যুক্তরাষ্ট্রে গৃহপরিচারকের মামলা খেলেন বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত

মরক্কো পররাষ্ট্র মন্ত্রীর সঙ্গে মনিরুল ইসলাম
মরক্কো পররাষ্ট্র মন্ত্রীর সঙ্গে মনিরুল ইসলাম

সুরমা টাইমস ডেস্কঃ ক্রিতদাসের মতো ব্যবহার করার অভিযোগে সাবেক গৃহপরিচারকের দায়ের করা মামলায় ফেঁসে যাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি কূটনীতিক। বর্তমানে তিনি মরক্কোতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত। ওই কূটনীতিক ও তার স্ত্রী মামলাটি খারিজের আবেদন করলে গতকাল মঙ্গলবার এক মার্কিন আদালত না নাকচ করে দেন। আন্তর্জাতিক বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর দিয়েছে।
কূটনীতিক মনিরুল ইসলাম নিউইয়র্কে বাংলাদেশের সাবেক কনসাল জেনারেল। তার স্ত্রীর নাম ফাহিমা প্রোভা। তাদের সাবেক গৃহপরিচারক মাসুদ পারভেজ রানা মামলাটি দায়ের করেছেন।
ম্যানহাটনের ডিস্ট্রিক্ট জজ সিডনি স্টেইন বলেছেন, রানাকে দিয়ে যেসব কাজ করানো হয়েছে তা কনসুলারের কাজের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। এ কারণে তারা দায়মুক্তি পাবেন না।
রানা বকেয়া বেতনের দাবিতে এবং শাস্তিমূলক কাজ করে নেয়ার অভিযোগে গত মার্চে মামলা দায়ের করেছেন। এর কিছুদিন আগেই মনিরুল ইসলাম মরক্কোতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হয়ে বদলি হন।
নিউইয়র্কে ভারতের ডেপুটি কনসাল জেনারেল দেবযানি খোবরাগার একই ধরনের অভিযোগ থেকে অব্যাহতির রায় পাওয়ার কয়েক দিন পরেই রানার মামলাটি দায়ের করা হয়। দেবযানির ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে সেসময় ভারত-মার্কিন সম্পর্কে টানাপোড়েন দেখা দিয়েছিল।
বাংলাদেশি নাগরিক রানা এ-৩ ভিসা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে যান। তার দাবি, মনিরুল ইসলাম তাকে বেশি বেতনের লোভ দেখিয়ে নিউইয়র্কে তার কাজ করার জন্য নেন। তিনি তাকে ৩ হাজার ডলার মাসিক বেতন এবং ভিসা নবায়ন করিয়ে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
রানা অভিযোগে বলেছেন, চাকরি দেয়ার পর প্রায় দেড় বছর তাকে কোনো বেতন দেয়া হয়নি। এমনকি ভয়ভীতি দেখিয়ে তাকে দিনে ১৬ থেকে ২০ ঘণ্টা কাজ করতে বাধ্য করা হয়েছে।
আদালত বলেছেন, রানাকে কনসুলেট সংশ্লিষ্ট কাজ না করিয়ে বরং ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করা হয়েছে। তাকে দিয়ে প্রায়ই রান্নাবান্নার কাজ করানো হতো। নিউইয়র্কের দক্ষিণ ডিস্ট্রিক্টে জেলা আদালতে দায়ের করা মামলার নং ১৪-০১৯৯৩।