তাহিরপুরের সীমান্তের সেই লামাকাঁটা থেকে চোরাই কয়লা আটক

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বীরেন্দ্রনগর সীমান্তের সেই লামাকাঁটা থেকে নানা নাঠকিয়তার পর অবশেষে ৪৫ বস্তা ভারতীয় চোরাই কয়লা বিজিবি জব্দ করেছে। বিনা শুল্ক নিয়ে আসা প্রায় আড়াই শতাধিক চোরাই কয়লার মধ্যে মাত্র ৪৫ বস্তা কয়লা জব্দ করলেও এ কয়লা চোরাচালান চক্রের কোন সদস্যকেই বিজিবি আটক করেনি। গত ৬ মাস ধরে লামাকাঁটা এলাকা দিয়ে বিনা শুল্কে নির্ব্রিগ্নে ভারতীয় চোরাই কয়লার জমজমাট ব্যবসা চলে আসলেও বিজিবি অদৃশ্য কারনে এ চক্রের বিরুদ্ধে কোন আইনি ব্যবস্থা না নেয়ায় আবারো চোরাই কয়লা আটকের নামে এটিকে লোক দেখানো নাঠকই মনে করছেন স্থানীয় এলাকাবাসী।
স্থানীয় বিজিবি সুত্রে যায়, সুনামগঞ্জ -৮ বর্ডারগার্ড ব্যাটালিয়নের বীরেন্দ্রনগর বিওপির টহল কমান্ডার হাবিলদার মনিরের নেতৃত্বে বিজিবির একটি টহল দল রবিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে লামাকাঁটা গ্রামের উওরে সীমান্তের মেইন পিলার ১১৯৪ এর টু-এস সাব পিলারের ১৫০ গজ বাংলাদেশ অভ্যন্তর হতে ভারত থেকে বিপুল পরিমাণ চোরাই কয়লা নিয়ে আসার ৪৫ বস্তা কয়লা আটক করে। আটককৃত কয়লার মুল্য প্রায় ১৬ হাজার টাকা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান বিজিবি রবিবার কয়লা আটকের সময় এ এলাকা দিয়ে ভারতীয় চোরাই কয়লা ব্যবসার নিয়ন্ত্রক লামাকাঁটা গ্রাামের আব্দুল হাসিমের ছেলে ভারতীয় চোরাই মোটরসাইকেল চক্রের হোতা জামাল হোসেন ওরফে ল্যাংরা জামাল অদুরে দাড়িয়ে থাকলেও তাকে বিজিবির টহল দল আটক করেনি। প্রায় ২০০’শর অধিক পরিমাণ চোরাই কয়লার বস্তা ট্রলি দিয়ে নির্ব্র্রিগ্নে সড়িয়ে নেয়ার পর নানা নাঠকিয়তার মাধ্যমে বিজিবি ৪৫ বস্তা চোরাই কয়লা আটক করে।
স্থানীয় এলাকাকাসীর অভিযোগ, উপজেলার উওর শ্রীপুর ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি জয়ধর আলীর মদদে বীরেন্দ্রনগর বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকা লামাকাঁটা গ্রামের পেছনে মেইন পিলার ১১৯৪ এর টু-এস ও ১১৯৪ এর সিক্স-টির মাঝামাঝি এলাকা দিয়েও গত ৬ মাস ধরে তার ছেলে ফজলুর নিয়ন্ত্রনে লামাকাঁটা গ্রামের ল্যাংরা জামালের সহায়তায়তা রাধের আধারে শতাধিক শ্রমিক ওপারে পাঠিয়ে লাখ লাখ টাকার চোরাই কয়লা বিনা শুল্কে নিয়ে এসে নির্ব্রিগ্নে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এ চক্র বিজিবিকে ম্যানেজ করার কথা বলে প্রতিবস্তা কয়লার জন্য ৫০ থেকে ৭০ টাকা করে আদায় করছে। এসব বিষয়ে কেউ মুখ খোলার চেষ্টা করলে থানা পুলিশ কিংবা বিজিবি দিয়ে চাঁদাবাজি, মাদক, চোরাচালান সহ নানা মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়ার জন্য অহরহ হুমকি ধামকি দিচ্ছেন জয়ধর আলী ও তার আরেক গুণধর পুত্র স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের তালিকাভুক্ত অস্ত্রচোরাকারবারী ছেলে নজরুল। জয়ধর আলী ও তার ছেলে নজরুলের কাছে জিম্মি হয়ে আছে সীমান্তের লালঘাট থেকে লামাকাঁটা পর্য্যন্ত সাত গ্রামের হাজারো সাধারন মানুষ। মিথ্যা মামলা হামলার ভয়ে এলাকার সাধারন মানুষ বাপ-বেটার গালি-গালাজ হুমকি ধামকিতে কয়লা চোরাচালান, নজরুলের অস্ত্রচোরাকারবার ব্যবসা, শামীমের অবৈধ পিস্তল দিয়ে প্রতিপক্ষের ওপর গুলি বর্ষণের কথা, ও থানা পুলিশের নামে চাঁদাবাজি সহ নানা অপকর্মের কথা জানা থাকলেও তাদের বিরুদ্ধে মুখ খোলার সাহস পাচ্ছেন না।
এ ব্যাপারে বীরেন্দ্রনগর বিওপির এ/কোম্পানীর কোম্পানী কমান্ডার সুবেদার নুরুল ইসলামের সাথে গতকাল মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, মালিকবিহিন অবস্থায় কয়লা পাওয়া গেছে তাই (আনকেইম) সিজার দিয়েছি, টহল দল সেখানে কাউকেই পায়নি। উল্ল্যেখ যে, ইতিপুর্বে সুবেদার নুরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন লামাকাঁটা দিয়ে কয়লা চোরাচালান হয় এটা উনার জানা নেই।
জয়ধর আলীর বক্তব্য জানতে গতকাল যোগাযোগ করা হলে তিনি এ ব্যাপারে কোন রকম বক্তব্য জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন।