নবীগঞ্জে তীব্র শীতে বিপর্যস্ত জনজীবন,ছিন্নমুল মানুষের দুর্ভোগ চরমে
কয়েক বছর পর এমন তীব্র শীত আবার দেখা গেল
উত্তম কুমার পাল হিমেলঃ গত ২ দিন ধরে বৃহত্তর সিলেটসহ পুরো দেশেই বিরাজ করছে প্রবল শৈত্য প্রবাহ দারুন শীতল আবহাওয়া । দিন দিন শীতের তীব্রতা বেড়েই চলছে। ঘন কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল জুড়ে শীতের মাত্রা খুব বেড়ে গেছে। যেন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে গোটা অঞ্চল। গতকাল শনিবার তো দেশের অধিকাংশ স্থানে সূর্যের মূখই দেখা যায়নি । ফলে শীতের দাপটে জনজীবন বিপর্যস্থ হয়ে পড়েছে। সাথে সাথে কর্মহীন হয়ে পড়েছে নবীগঞ্জ উপজেলসহ বৃহত্তর সিলেট এলাকার খেটে খাওয়া দিনমজুর মানুষগুলো । প্রচন্ড শীত সহ্য করতে না পেরে গত ২ দিন ধওে নবীগহ্জ উপজেলাসহ বিভিন্ন বাজাওে পুরানো গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে প্রচন্ড ভীঢ় লখ্য করা গেয়ে। কোথাও কোথাও কয়েকজন বৃদ্ধলোক শীতের প্রকোপে মারাও গেছেন।
আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানাযায়, দেশের সিলেটের শ্রীমঙ্গল ও চট্রগ্রামের লালখানসহ আরো অনেক স্থানে তাপমাত্রা সর্বনিন্ম পর্যায়ে নেমে গিয়ে দেশে শীতে তীব্রতা বেড়ে চলছে। শীতে তীব্রতা এমন ভাবে ঝুকে বসছে যে যুবকরাই ঠিকতে পারছে না আর বৃদ্ধ লোকদের অবস্থা তো আরও করুন।
অনুসন্ধানে জানাযায়, বৃহত্তর সিলেটের মধ্যে সুনামগঞ্জ ও নবীগঞ্জে হতদরিদ্র ও খেটে খাওয়া মানুষ বেশী। যারা দিন আনে দিন খায়। চলতি সপ্তাহের গত ২ দিন ধরে প্রচন্ড শীতে জীবন যুদ্ধে বেঁচে থাকার জন্য কাজের সন্ধানে বের হলেও কোথাও তাদের জন্য কাজ মিলছে না। আর প্রচন্ড শীতের তীব্রতার কারনে কৃষকরা কাজ করার জন্য ঘর থেকে মোটেও বের হতে পারছেন না। অগ্রহায়ন মাস শেষ হতে না হতেই এমন শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় আগামী পৌষ মাসের শুরুতে শীতের তীব্রতা যে হবে তা নিয়ে সাধারন মানুষ রয়েছেন দুশ্চচিন্তায়। বর্তমান সময়ে পর্যন্ত হালকা থেকে মাঝারী শৈত্যপ্রবাহ শুরুর কারনে নবীগঞ্জ উপজেলাসহ হবিগঞ্জ জেলার অন্যান্য উপজেলার খেটে খাওয়া নিন্ম আয়ের মানুষের জীবন যাত্রা একেবারে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে। দরিদ্র অভাবী পথ শিশু,বৃদ্ধ লোকজন শীত বস্ত্রের অভাবে অতি কষ্টে দিনযাপন করছে। গরম কাপড়ের অভাবে দুঃস্থ ও ছিন্নমূল মানুষ ঘর ছেড়ে বাহিরে কোথাও যেতে পারছেন না। নিন্ম আয়ের লোকজন ও শ্রমিকরা চরম ভোগান্তিতে দিনতিপাত করছেন। দরিদ্র ও ছিন্নমুল এসব মানুষগুলো একটু গরম কাপড়ের আশায় সরকার ও সমাজের বিত্তবানদের দিকে চেয়ে দিন অতিবাহিত করছেন।