আজ ২৬ নং ওয়ার্ডে ছাত্রদলের কর্মী সম্মেলন
নেতাকর্মীদের মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্য পদপদবী পেতে তৎপরতা
এম এ মালেক : রাজনৈতিক কর্মসূচীর জন্য সিলেট শহরের কোর্ট পয়েন্ট সবার কাছে যেমন পরিচিত, তেমনি ট্রেন ও সড়কপথ অবরোধের জন্য বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের কাছে দণি সুরমার ২৬ নং ওয়ার্ড একটি গুরুর্ত্বপূর্ন স্থান হিসেবে বিবেচিত। এ ওয়ার্ডের ভেতর রয়েছে সিলেট শহরের প্রবেশদ্বার হুমায়ুন রশিদ চত্ত্বর, রেলওয়ে স্টেশন, কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল ও ঢাকা সিলেট মহাসড়কের বাইপাস সড়ক। রাজনৈতিক কোনো কর্মসূচীতে কদমতলী এলাকায় অবরোধ সৃষ্ঠি করলে গোটা সিলেট অচল হওয়ার পাশাপাশি শত শত যানবাহন আটকা পড়ে । এ ছাড়া সিলেট শহরে প্রবেশের মুহুর্তে যেকোনো সরকারের মন্ত্রী কিংবা ভিন্ন দেশের বিশিষ্ঠজনদের প্রথমেই স্বাগত জানানো ঐ স্থানে। যার জন্য ২৬ নং ওয়ার্ড এলাকাটি গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে আসছে। বর্তমান সরকার বিরোধী আন্দোলনে সবকটি বিরোধী দলের মধ্যে বিএনপির অংঙ্গসংগঠন ছাত্রদলের ব্যাপক কর্মসূচী ২৬ নং ওয়ার্ডে পালন করা হয়। কর্মসূচীতে ছাত্রদলের তৃণ্যমূল নেতাকর্মীদের উপস্থিতি ল্যনীয়। আজ সোমবার সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ২৬ নং ওয়ার্ডে ছাত্রদলের কর্মী সম্মেলন। সম্মেলনকে ঘিরে নেতাকর্মীদের মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। নেয়া হয়েছে ব্যাপক উদ্যোগ। কর্মী সম্মেলনে সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত থাকবেন। ২৬ নং ওয়ার্ডের কমদতলী পয়েন্ট এলাকায় এ কর্মী সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। ২৬ নং ওয়ার্ডের ছাত্রদলের বর্তমান সভাপতি এমএমতিনসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা সম্মেলন সফলের লক্ষে গত কয়েকদিন ধরে বিরামহীন সাংগঠনিক তৎপরতা চালিয়েছেন। মহানগর ছাত্রদল নেতাদের নির্দেশে তারা এ কর্মী সম্মেলনের আয়োজন করেন। দীর্ঘদিন পর এ ওয়ার্ডে ছাত্রদলের কর্মীসভার আয়োজন করায় অনেকে পদপদবী পেতে জেলা ও মহানগর ছাত্রদলের শীর্ষ নেতাদের কাছে তদবির লবিং এ ব্যস্ত। এ ওয়ার্ডের ছাত্রদলের সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করছেন এম এ মতিন, সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন আব্দুল মন্নান,সাংগঠনিক পদে তাজিম আহমদ। বর্তমান সভাপতি এম এ মতিন জানান ২০০২ সালে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল থেকে সিলেট জেলা, মহানগর ও প্রতিটি ওয়ার্ড এবং কলেজ ক্যাম্পাসের ছাত্রদলের কমিটির অনুমোদন দেয়া হয়। এরপর আর কোনো নতুন কমিটি গঠন কিংবা অনুমোদন না দেওয়ার কারণে পূর্বে ও বর্তমানে যারা দায়িত্ব পালন করছেন তারাই বহাল থাকলেও চলতি বছরের গত ১৮ সেপ্টেম্বর কেন্দ্র থেকে সিলেট জেলা ও মহানগর ছাত্রদলের নতুন কমিটি ঘোষনা করা হয়। কমিটি ঘোষনার ফলে পূনরায় নতুন করে ওয়ার্ড কমিটি গঠনের লে নেতা কর্মীরা তৎপর রয়েছেন বলে জানান তিনি । অপর একটি সূত্রে জানা যায়, ওয়ার্ড কমিটি ও কলেজ ক্যাম্পাস কমিটি গঠন করতে হলে মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ন। এখানে জেলা ছাত্রদলের কোনো অগ্রাধিকার নেই। অথচ ২৬ নং ওয়ার্ডে জেলা ছাত্রদলের এক নেতার হস্তপে থাকায় এ ওয়ার্ডে দুটি বলয়ের সৃষ্ঠি হওয়ায় উপক্রম হয়েছে। এ ব্যাপারে এমএমতিন জানান,২৬ নং ওয়ার্ডে পূর্বে বলয়ের রাজনীতি ছিলো বলে অনেকে প্রচার করেছেন। বর্তমানে কোনো বলয় নেই বলে মন্তব্য করেন তিনি। অপরদিকে কমিটি গঠনের পূর্বেই দুটি গ্র“পের সৃষ্ঠি হওয়ায় তার জের ধরে সংঘর্ষের আশংকা করছেন অনেকেই। সিলেট জেলা ও মহানগর ছাত্রদলের নবগঠিত কমিটি নিয়ে যে হিংসা বির্দেষ সূষ্ঠি হয়েছে,তার আছর পড়েছে ২৬ নং ওয়ার্ডে। ওয়ার্ড ছাত্রদলের সভাপতি,সাধারণ সম্পাদকসহ পদপদবী পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন অনেকেই। সভাপতি পদ পেতে আগ্রহী হলেন, ফাহিম বক্ত শিপু,আবির আহমদ,ও মেহেদী হাসান সাজাই , ২৬ নং ওয়ার্ডের তৃর্ণ্যমূল নেতাকর্মীদের সাথে আলাপ করে জানা যায়, পরিতি ত্যাগি কোনো কর্মীকে ওয়ার্ড সভাপতির পদে তারা দেখতে চান । যার শিাগত যোগ্যতা ও রাজপথে আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে আসছেন এবং বিভিন্ন সময়ে দলের জন্য কারাবরণ করেছেন এ রকম ত্যাগী কোনো কর্মীর হাতে সভাপতির দায়িত্ব অর্পন করা হোক বলে জানান তৃণমূল নেতাকর্মীরা। ২৬ নং ওয়ার্ড ঘুরে জানা যায়,যারা ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে জড়িত তাদের বেশির ভাগেরই শিাগত যোগ্যতা ও রাজপথে তাদের সরব উপস্থিতি নেই। সবাই শহর কেন্দ্রীক রাজনীতির সাথে জড়িত থাকলেও বর্তমানে স্থানীয় নেতাকর্মীরা ওয়ার্ড পর্যায়ে পদপদবী পেতে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। ২৬ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মহানগর ছাত্রদল নেতা রহমত আলী জানান, ২৬ নং ওয়ার্ডের ভেতর অনেক ত্যাগী নেতাকর্মী দলের স্বার্থে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছেন। কেউ কেউ আজ পর্যন্ত কোনো পদ না পেলেও শহীদ জিয়ার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে তারা মাট পর্যায়ে সরকার বিরোধী আন্দোলনে পরোক্ষভাবে জড়িত। যারা মামলা হামলা আর নির্যাতনের শিকার হয়ে এখনো রাজপথে তৎপর রয়েছেন,তাদের মধ্যে থেকে কাউকে এ ওয়ার্ডের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য তিনি মহানগর ছাত্রদল নেতৃবৃন্দদের প্রতি আহবান জানান। ২৬ নং ওয়ার্ডের সাবেক বিএনপির সভপতি ও মহানগর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপিত মকবুল হোসেন জানান, যারা সভাপতি পদ পেতে আগ্রহী তাদের মধ্য থেকে যে বা যারা ছাত্রদলের একনিষ্ঠ কর্মী তাদের কারো হাতে সভাপতির দায়িত্ব অর্পণ করার আবেদন জানান তিনি। তিনি আরো বলেন বহুরূপি কাউকে যেনো গুরুত্বপূর্ন এপদে নিযুক্ত করা না হয়। কারণ ভবিষৎতে দলের জন্য সে হুমকি হয়ে দাড়াতে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি। মহানগর ছাত্রদল নেতা খসরুল আহমদ জানান,তিনি চান আগামী দিনে দল ও দলের কর্মীদের নিয়ে ঐক্যব্ধভাবে যে কাজ করতে পারবে তাকেই সভাপতি পদে নিযুক্ত করা হোক। ২৬ নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের সভাপতি পদে সম্ভাব্যপ্রার্থী আবির আহমদ জানান,তিনি শহীদ জিয়ার আদর্শকে বুকে লালন করে রাজনীতি করে আসছেন। দলের জন্য তিনি ত্যাগ স্বীকার করার পাশাপাশি যতদিন বাচঁবেন ততোদিন বিএনপির রাজনীতি করে যাবেন,বর্তমান জেলা ও মহানগরের ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দরা তাকে যদি ২৬ নং ওয়ার্ডের সভাপতি হিসেবে যোগ্য মনে করেন তাহলে তাকে এ পদে নিযুক্ত করবেন। অপরদিকে সভাপতি পদের আরেক প্রার্থী ফাহিম বক্ত শিপু জানান,তিনি র্দীঘদিন ধরে ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে জড়িত। ওয়ার্ডের ভেতর ছাত্রদলের তৃণ্যমূল নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করতে তিনি নিরলশ ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তাকে যদি ওয়ার্ডের সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয় তাহলে তিনি সেই দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করবেন বলে জানান। মেহেদী হাসান সাজাই বলেন যোগ্যতার মাপকাটিতে দলের শীর্ষ নেতারা যাকে যোগ্য মনে করবেন তাকেই সভাপতি হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার আহবান জানান তিনি। দল ও দলের স্বার্থে তিনি যেভাবে কাজ করে যাচ্ছেন,তার ধারাবাহিকতা তিনি অক্ষুন্ন রাখবেন বলে জানান।