জাতিসংঘের সামনে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির বিক্ষোভ : হাসিনার পতন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে
নিউইয়র্ক থেকে এনা: ৫ জানুয়ারিকে গণতন্ত্র হত্যা এবং বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে গুলশান কার্যালয়ে অবরুদ্ধ ও সারা দেশে বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর পুলিশ এবং ক্ষমতাশীন দলের সন্ত্রাসীদের হামলার প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি গত ৫ জানুয়ারি দুপুরে নিউইয়র্কের জাতিসংঘের সদর দপ্তরের সামনে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন। যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল লতিফ স¤্রাট ও সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি গিয়াস আহমেদের নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি এবং অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দের একটি অংশ এবং যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান জিল্লু ও সাবেক সহ সভাপতি শরাফত হোসেন বাবুর নেতৃত্বে আরেকটি অংশ পাশাপাশি বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ নেয়।
উভয় সমাবেশ থেকেই ৫ জানুয়ারিকে গণতন্ত্র হত্যা দিবস হিসাবে আখ্যায়িত করা হয় এবং বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদাকে অবরুদ্ধ রাখার নিন্দা প্রকাশ করে অবিলম্বে তার মুক্তি ও মধ্যবর্তী নির্বাচনের দাবি করা হয়। আব্দুল লতিফ স¤্রাটের সভাপতিত্বে এবং গিয়াস আহমেদের পরিচালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি হযরত আলী, ম ই শাহীন, সৈয়দা মাহমুদা শিরিন, জাকির হাওলাদার, যুব দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক এম এ বাতিন, ছাত্রদলের সভাপতি আতাউর রহমান আতা, সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম জনি প্রমুখ।
বিক্ষোভে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এলিম মোহাম্মদ, নাজমুল হোসেন, এ কে আজাদ, মীর মিজান, মিঠু হামিদ, মাইনুল ইসলাম মুহিত, নাসির আহমেদ, আলমগীর ভূইয়া, জাহাঙ্গীর আলম, নাজমুল আলম, মাস্টার শামসুদ্দিন, আবুল কালাম আজাদ, আবু বাহার, কবির মিয়া, আলহাজ্ব কামাল উদ্দিন, মাস্টার মইনুদ্দিন, জাহাঙ্গীর শহীদ, সরোয়ার্দী মোহাম্মদ, হুমায়ুন কবীর, সালেহ আহমেদ মানিক, জাহিদ হাসান, জাফর উদ্দিন, মাসুদ আলম, আলাউদ্দিন মিলন, ফারুক হোসাইন, হেদায়েত উল্যাহ মানিক, মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক, বাহার চেয়ারম্যান, আবুল কালাম আজাদ, মোহাম্মদ হোসাইন কচি, মোস্তফা জাফর, পারভেজ কাউসার রূপম, নাজমুল আলম, মোহাম্মদ হাবিব উল্যাহ, সৈয়দ এম কাওসার, মির্জা খান, আলম মুকুল, মোহাম্মদ সিরাজুল্লাহ, মোহাম্মদ জাহিদুল হক, এম এ করিম প্রমুখ।
প্রচন্ড ঠান্ডাকে উপেক্ষো করে নিউইয়র্ক ও নিউজার্সিসহ আশেপাশের স্টেট বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এই বিক্ষোভ সমাবেশে বিভিন্ন ধরনের সরকার বিরোধী স্লোগান দিতে থাকেন। যার মধ্যে ছিলো খালেদা জিয়া ভয় নেই রাজপথ ছাড়ি নাই, খালেদা জিয়া বন্দী কেন শেখ হাসিনা জবাব চাই, গণতন্ত্র হত্যা কেন শেখ হাসিনা জবাব চাই, সারা দেশে কার্ফ্যু কেন শেখ হাসিনা জবাব চাই, বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর হামলা কেন শেখ হাসিনা জবাব চাই, এবারের সংগ্রাম গণতন্ত্র রক্ষার সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম বাকশাল মুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম, শেখ হাসিনার গদিতে আগুন জ্বালো এক সাথে।
সভাপতির বক্তব্যে আব্দুল লতিফ স¤্রাট বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে গুলশান কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করে রাখার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, শেখ হাসিনা প্রমাণ করেছেন তিনি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। তিনি বাকশালেই বিশ্বাস করেন। শেখ হাসিনার বাবা বাকশাল কায়েম করতে গিয়ে সারা দেশে বিরোধী দলের প্রায় ৩২ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করেছিলেন। সেই একই খেলায় মেতে উঠেছেন তার কন্যা শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা হচ্ছেন গণতন্ত্র, দেশে, মানবতা ও ইসলামের শত্রু। তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, স্বৈরাচারি শেখ হাসিনার পতন না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।
গিয়াস আহমেদ বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে বন্দী এবং বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও সারা দেশে ১৪৪ ধারা জারি করে আন্দোলন দমানো যাবে না। বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের নিদের্শে সারা বাংলাদেশে যে আন্দোলন শুরু হয়েছে, এই আন্দোলনে শেখ হাসিনাকে বিদায় নিতে হবে।