হত্যা মামলায় স্বামীসহ সিসিক কাউন্সিলর শানু জেলহাজতে
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ নগরীর খুলিয়াপাড়ায় মদন মোহন কলেজের ছাত্র, সাবেক মহিলা ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাহানা বেগম শানুর ছেলে সোহান হত্যা মামলার অন্যতম আসামি কামাল ছাত্রদলকর্মী কামাল আহমদ হত্যাকান্ডের ঘটনায় পরিবারের ৮ সদস্যসহ সিটি করপোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর শাহানা বেগম শানু ও তার স্বামী তাজুল ইসলামকে জেল হাজতে পাঠিয়েছেন আদালত। সোমবার দুপুর ১২টার দিকে মহানগর হাকিম ১ম আদালতের বিচারক সাহেদুল করিম তাদের জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। সাবেক কাউন্সিলর শানু ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে খুলিয়াপাড়ায় ছাত্রদল নেতা কামাল আহমদ খুনের মামলা রয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা যায়- সোমবার দুপুরে সিসিক’র সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডের (১০, ১১ ও ১২নং ওয়ার্ড) সাবেক কাউন্সিলর শাহানা বেগম শানু ও তার স্বামী তাজুল ইসলাম মহানগর হাকিম ১ম আদালতে হাজির হয়ে ছাত্রদল নেতা কামাল হত্যা মামলায় জামিন প্রার্থনা করেন। শুনানী শেষে আদালতের বিচারক সাহেদুল করিম তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। এর আগে ওই মামলায় শানু ও তার স্বামী তাজুল উচ্চ আদালত থেকে জামিনে ছিলেন।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর সিলেট নগরীর খুলিয়াপাড়া এলাকায় ছাত্রদলকর্মী কামাল আহমদকে (৩০) কুপিয়ে হত্যা করা হয়। নিহত কামাল ওই এলাকার নীলিমা ২৮ নম্বর বাসার মৃত সুরুজ মিয়ার ছেলে। গত ২৬ জানুয়ারি দুপুরে নিহত কলেজ ছাত্র সোহান তার ছোট বোন নগরীর জিন্দাবাজারস্থ অগ্রগামী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রী নুসরাত জাহান স্বর্ণাকে নিয়ে খুলিয়াটুলা বাসায় ফেরার পথে লামাবাজার পুলিশ ফাঁড়ির কাছে আসার পর সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে সোহানের উপর হামলা চালায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত সোহান নগরীর খুলিয়াটুলার নীলিমা ৫২/৪ নং নেহার মঞ্জিলের তাজুল ইসলাম ও সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মহিলা কাউন্সিলর শাহানা বেগম শানুর ছেলে। পরে শানু বাদি হয়ে ১০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ৪/৫ জন সন্ত্রাসীকে আসামী করে কোতোয়ালী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। নং ৩১ (২৮-০১-১৪)। জানা গেছে, সাহানা বেগম শানুর সাথে স্থানীয় প্রতিপক্ষের বিরোধের জের ধরে খুন হন তার ছেলে কলেজ ছাত্র সোহান। ঘটনার পর উভয় পক্ষের মধ্যে হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটে। সর্বশেষ রাতে মামলার আসামি কামালের উপর হামলা করা হয়। আহত অবস্থায় তাকে ওসমানী হাসাপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। কামাল ছাত্রদলের রাজনীতির পাশাপাশি পাথর ব্যবসা করতেন। তিনি এক ছেলে ও এক মেয়ের জনক।