ফের দুর্ঘটনায় এয়ার এশিয়ার প্লেন
সাবধান এয়ার এশিয়া! তোমার দিকে ধেয়ে আসছে কালো হাত!’
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ ইন্দোনেশিয়ায় এয়ার এশিয়ার একটি প্লেন নিখোঁজের রেশ কাটতে না কাটতেই আবার দুর্ঘটনায় পড়লো এয়ার এশিয়ার আরও একটি ফ্লাইট। এবারের ঘটনা ফিলিপাইনের আকলানের কালিবু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। ঘটনাটি ঘটে ফিলিপাইনের স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সন্ধ্যায়।
রাজধানী ম্যানিলা থেকে উড্ডয়ন করা এয়ার এশিয়া ফিলিপাইনের প্লেনটি ফিলিপাইনের মধ্যাঞ্চলীয় আকলানের কালিবু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে। এ সময় প্লেনটির ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যায়। তবে অবতরণের পরপরই যাত্রীদের প্লেনটির জরুরি নির্গমন পথ ধরে বের করে আনেন উদ্ধার কর্মীরা। এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। প্লেনটির ১৫৩ জন যাত্রী ও ৬ জন ক্রুর সবাই নিরাপদে আছেন বলে জানিয়েছে বিমান সংস্থাটি।
তবে যান্ত্রিক ত্রুটির বদলে এ ঘটনার জন্য খারাপ আবহাওয়াকে দায়ী করেন প্লেনটির ক্রুরা। তারা জানান, অবতরণের সময় তীব্র দমকা বাতাসের সামনে পড়ে প্লেনটি।
এ ব্যাপারে মঙ্গলবার রাতে বিবৃতিতে এয়ার এশিয়া ফিলিপাইন জানায়, ম্যানিলা থেকে ওড়া ফ্লাইট জে২২৭২ কালিবু বিমানবন্দরে অবতরণের সময় ৫টা ৪৩ মিনিটে রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে। তবে প্লেনটির ১৫৩ জন যাত্রী ও ক্রুদের সবাই নিরাপদে রয়েছে।
উল্লেখ্য, মাত্র দু্’দিন আগেই ১৬২ আরোহী নিয়ে জাভা সাগরে নিখোঁজ হয় ইন্দোনেশিয়া থেকে সিঙ্গাপুরগামী এয়ার এশিয়ার অপর একটি ফ্লাইট। দুই দিন সম্পূর্ণ নিখোঁজ থাকার পর ইন্দোনেশিয়ার বোর্নিও দ্বীপের নিকটবর্তী গভীর সমুদ্রে শনাক্ত হয় প্লেনটির ধ্বংসাবশেষ। পাশাপাশি উদ্ধার করা হয় প্লেনটির বহু আরোহীর মৃতদেহ। এখনও উদ্ধার অভিযান চলছে।
এয়ার এশিয়ার বিমান রহস্যে নতুন মোড়।
বিমান নিখোঁজ হওয়ার প্রায় দু’সপ্তাহ আগে ১৫ ডিসেম্বর, এক চীনা ব্লগার তাঁর ব্যক্তিগত ব্লগে লিখেছিলেন, ‘সাবধান এয়ার এশিয়া! তোমার দিকে ধেয়ে আসছে কালো হাত!’
ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ছে এই পোস্ট। চীনা ব্লগার আগাম কী করে জানলেন এই দুর্ঘটনার কথা? কে বা কোন সংগঠন এই ‘কালো হাত’ বা ‘ব্ল্যাক হ্যান্ড’? এম এইচ ১৭ ও এম এইচ ৩৭০ নিখোঁজ হওয়ার পিছনেও তাদেরই হাত রয়েছে বলে দাবি করছে ব্ল্যাক হ্যান্ড।
রোববারই এয়ার এশিয়ার বিমান ইন্দোনেশিয়া থেকে সিঙ্গাপুর যাওয়ার পথে ১৬২ জন যাত্রীসহ জাভা সাগরে ভেঙে পড়ে।
রহস্যজনক পোস্টে ১৫ ডিসেম্বর একটি কমেন্টে বলা হয়েছে, ব্ল্যাক হ্যান্ডই এম এইচ ৩৭০ ও এম এইচ ১৭ ধ্বংসের জন্য দায়ী। এবার তাদের টার্গেট এয়ার এশিয়া।
এখনও পর্যন্ত প্রায় ৬৫ হাজার মানুষ পোস্টটি পড়ে ফেলেছেন অনলাইনে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে ছড়িয়েও পড়েছে পোস্টটি। উল্লেখ্য, এয়ার এশিয়ার এই বিমানে কোনও চীনা যাত্রী ছিলেন না।