দায়ীত্ব পেলেননা কয়েস লোদী : সিদ্ধান্ত চেয়ে কারান্তরীন আরিফের শরনাপন্ন হওয়ার সিদ্ধান্ত

SCC-Arif-Saleh-Koyes-Ludiসুরমা টাইমস ডেস্কঃমন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন জারির পরও ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব পাননি প্যানেল মেয়র-১ রেজাউল হাসান কয়েস লোদী। নানা নাটকীয়তার পর অবশেষে সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) ভারপ্রাপ্ত মেয়রের চেয়ার প্যানেল মেয়র-২ অ্যাডভোকেট সালেহ আহমদের দখলেই থাকল। নগরভবনে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এনামুল হাবীবের কার্যালয়ে কয়েস লোদী ও সালেহ আহমদ সমর্থক কাউন্সিলরদের মাঝে প্রায় আড়াইঘন্টা রুদ্ধদ্বার বৈঠক শেষে ভারপ্রাপ্ত মেয়র হিসেবে প্যানেল মেয়র-২ সালেহ আহমদ ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব পালনের সিদ্ধান্ত হয়।
বৈঠক শেষে প্যানেল মেয়র-২ সালেহ আহমদ জানান- বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত হয়েছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের আইন অনুযায়ী ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয়ার এখতিয়ার সাময়িকভাবে বরখাস্তকৃত মেয়রের। তাই সিটি করপোরেশন থেকে কাগজপত্র আরিফুল হক চৌধুরীর কাছে পাঠানো হবে। কারান্তরিণ মেয়র আরিফ যাকে দায়িত্ব দেবেন তিনিই দায়িত্ব পালন করবেন।
৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফরহাদ চৌধুরী শামীম বলেন- আরিফুল হক চৌধুরী ভারপ্রাপ্ত মেয়র নিয়োগ না দেয়া পর্যন্ত প্যানেল মেয়র-২ সালেহ আহমদই দায়িত্ব পালন করবেন।
প্যানেল মেয়র-১ রেজাউল হাসান কয়েস লোদী বলেন- আরিফুল হক চৌধুরী সিটি করপোরেশনের নির্বাচিত মেয়র। বাকি সবাই কাউন্সিলর। এর মধ্য থেকে তিনজনকে প্যানেল মেয়র নির্বাচিত করা হয়েছে। প্যানেল মেয়র নিয়ে কাউন্সিলরদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছিল, বৈঠকের মাধ্যমে তা সমাধান হয়েছে। এখন আরিফুল হক চৌধুরী যাকে দায়িত্ব দেবেন তিনিই ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব পালন করবেন।
প্রসঙ্গত, সিসিক’র নির্বাচিত মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে সাময়িক বরখাস্ত করে প্যানেল মেয়র-১কে ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব দেয় মন্ত্রণালয়। কিন্তু রবিবার সকালে প্যানেল মেয়র-২ সালেহ আহমদ নিজেকে ভারপ্রাপ্ত মেয়র দাবি করে মেয়রের চেয়ারে বসেন।
প্যানেল মেয়র-১ রেজাউল হাসান কয়েস লোদী নগরভবনে আসলে তাকে মেয়রের কার্যালয়ে ঢুকতে দেননি সালেহ সমর্থকরা। পরে এনিয়ে উভয় পক্ষ প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে বৈঠকে বসেন।