নবীগঞ্জের আলোচিত গৃহকর্মি অঞ্জনা হত্যামামলার আসামি সজল দেবসহ ৩ জনের জামিন

Photo0847উত্তম কুমার পাল হিমেল,নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) থেকে: নবীগঞ্জের আলোচিত অঞ্জনা রানী সরকার হত্যা মামলাটি আপোসে নিষ্পত্তির প্রক্রিয়া চলছে। টাকার বিনিময়ে আলোচিত এ নির্মম হত্যামামলাটি এখন ধামাচাপা দিয়ে নিস্পত্তির দিকে। নিহত অঞ্জনার পিতাসহ হত্যা বিচার প্রার্থী আন্দোলনকারীদেও সাথে মামলার আসামি নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তৎকালিন প্রধান অফিস সহকারী সজল চন্দ্র দেব সমঝোতায় গিয়ে বাদিকে ম্যানেজ করে বিজ্ঞ আদালতে একটি দরখাস্থ দাখিল করিয়েছেন। ওই দরখাস্থের মাধ্যমে আসামিদের জামিনে যেতে কোন বাধা নেই মর্মে আবেদন দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। যার পরিপ্রেেিত প্রধান আসামি সজল চন্দ্র দেব ও তার দুই পুত্র গতকাল বৃহস্পতিবার হবিগঞ্জের বিজ্ঞ আদালত থেকে জামিন নিয়েছেন নিয়েছেন। বিজ্ঞ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমল আদালত-৫ এর বিচারক মিলন রশীদ চার্জশীট না আসা পর্যন্ত জামিন মঞ্জুর করেছেন বলে জানা গেছে। খুনি সজল দেবের সাথে নিহত গৃহকর্মি অঞ্জনার বাবার আঁতাতের বিষয়টি গতকাল নবীগঞ্জে চাউড় হলে মানুষ মর্মাহত হয়েছেন। নির্মম ওই খুনের বিচার চেয়ে নবীগঞ্জের সর্বস্তরের মানুষ প্রতিবাদ করেছিল ওই আপোসের খবরে আন্দোলনরত সর্বস্তরের মানুষের মাঝে তীব্র সমালোচনা চলছে।
উল্লেখ্য,গত ১৬ আগষ্ট শনিবার সকালে গৃহকর্মি অঞ্জনা রানী সরকারের (১৬) মৃতদেহ নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কোয়ার্টারের সজল দেবের বাসা থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। গৃহকর্তা সজল দেব এ ঘটনাকে গলায় ফাসঁ লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে দাবি থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করেন। পরে মৃতের পরিবার ও এলাকাবাসীর আন্দোলনের পরিপ্রেেিত নবীগঞ্জ থানায় মৃতের পিতা রাজেন্দ্র সরকার বাদি হয়ে সজল চন্দ্র দেবকে প্রধান ও তার দুই পুত্র,দুই স্ত্রীসহ মোট ৫ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এদিকে ময়না তদন্ত রিপোর্টে অঞ্জনা সরকারকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে। ঘাতক সজল দেবের ফাসিঁর দাবীতে ব্যাপক আন্দোলন হয়েছে নবীগঞ্জে। মামলাটি হবিগঞ্জের গোয়েন্দা শাখা তদন্ত করছে। ইতিমধ্যে নিজেকে রার জন্য সজল দেব এবং তার অনুসারীরা নানাস্থানে দৌড়ঝাপ চালায়। স্থানীয় কতিপয় নেতাদের টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ করে নিহত অঞ্জনার পিতা অসহায় রাজেন্দ্র সরকারকে আপোসে রাজি করানো হয়েছে বলে জানা গেছে। সজল দেব দীর্ঘদিন আত্ম¡গোপনে থাকার পর গত ৬ ই ডিসেম্বর দুপুরে নয়া কর্মস্থল আজমিরীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগদান করেন। অভিযোগ উঠেছে আন্দোলরত স্থানীয় নেতাদের মধ্যে কয়েকজনকে টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ করেই সজল দেব নিহত অঞ্জনার পিতার সাথে ঘটনার আপোষ করেছেন। বেশ কিছুদিন ধরে নবীগঞ্জে গুঞ্জরিত হচ্ছিল ওই নির্মম হত্যাকান্ডটি আপোসের দিকে যাচ্ছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সজল দেবের জামিনের েেত্র বিজ্ঞ আদালতে বাদির অনাপত্তি দাখিলের মধ্যদিয়ে নবীগঞ্জের মানুষের সন্ধেহ প্রমানিত হয়েছে। এ ব্যাপারে আন্দোলনকারীদের সাথে যোগাযোগ করলে তারা জানান,শুনেছি সজল দেবের জামিন নিতে বাদির আপত্তি নাই মর্মে বিজ্ঞ আদালতে দরখাস্থ দেয়া হয়েছে। উক্ত খবরে হতাশ ও হতভম্ব হয়েছি। আমরা বিবেক ও মানবতার তাড়নায় নিরীহ অঞ্জনা হত্যাকান্ডের যেন সঠিক বিচার হয়, আইনের মারপ্যাচে ঘাতকরা যাতে পার পেতে না পারে সেজন্য আন্দোলন করেছিলাম। কিন্ত স্থানীয় নেতাদের স্বার্থের কারনে এমনটি হয়েছে বলে ধারনা করা হয়। তবে সুশীল সমাজের অন্যান্য নেতৃবৃন্দকে তারা জরুরি বৈঠক করে পরবর্তী করুনীয় ঠিক করে জনতার সম্মুখে বর্তমান পরিস্থিতি অবগত করানো হবে বলেও জানান।