সুনামগঞ্জে কয়লা ডিপোতে ডাকাতির ঘটনায় ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা
১৭ দিন পেরিয়ে গেলেও লুটে নেয়া সোয়া ৪ লাখ টাকা উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার টেকেরঘাট সীমান্তের বড়ছড়া শুল্ক ষ্টেশনে দু’কয়লা আমদানিকারকের ডিপোতে ডাকাতির ঘটনায় ডাকাত দলের সর্দর সহ ৯ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এদিকে ডাকাতির ঘটনায় ১৭ দিন পেরিয়ে গেলেও লুট হওয়া ৪ লাখ ১৭ হাজার টাকা ও ৬টি মোবাইল ফোন সেট পুলিশ উদ্যার করতে পারেনি।
পুলিশ ও মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায়, সিলেট ট্রেডাসের স্বত্বাধীকারী কয়লা আমদানিকারক সুনীল পাল চৌধুরীর ম্যানেজার সুরজিত পাল ওরফে সঞ্জু বাদী হয়ে শনিবার থানায় এ মামলা দায়ের করেন। এর আগে শুক্রবার ভোরে ডাকাতির ঘটনায় জড়িত ডাকাত দলের ৬ সদস্যকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। মামলায় অভিযুক্তরা হল, উপজেলার দক্ষিণ বড়দল ইউনিয়নের পুরানখালাস গ্রামের আলকাছ আলীর ছেলে ডাকাত দলের সর্দার মোহাম্মদ আলী, তার সহোদর আহম্মদ আলী, কাউকান্দি গ্রামের সামছুদ্দিনের ছেলে জাহের মিয়া, বিন্নারবন গ্রামের মৃত গেদু মিয়ার ছেলে হাছু মিয়া, হাফানিয়া গ্রামের মৃত গোলাপ মিয়ার ছেলে বাবুল মিয়া, একই গ্রামের মৃত কুদরত আলীর ছেলে আলাল উদ্দিন ওরফে আলাইল্ল্যা, হলহলিয়া গ্রামের রাশিদ মিয়ার ছেলে মনসুর আলী, উওর বড়দল ইউনিয়নের হলহলিয়া চরগাঁও গ্রামের মলয় মিয়ার ছেলে আব্দুল হেকিম, একই গ্রামের মোতালেব মিয়ার ছেলে রুস্তম মিয়া ওরফে রসতু। ডাকাত সর্দার মোহাম্মদ আলী, জাহের ও হাছু পুলিশের গ্রেফতার এড়িয়ে এখনো পালিয়ে বেড়াচ্ছে। গ্রেফতারকৃত ৬ জনকে শনিবার চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রে আদালতে সোপর্দ করা হলে ডাকাতদলের ৪ সদস্য আদালতে ডাকাতির ঘটনার দায় স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্ধি প্রদান করেছে।
উল্ল্যেখ যে গত ৫ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে নির্ব্রিগ্নে দু’ডিপোতে হানা দিয়ে মুখোশ পড়া একদল ডাকাত ৬টি মোবাইল ফোন সেট সহ কয়লা বিক্রির সোয়া ৪ লাখ ১৭ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ডাকাতরা ডিপোতে থাকা ম্যানেজার , সর্দার ও নৈশ প্রহরী সহ ৬ জনকে মারধর করেছিল।
মামলার তদন্তকারী অফিসার এসআই (উপ-পরিদর্শক) জামাল উদ্দিন জানান, এ ঘটনায় জড়িত ডাকাত সর্দার মোহাম্মদ আলী ও অন্য পলাতক আসামীদের গ্রেফতারে এবং লুটে নেয়া টাকা ও মোবাইল ফোন উদ্যারে পুলিশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
পুলিশ সুপার মো. হারুন অর রশীদ বললেন, ওই ডিপোতে কয়লা বিক্রির টাকা রয়েছে এটা নিশ্চিত হয়েই ডাকাতির ঘটনাটি ঘটিয়েছিল এমনকি গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে বড়ছড়া শুল্ক ষ্টেশনে ওই রাতের ডাকাতির ঘটনার সাথে জড়িত থাকা ছাড়াও ইতিপুর্বে একাধিক ডাকাতি এবং দ্রুত বিচার আইনে বেশ কয়েকটি মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। তিনি আরো বলেন, সন্ত্রাসী , মাদক ব্যবসায়ী ,অস্ত্রবাজ, অস্ত্র ব্যবসায়ী, চাঁদাবাজ, চোরাচালানী ও সহ যে কোন ধরণের অপরাধ ও অপরাধীদের বিষয়ে সুনিদ্রিষ্ট্র তথ্য পেলে পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা নিতে বধ্যপরিকর রয়েছে।