সুনামগঞ্জে ম্যাজিষ্ট্রেটের হাতে ৭৩ বস্তা চোরাই কয়লা আটক

নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের সাথে বিজিবির সুবেদারের অসদাচরণ

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: বিসিআইসির সুনামগঞ্জের টেকেরঘাট চুনাপাথর খনি প্রকল্প এলাকা থেকে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ভারতীয় চোরাই কয়লা পরিহনের সময় ৭৩ বস্তা কয়লা আটক করেছেন। এদিকে বুধবার মধ্যরাতে আরো বিপুল পরিমাণ কয়লা আটক করতে যাবার পথেই বিজিবির এক সুবেদার নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের সাথে অসদাচরণ করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
টাঙ্গুয়ার হাওরের কর্তব্যরত নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ,পুলিশ ও স্থানীয় টেকেরঘাট বিওপির বিজিবির সুত্রে জানা যায়, সুনামগঞ্জ-৮ বর্ডারগার্ড ব্যাটালিয়নের তাহিরপুর উপজেলার টেকেরঘাট বিওপির বিজিবির একটি টহল দল প্রকল্পের আশে পাশের এলাকায় টহলরত থাকা অবস্থায় বুধবার মধ্যরাতে একদল চোরাচালানী নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের কার্যালয়ের পাশ দিয়ে চোরাই কয়লা নিয়ে যাওয়ার সময় ম্যাজিষ্ট্রেট ৭৩ বস্তা ভারতীয় চোরাই কয়লা আটক করেন। প্রকল্পের বিদ্যালয়ের পেছন দিক দিয়ে আরো বিপুল পরিমাণ কয়লা ভারত থেকে চোরাচালানের মাধ্যমে নিয়ে আসা হয়েছে এমন খবর পেয়ে পুলিশ নিয়ে ম্যাজিষ্ট্রেট বিদ্যালয়ের কাছে পৌছলে বিওপির কোম্পানী কমান্ডার সুবেদার ও তার টহল দল নিয়ে এসে পথরোধ করে বিদ্যালয়ের পেছনে এত রাতে ম্যাজিষ্ট্রেট কেন যাবেন তার কারণ জানতে চেয়ে বিজিবির ঐ সুবেদার ম্যাজিষ্ট্রেটের সাথে তর্কাতর্কি ও অসধারচরণ করেন।
স্থানীয় এলাকাবাসী ও সচেতন মহলের ধারণা কয়লা চোরাচালানী চক্রের সদস্যদের আড়াল করতে এমনকি টেকেরঘাট সীমান্ত এলাকা দিয়ে কয়লা চোরাচালান হয় এ বিষয়গুলোকে ধামাচাপা দেয়ার অপচেষ্টা করতে গিয়েই ঐ সুবেদার ম্যাজিষ্ট্রেটের সাথে অসধারচরণের লিপ্ত হয়েছিলেন।
টেকেরঘাট বিওপির কোম্পানী কমান্ডার সুবেদারের নিকট এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বললেন, ম্যাজিষ্ট্রেট পুলিশ নিয়ে সীমান্তের জিরো লাইনে কাছে কয়লা আটক করতে গেলে আমি উনার কাছে জানতে চেয়েছি তিনি কেন এতরাতে জিরো লাইনে পুলিশ নিয়ে এসেছিলেন, উনি সীমান্তের জিরো লাইনে যাবার পুর্বে আমাকে অবগত করেননি এমনকি আমি উনার সাথে কোন অসধাররণ করিনি।
নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ইমরুল হাসান বললেন, আমি জিরো লাইনে যাইনি বিদ্যালয়ের নিকট পৌছামাত্রই বিজিবির সুবেদার গোলাম রউফ আমার সাথে এমনকি পুলিশের সাথেও তর্কাতর্কি ও অসধারণ করেন, এছাড়াও এলাকাবাসীর অভিযোগ রয়েছে দ্বীর্ঘ দিন ধরেই প্রকল্প এলাকার ভেতর দিয়ে রাতে শতশত বস্তা ভারতীয় চোরাই কয়লা আসে এসব প্রতিবস্তা কয়লার জন্য স্থানীয় বিজিবি ও সুবেদারকে ম্যানেজ করার জন্য সহিদ নামে এক চোরাচালানী অন্যান্য চোরাচালানীদের নিকট থেকে ৭০ টাকা করে আদায় করে আসছে, বিজিবির টহল দলের উপস্থিতিতে চোরাই কয়লা আসার গোটা বিষয়টিকে ব্যাটালিয়ন কমান্ডারের নিকট ধামাচাঁপা দেয়ার জন্যই সুবেদার হয়ত এমন আচরণ করেছেন।