রোববার দায়িত্ব নেবেন কয়েস লোদী
উত্তপ্ত নগর ভবন : ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব হস্তান্তরে বাধা কাউন্সিলরা
ইয়াহইয়া মারুফঃ স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয় এক প্রজ্ঞাপন জারি করে প্যানেল মেয়র-১ কে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দিয়েছে। ওই নির্দেশনা অনুযায়ী আমি ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব পালন শুরু করেছি। তিনি বলেন, ঢাকায় থাকার কারণে তিনি গতকাল অফিস করতে না পারলেও ভারপ্রাপ্ত মেয়র হিসেবে তাঁর কাজ চলছে। ভারপ্রাপ্ত মেয়র হিসেবেই আগামী রোববার থেকে তিনি অফিস করবেন। এমনটিই জানালেন সিলেট সিটি কর্পোরেশের প্যানেল মেয়র-১ ও ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রেজাউল হাসান কয়েস লোদী।
তবে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়রের ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব পালনে এবার বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন কাউন্সিলরদের একাংশ । গতকাল বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলন করে কাউন্সিলরদের একটি অংশ কয়েস লোদীকে ভারপ্রাপ্ত মেয়র হিসেবে মানতে নারাজি প্রকাশ করেন। যদিও আইন অনুযায়ী এ দায়িত্বের মালিক প্যানেল প্যানেল মেয়র-১ রেজাউল হাসান কয়েছ লোদী। কিন্তু‘ মেয়রের সাথে ব্যাক্তিগত বিরোধ থাকায় এ দায়িত্ব পান প্যানেল প্যানেল মেয়র-২ এডভোকেট সালেহ আহমদ। তখনই নগর ভবনসহ সিলেটের সচেতন মহলে শুরু হয় গুঞ্জন। এর পর দিন স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ের সচির, সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এনামুল হাবীবকে প্রতিপক্ষ করে কেন তাকে ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব দেওয়া হলনা এজন্য মহামান্য হাইকোর্টে রিট পিটিশন করেন ৪নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর ও প্যানেল প্যানেল মেয়র-১ রেজাউল হাসান কয়েছ লোদী। এর পর গত ১৩ ডিসেম্বর হঠাৎ নানা নাটকিয়তার একপর্যায়ে রহ্যসজনক ভাবে রিট পিটিশনটি প্রত্যাহার করেন। এর আগে গত ১০জুন সিসিকের মাসিক বৈঠকে আলোচনার একপর্যায়ে ৫নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর রেজওয়ান আহমদ উত্তেজিত হয়ে প্যানেল মেয়র-১ লোদীকে এ পদ থেকে পদত্যাগ করতে বলেন। এসময় একাধিক কাউন্সিলর লোদীর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্থাব দেন।
এর কারণ ছিল আরিফ ও লোদী একই বলয়ে বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত এবং তাদের ঘনিষ্ট সর্ম্পক ও ছিল বলে জানা যায়। সিটি নির্বাচনের পর কয়েছ লোদীকে প্যানেল মেয়র নির্বাচনে প্রার্থী না হতে বলে ছিলেন আরিফ। দলের অন্য কাউন্সিলরদের চাপে প্রার্থী হয়ে প্যানেল মেয়র-১ নির্বাচিত হন। এর পর থেকেই তাদের মাঝে বিরোধ সৃষ্টি হলে এবং অভিযোগ উঠে লোদী সিনিয়রদের মূল্যায়ন করেন না। এঘটনার সমাধানের জন্য দায়িত্ব নেন সিনিয়ররা তার পর ও কোন ফল হয়নি। প্যানেল মেয়র-২ এডভোকেট সালেহ আহমদ ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্বে থাকা অবস্থায় তার সভাপতিত্বে এক বৈঠকে ১৮ই ডিসেম্বর কাউন্সিলরদের ভোটে অনাস্থা প্রস্থাব গৃহিত হয়। এ সময় উপস্থিত ২৯ জনের মধ্যে ২৬ অনাস্থা প্রস্থাবের পক্ষে ভোট দেন। এ সব বাধাঁ-বিপত্তি, আলোচনা-সমালোচনা পেরিয়ে গত বুধবার ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব পান প্যানেল মেয়র-১ রেজাউল হাসান কয়েছ লোদী। সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে বরখাস্ত করা হয়েছে। গত বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন সিলেটে এসে পৌঁছে বলে জানান সিলেট কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এনামুল হাবীব।
তিনি বলেন, প্রজ্ঞাপনে প্যানেল মেয়র-১ এর কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করতে বলা হয়েছে। সম্প্রতি সাবেক অর্থমন্ত্রী ও আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যা মামলায় আরিফুল হক চৌধুরী গত ৩০ ডিসেম্বর হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যজিষ্টেট রোকেয়া আক্তারের আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে আদালত তা নামঞ্জুর করে জেল হাজতে প্ররণের নির্দেশ দেন। এর ৮ দিন পর তাকে বরখাস্তের প্রজ্ঞাপন জারি করা হলো।
বাংলাদেশ স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় আইন (সিটি করপোরেশন) ২০০৯ এর ধারা ১২ এর ১ উপধারায় বলা হয়েছে- কোন সিটি করপোরেশনের মেয়র বা কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে ফৌজদারী মামলায় অভিযোগপত্র আদালতে গৃহিত হলে সরকার নির্বাচন কমিশনের সাথে পরামর্শক্রমে লিখিত আদেশের মাধ্যমে ওই মেয়র বা কাউন্সিলরকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করতে পারবে। এই আইনেই আরিফকে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে সূত্র জানিয়েছে।
সিলেট সিটি কর্পোরেশনের বর্তমান তিন প্যানেল মেয়র হলেন যথাক্রমে রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, এডভোকেট সালেহ আহমদ ও এডভোকেট রোকশানা বেগম শাহনাজ। এই তিন জনই বিএনপিপন্থী। আদালতে হাজির হওয়ার আগে গত ২৯ ডিসেম্বর মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী প্যানেল মেয়র-২ সালেহ আহমদ চৌধুরীকে ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব দেন।
অন্যদিকে, সিলেট সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র-১ ও ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রেজাউল হাসান কয়েস লোদীর বিরুদ্ধে আবারো একাট্টা হয়েছেন কাউন্সিলরা। নির্বাচিত মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সাময়িক বরখাস্ত করার পর। কয়েস লোদীকে ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব দেয়া হলে তাকে ভারপ্রাপ্ত মেয়র হিসেবে মেনে নিচ্ছেন না পরিষদের অন্যান্য কাউন্সিলররা। সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলরদের অভিযোগ শহীদ মিনারে হামলা ও হত্যাকান্ডের ঘটনায় চার্জশিটভূক্ত আসামীকে তারা নগরভবনে মেয়রের চেয়ারে দেখতে চান না। কাউন্সিলররা একাট্টা হওয়ায় ভারপ্রাপ্ত মেয়রের চেয়ারে কয়েস লোদীর বসা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
জানা গেছে, বুধবার রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারি সচিব সরজ কুমার নাথ স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে ‘প্যানেল মেয়র-১, সিলেটকে’ ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্বভার গ্রহণের আদেশ দেয়া হয়। ওই প্রজ্ঞাপনটি সিলেট সিটি করপোরেশনে গত বুধবার সন্ধ্যায় এসে পৌঁছলে নগরভবনে শুরু হয় তোলপাড়।
এ অবস্থায় মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী কয়েস লোদী ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব গ্রহণ করতে পারছেন কি-না তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। কয়েস লোদীর বিরুদ্ধে শহীদ মিনারে হামলার অভিযোগ এনে তাকে ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব না দিতে মন্ত্রণালয়ের প্রতি দাবি জানাচ্ছেন কাউন্সিলররা। এর বিরুদ্ধে গতকাল বৃহস্পতিবার নগরভবনে সংবাদ সম্মেলন করেন কাউন্সিলররা। কয়েছ লোদীকে ভারপ্রাপ্ত মেয়র হিসেবে মানবেন না বলে ঘোষনা দেন কাউন্সিলররা। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন রেজওয়ান আহমদ, ফরহাদ চৌধুরী শামীম এবং মখলিছুর রহমান কামরান। এসময় ২৭ কাউন্সিলরদের মধ্যে ১৩ উপস্থিত ছিলেন। বাকী কাউন্সিলররা বিভিন্ন করণে সিলেটরে বাইরে অবস্থান করছেন বলে জানান, রেজওয়ান আহমদ। তবে এসময় কাউন্সিলর বাকের এবং দিনার খান হাসু সিটি কর্পোরেশন চত্তরে অবস্থান করলেও সংবাদ সম্মেলনে ছিলেন না। যদি ও আইন অনুযায়ী ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব নিয়ে কাউন্সিলরদের কোন এখতিয়ার নাই।
জানা গেছে, প্যানেল মেয়র-১ এর বিরুদ্ধে ২০১৩ সালের ২২ ডিসেম্বর সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ভাংচুর মামলায় চার্জশিট হয়েছে গত ৩১ ডিসেম্বর। এছাড়া, তার বিরুদ্ধে একটি হত্যা এবং একটি বিস্ফোরক আইনে আরো দুটি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছেন সিটি কর্পোরেশনের ৫ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রেজওয়ান আহমদ। তিনি বলেন, কয়েস লোদীকে দায়িত্ব না দিতে তারা সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহীকে অনুরোধ করেছেন। তিনি বলেন, যে অপরাধে আরিফুলকে বরখাস্ত করা হয়েছে, কয়েস লোদীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলায় চার্জশিট হয়েছে।
তবে, সদ্য ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব পাওয়া ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্যানেল মেয়র-১ রেজাউল হাসান কয়েছ লোদী বলেন, তিনি রাজনৈতিক কর্মী। তার বিরুদ্ধে মামলা থাকতেই পারে। ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব পালন সংক্রান্ত নির্দেশনা তার কাছে পৌছেছে বলে ও জানান তিনি। কাউন্সিলরদের বিরোধ সাময়িক এটা শেষ হয়ে যাবে বলে আসস্ত¡ করেন এই ভারপ্রাপ্ত মেয়র।
সিলেট মহানগর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও প্যানেল মেয়র-১ রেজাউল হাসান কয়েছ লোদী ও হত্যাসহ দু’টি মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি। শেষ পযর্ন্ত কয়েস লোদীকেও আরিফুল হক চৌধুরীর ভাগ্য বরণ করতে হয় কিনা? এ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।
মামলা সম্পর্কে জেলা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর শামসুল ইসলাম বলেন, হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি হওয়ায় আরিফুল হক চৌধুরীকে মেয়র পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। কিন্তু একই অপরাধে আরেকজন কীভাবে দায়িত্ব পান? আইন তা সমর্থন করে না। এ নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে বলে ও মন্তব্য করেন তিনি।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, আদালতে দায়ের হওয়া ৩৫৪ নম্বর এবং ৩৫৫ অভিযোগ পত্রে যথাক্রমে ২৬ ও ২৭ নম্বর আসামি কয়েছ লোদী। হত্যা, গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের মামলায় প্রায় বছরখানেক আগে তাকে আসামি করে এ দুই মামলায় সম্পূরকসহ তিনটি অভিযোগপত্র (নম্বর- ৩৫৪, ৩৫৫ ও ৩৫৫-ক) আদালতে দাখিল করা হয়। এই মামলায় কয়েছ লোদী কিছুদিন কারাবরণ ও করেন। আদালতে এ অভিযোগ পত্রগুলো গৃহীত হয়। মামলা দু’টি বর্তমানে সিলেট মহানগর ও জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। ৩৫৫ নং চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়, ২০১৩ সালের ২২ জানুয়ারি বিকেল ৩টায় সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে হামলা-ভাঙচুর করা হয়। এদিন হামলাকারীরা চৌহাট্টা পয়েন্টে পুলিশের পিকআপ, লেগুনা ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগসহ ব্যাংকের বুথে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এঘটনায় পুলিশসহ আহত হন অনেকে। হামলাকারীদের এলোপাতাড়ি গুলিতে মোস্তফা মোর্শেদ নামে এক ব্যক্তি নিহত হন।
এই হত্যা মামলার অভিযোগ পত্রে ৮৪ জনকে আসামি করা হয়। এরমধ্যে নগরীর হাউজিং এস্টেট ১০১-১০২ নম্বর বাসার এম ইউ আহমেদ লোদীর ছেলে কয়েছ লোদী হচ্ছেন ২৭ নম্বর আসামি।
এছাড়া ২০১৩ সালের ২ ফেব্রুয়ারি সিলেটে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় কোতয়ালি মডেল থানার বিশেষ ক্ষমতা আইনে (ধারা-১৬(২)/২৫-ঘ) মামলা দায়ের করেন এসআই কমর উদ্দিন। ওই বছরের ৩১ ডিসেম্বরের এই সাবেক উপ পরিদর্শক (এসআই) নারায়ণ দত্ত বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৬(২)/২৫-ঘ ধারায় অভিযোগপত্র (নং-৩৫৪) দায়ের করেন। এই অভিযোগপত্রে কয়েছ লোদী হচ্ছেন ২৬ নম্বর আসামি।
প্রসঙ্গত, গত ১৩ নভেম্বর সাবেক অর্থমন্ত্রী ও আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যা মামলায় মেয়র আরিফসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন সিআইডির সিনিয়র এ এসপি মেহেরুন্নেছা পারুল। গত ২১ ডিসেম্বর আদালত চার্জশিট গ্রহন করে আসামীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেন। গত ৩০ ডিসেম্বর আরিফ আদালতে আত্মসমর্পন করলে আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।
প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এনামুল হাবিব জানান, প্যানেল মেয়র-১ কে ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব পালন করার জন্য প্রজ্ঞাপনে অনুরোধ করা হয়েছে। দায়িত্ব কবে হস্তান্তর করা হবে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, দায়িত্ব হস্তান্তর কে করবে? দায়িত্ব হস্তান্তর করবেন মেয়র, তিনিতো জেলখানায়।
১৩ জন কাউন্সিলর আপনাকে দায়িত্ব না দিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন; তারা আপনাকে ভারপ্রাপ্ত মেয়র মানতে রাজি নন কেন-এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই।