টাকা কেটে রাখে। একই ভাবে বীরেন্দ্রনগর বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকা লামাকাঁটা গ্রামের মেইন পিলার ১১৯৪ এর টু-এস ও ১১৯৪ এর সিক্স-টি এলাকা দিয়েও গত ৬ মাস ধরে একই কায়দায় জয়ধর আলীর আরেক ছেলে এক সময়ের কুলি সর্দার ফজলুর নিয়ন্ত্রনে জামালের সহায়তায়তায় লাখ লাখ টাকার চোরাই কয়লার ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি এ ঘাট দিয়ে বিজিবি লোক দেখানো কয়েক টন কয়লা আটক করলেও সেখানে ফজলু রয়েছে বহাল তবিয়্যতেই।
বাংলা কয়লা থেকে চাঁদাবাজি :লালঘাট থেকে লামাকাঁটা পর্য্যন্ত পাহাড়িছড়া ও নদী দিয়ে যেসব কয়লা ভেসে আসে সেসব কয়লা (বাংলা কয়লা) থেকে থানা পুলিশের কথা বলে জয়ধর আলীর প্রভাবে তারই ভাতিজি জামাই জিলানী, চাঁনমিয়া , রমজান প্রতিটন কয়লা থেকে ১০০ টাকা করে গত ৬ বছর ধরে চাঁদা আদায় করে আসছে। প্রতিবছর কমপক্ষে এসব এলাকা দিয়ে এক লাখ মেট্রিক টন কয়লা (আভ্যন্তরীনণ) উৎস থেকে উক্তোলিত হয়। এ হিসাবে শুধু বাংলা কয়লার চাঁদা থেকেই জয়ধরের আয় হয়েছে প্রায় ৬ কোটি টাকা। এসব বিষয়ে কেউ মুখ খোলার চেষ্টা করলে থানা পুলিশ কিংবা বিজিবি দিয়ে চাঁদাবাজি, মাদক, চোরাচালান সহ নানা মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়ার জন্য অহরহ হুমকিও দিয়ে যাচ্ছেন জয়ধর ও নজরুল। এভাবেই মুখে কুলুপ এটে বাপ -বেটার কাছে জিম্মি হয়ে আছে সীমান্তের লালঘাট থেকে লামাকাঁটা পর্য্যন্ত সাত গ্রামের কয়েক হাজার সাধারন মানুষ।
শুল্ক ষ্টেশনে চুরির কয়লায় চাঁদাবাজি: চারাগাঁও শুল্ক ষ্টেশন এলাকার বিভিন্ন ডিপো, কয়লা পরিবাহিন ট্রলি, ঠেলাগাড়ি, ট্রলার থেকে কয়লা চুরির জন্য জয়ধর নিজেই তৈরী করে নেন একটি শক্তিশালী কয়লা চোরচক্র। এরা প্রতিদিন ডিপো, সড়ক,সংসার বিল পাড় এলাকায় কয়লা চুরির কাজে ব্যস্ত থাকে। চুরির কয়লা থেকেও জয়ধর টনপ্রতি ১ হাজার টাকা করে চাঁদা আদায় করেন বলে তার ঘনিষ্টজনেরা জানিয়েছেন। আর এভাবে মহাজোঠ সরকার ক্ষমতায় আসার পর কুলি সর্দার ফজলু ও অস্ত্রচোরাকারবারী নজরুলের পিতা জয়ধর হাতে আলাদীনের চেরাগ পেয়ে যান। ছড়ারপাড়ে কুড়েঘর থেকে গিয়ে উঠেন জেলা শহরে রাতারাতি কিনেন বাড়ি, গাড়ী। একাধিক ব্যাংকে রয়েছে তার ও তার ছেলেদের পৃথক পৃথক একাউন্ট। গ্রামের আশে পাশে কিনেন ২৫ থেকে ৩০ কেয়ার জমি, ছেলেরা চড়েন দামী মোটরসাইকেলে, মোড়ে রয়েছে একাধিক দোকানকোটা, নিজস্ব অফিস, আর এভাবেই দানবরুপী জয়ধরের নাম উঠে আসে কোটিপতির তালিকায়। পুলিশ, বিজিবির কতিপয় অসাধু কিছু সদস্যের সাথেও টাকার জোড়ে দিনে দিনে জয়ধরের গড়ে উঠে গভীর সখ্যতা।
অবৈধ পিস্তল দিয়ে গুলি: শতাধিক লোকের সামনে কলাগাঁও মাইজহাটি মোড়ে ১৫ ডিসেম্বর সোমবার সন্ধায় জয়ধর আলীর সহোদর ময়ধরের ছেলে শামীম অবৈধ পিস্তল দিয়ে সৌরভ নামক এক কিশোরকে লক্ষ করে তিন রাউন্ড গুলি করে। গুলিগুলো লক্ষভ্রষ্ট হওয়ায় অবশ্য কেউ হতাহত হয়নি। রাতেই জয়ধর আলী, প্রাক্তন ইউপি সদস্য হাছেন আলী, নুরুলহক, ডা. বশির উদ্দিন সহ আরো বেশ কিছু লোক এ বিষয়ে মুখ না খোলার জন্য স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সতর্ক করে দেন। ঘটনার সরজমিনে তদন্ত করতে এক এসআই ঘটনাস্থলে না গিয়ে দেড় কিলোমিটার দুরে চারাগাঁও শুল্ক ষ্টেশন থেকেই জয়ধর আলী ও তদবীরবাজদের কবলে পড়ে ফিরে আসেন। থানার এসআই মো. শাহ আলম ভুইয়া বলেন, শামীম পিস্তল দিয়ে গুলি করেন ব্যাপারটি অনেকেই স্বীকার করেন ঘটনাটি সত্য । পিস্তলটি উদ্যারের চেষ্টা করা হচ্ছে। হাছেন আলী ও নুরুল হক জানান, পরদিন সকালে পিস্তলটি মুরুব্বীদের কাছে জমা দেয়ার কথা ছিল। অতচ আইনশৃংখলা বাহিনী , পুলিশ কিংবা বিজিবি আজো অবৈধ পিস্তলটি উদ্যার করতে ব্যর্থ হয়েছে।
ভারতীয় মোটর সাইকেল চুরির সাথেও জড়িত শামীম: সীমান্তের ওপারে ভারতীয় মোটরসাইকেল চোর সিন্ডিক্যাটের সাথে জড়িত রয়েছে জয়ধরের ভাতিজা শামীম। সম্প্রতি বীরেন্দ্রনগর সীমান্তের লামাকাঁটা গ্রামের ওপারে রংদু বস্তি থেকে কাঁটাতারের বেড়া ও তালা ভেঙ্গে কাসেমের সহযোগীতায় শামীম ভারতীয় এক নাগরিকের ১৫০ সিসি ডিসকভার মোটরসাইকেল চুরি করে নিয়ে যায়। এ নিয়ে এপার ওপার দু’গ্রামের লোকজনের মধ্যে উক্তেজনা দেখা দিলে কুলি সর্দার ফজলুর ইন্দনে সম্প্রতি জয়ধরের লোকজন কাসেমকে আটক করে মারধোর করে। চুরির সাথে শামীমের কথা উঠে আসলে দরজা বন্ধ করে ১৫ থেকে ১৬ জন কাসেমকে বেধরক ভাবে পেঠায়। এদিকে শামীমের কথা ফাঁস হয়ে গেলে জয়ধর পুত্র নজরুল লামাকাঁটা ও জঙ্গলবাড়ির দু’পক্ষের লোকজনকে দিয়ে বিকেলে সংঘর্ষ বাধিয়ে দিয়ে ১০ জনকে রক্তার্ত জখম করায়।
ঠেলাগাড়ি ও কয়লা শ্রমিকদের ৬ লাখ টাকা আত্বসাত: বাঁশতলা থেকে কয়লার বস্তা পরিবহনের বকেয়া পাওনা শ্রমিকদের প্রায় আড়াইলাখ টাকা ও শ্রমিকদের সাড়ে তিনলাখ সহ প্রায় ৬ লাখ টাকা আত্বসাতের অভিযোগ উঠেছে নজরুলের বিরুদ্ধে। পাওনাধারেরা পুলিশ -বিজিবির ভয়ে এসব বিষয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে নারাজ।
কয়লার ডিপো দখলের অভিযোগ: কয়লা আমদানিকারক অমিয় পাল বলেন, আমার জায়গা আবুল চেয়ারম্যানের মদদে দখল করা হয়েছে, জায়গাতে থাকতে গিয়ে ৫ লাখ টাকা দেওন লাগছে। আলী ইমাম বলেন, জোর যার মুল্লুক তার, থানা পুলিশ- প্রশাসন সবই আবুল চেয়ারম্যান ও জয়ধরের হাতের খেলার পুতুল, অহেতুক আমার জায়াগাটি দখল করার কারণে চারাগাঁও শুল্ক ষ্টেশনে ব্যবসা বদ্ধ করে আমি চলে এসেছি।
জজ মিয়া নাঠক: চোরাই কয়লার চালানটি আটকের পর নজরুল বাড়ির মালিক হত দরিদ্র ইদ্রিস আলীকে পরামর্শ দেয় বিজিবির কাছে নজরুল ও ইদ্রিসের চাচাত ভাই মর্তুজার নাম প্রকাশ না করে হাসিম ও অন্যদের নাম বলার জন্য। তার কথামত স্বীকারোক্তি দিলে তাকে মামলায় আসামী করা হবেনা, অন্যযাদেরকে আসামী করা হবে পুলিশ তাদেরও গ্রেফতার করবেনা বলে ইদ্রিসের হাতে নগদ ৫ হাজার টাকা ধরিয়ে দিয়ে বাড়িতে পৌছে দেয়। কথামত বিজিবির এফএসের নিকট ইদ্রিস হাসিম, অরুণ, কুদ্দুছ ,রশীদ ও সোহেলের নাম প্রকাশ করে। এভাবেই জজ মিয়া নাঠক সাজিয়ে হত দরিদ্র ইদ্রিসকে মামলায় ফাঁসিয়ে দিয়ে নিজে এবং মর্তুজাকে মামলা থেকে আড়াল করেছে।
বিজিবির পেছনে জয়ধর: কয়লা আটকের পরদিন পুত্রকে রক্ষায় ও গণমাধ্যমে পুত্রের চোরাচালান বাণিজ্যের বিষয়টি প্রকাশ না করতে কোথাও কোথাও যোগাযোগ রক্ষা করেন আবার কোথাও বা গুরুকে দিয়ে মুঠোফোনে হুমকিও দেন। শনিবার বিজিবির পেছনে জয়ধরও চলে যান থানায়। নবাগত অফিসার ইনচার্জের (ওসি) মো: শহীদুল্লাহর সাথে মামলার তদবীর করতে গেলে তিনি বিমুখ হয়ে ফিরে আসেন।
জয়ধরের বক্তব্য (০১৭১৬৪১৪৫৪৫) : বিস্তারিত জানিয়ে জয়ধরের বক্তব্য জানতে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমরা খাঁসজমি অন্যজনের নামে বন্দোবস্ত এনে আমি ও আমার নেতা আবুল হোসেন খাঁ সহ তিন জন মিলে সেই জমি রেজিষ্ট্রিমুলে কিনছি। অনেকেই বুঙ্গার কয়লা (চোরাচালানের কয়লা) কিনে আমি ও আমার ছেলেরা কয়েক টন কয়লা কিনছিলাম এখন আর কিনব না। শামীম পিস্তল দিয়া গুলি করলেও কেউ তো থানায় মামলা করল না। এছাড়াও তিনি অধিকাংশ প্রশ্নের উওর এড়িয়ে গিয়ে পত্রিকায় লেখালেখির বিষয়টি বন্ধ রাখতে রফাদফার প্রস্তাবও দিয়েছেন।
ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি শফিকুল ইসলাম বললেন, জয়ধর-নজরুলের অপকর্মের কারণে এলাকায় বর্তমান সরকারের ভাবমুর্তি ক্ষুন্য হচ্ছে। জয়ধর এলাকার চিহ্নিত থানার দালাল ,তার খপ্পরে পড়ে অনেকেই মামলায় জড়িয়ে লাখ টাকা থেকে সাড়ে তিনলাখ টাকা পর্য্যন্ত খুইয়েছে, এরা গোটা সীমান্ত এলাকায় খাদেমগিরী করার নামে“চাঁদাবাজি স্থায়ী আসন ঘেরে বসেছে।
আবুল হোসেন খাঁ’র (০১৭৪৩৯০০৭৫৮) বক্তব্য জানতে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমরা কারো জায়গা দখল করছি না, জয়ধর আমার নিজস্ব লোক, তার ও তার ছেলের ব্যাপারে কোন কিছু পত্রিকায় না লেখার পরামর্শ দিয়ে ফোনটি কেটে দে;ন। এরকম নির্দেশনা দিয়ে তিনি আরো বলেন, যদি পত্রিকায় তাদের ব্যাপারে লেখালেখি হয় তাহলে পত্রিকার এবং সাংবাদিকের বিরুদ্ধেই মামলা করা হবে।