খালেদা এবং তারেকের বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার নেই

যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সংবাদ সম্মেলনে ড. সিদ্দিকুর

ANA-PIC-AL
সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন ড. সিদ্দিকুর রহমান। ছবি- এনা।

নিউইয়র্ক থেকে এনা: বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার নেই বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া এবং তার ছেলে তারেক রহমানের। গত ১০ জানুয়ারি সন্ধ্যায় (নিউইয়র্ক সময়) যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ আয়োজিত বাংলাদেশী অধ্যুষিত জ্যাকসন হাইটসের খাবার বাড়ি চাইনিজ রেস্টুরেন্টে অনুষ্ঠিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান এ কথা বলেন। যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদের পরিচালনায় সংবাদিক সম্মেলনে ড. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, বাংলাদেশে রাজনীতি করবেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনার দল এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের চেতনার দল।
সাংবাদিক সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি লুৎফুল করিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রহিম বাদশা, মহিউদ্দিন দেওয়ান, আব্দুল হাসিব মামুন, কোষাধ্যক্ষ আবুল মনসুর খান, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ডা. মাসুদুল হাসান, হাকিকুল ইসলাম খোকন, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মুকিত চৌধুরী, আওয়ামী লীগের উপপ্রচার সম্পাদক তৈয়বুর রহমান টনি, কার্যকরী কমিটির সদস্য আব্দুস শহীদ দুদু, আশফাক মিশু, এস এম বিপ্লব, আনোয়ার হোসেন, শাহানা বেগম, জসীম উদ্দিন খান মিঠু, শ্রমিক লীগের সভাপতি কাজী আজিজুল হক খোকন, কৃষিবিষয়ক সম্পাদক আশরাফুজ্জামান, গণেষ কীত্তণীয়া, ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর এইচ মিয়া, রুহেল চৌধুরী, ফখর উদ্দিন, শেফু রহমান প্রমুখ।
সাংবাদিক সম্মেলনের শুরুতে ড. সিদ্দিকুর রহমান ৫ জানুয়ারি স্টেট ডিপার্টমেন্টের সামনে আওয়ামী লীগের বিক্ষোভ সমাবেশে দলের যে সব নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেননি তাদের তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি বিএনপির সমালোচনা করে বলেন, বিএনপির অবরোধের নামে সন্ত্রাস করছে। বিএনপি একটি সন্ত্রাসী দল এবং পাকিস্তানের প্রেতাত্মা। এ সব প্রেতাত্মারা এখন আন্দোলনে নামে বাংলাদেশে সন্ত্রাস করে চলেছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশে নির্বাচন হবে ৫ বছর পর। এর আগে কোন নির্বাচন হবে না। বাংলাদেশের মানুষ এখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ। তিনি বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও বৈদেশিক বিষয় বিশেষ দূত জাহিদ এফ সর্দার সাদি আমেরিকার ৬ জন কংগ্রেসম্যানের স্বাক্ষর জাল করে যে মিথ্যাচার এবং ন্যাক্কারজনক ঘটনার জন্ম এর ফলে প্রবাসে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন এবং প্রবাসী বাংলাদেশীদের প্রশ্নবৃদ্ধ করেছে। তিনি বলেন, বিএনপি যেভাবে মিথ্যার রাজনীতি করে তাদের উপদেষ্টারাও মিথ্যার রাজনীতি করে। ৬ জন কংগ্রেসম্যানের স্বাক্ষর জাল করে সাদী শুধু বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করেনি বড় ধরনের ক্রাইম করেছে। এর জন্য তার শাস্তি হাওয়া প্রয়োজন। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা সংশ্লিষ্ট কংগ্রেসম্যানদের সাথে যোগাযোগ করেছি। তার নিন্দা জানিয়েছেন এবং ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, এটাই বিএনপির মিথ্যার রাজনীতির উত্তম দলিল। সন্ত্রাস এবং মিথ্যাচারের রাজনীতি বাংলাদেশে চলবে না। বাংলাদেশ চলবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর চেতনার রাজনীতি। সুতরাং বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং তার ছেলে তারেক রহমানের বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার নেই। তিনি আরো বলেন, ভারতের বিজেপির নেতা অমিত সাহার সাথে বেগম জিয়া কেন কথা বলেছেন? অমিত সাহার সাথে কথা বলে কোন লাভ নেই। বাংলাদেশ কীভাবে চলবে তার সিদ্ধান্ত নেবে বাংলাদেশের জনগণ, অমিত সাহা নয়। তারেক জিয়ার বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, একের পর এক লন্ডনে বসে তারেক রহমান ননস্টপ মিথ্যাচার করে যাচ্ছেন, মিথ্যা কথা কেন প্রচার করতে হবে। তাছাড়া তিনি তো মুছলেকা দিয়ে বাংলাদেশ থেকে বাইরে এসেছিলেন। সেই মুছলেকায় উল্লেখ ছিলো তিনি বাংলাদেশের রাজনীতি করবেন না এবং রাজনৈতিক কর্মকান্ড চালাবেন না- এখন কেন রাজনীতি করছেন? আমি আজকে পরিষ্কার ভাষায় বলতে চাই বাংলাদেশে একজন মুজিব সেনা বেঁচে থাকতে তারেক রহমান বাংলাদেশে যেতে পারবে না। আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশে মিডিয়ায় যে স্বাধীনতা রয়েছে তা আমেরিকাতেও নেই। প্রধানমন্ত্রীর আইটি উপদেষ্টা সজিব ওয়াজেদ জয় ডিজিটাল বাংলাদেশ করে আমাদের বিপদে ফেলেছেন, মনে হচ্ছে অন্যায় করেছেন, কারণ এই ফোনের কারণেই মানুষ সব দেখতে পাচ্ছে। টক শোতে সরকারের সমালোচনা করা হচ্ছে। স্বাধীনতা থাকলে এটা চলতো না। সাংবাদিক সম্মেলন শেষে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস নিয়ে আলোচনা সভা করা হয়।