জানেন কতজন মুক্তিযোদ্ধা রিকশা চালায়?
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ আপনি জানেন আজ কতজন মুক্তিযোদ্ধা রিকশা চালায়? স্বাধীনতার ৪৩ বছর পরে এসে এ প্রশ্ন রেখেছেন ১৯৭১ সালের রক্তক্ষয়ী বীর মুক্তিযোদ্ধা বিএনপি নেতা জয়নুল আবদীন ফারুক। তার মতে, মুক্তিযোদ্ধাদের বিভক্তি আর রাজনৈতিক মতভেদে স্বাধীনতার কাঙ্ক্ষিত অর্জন হয়নি। সরকারের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর ভালো সম্পর্কের নিয়ম চালু থাকলে উন্নতি আরো বেশি হতো।
আওয়ামী লীগের ছাত্র রাজনীতি থেকে যুদ্ধে অংশ নেন জয়নুল আবদীন ফারুক। তৈরি পোশাক শিল্পে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে তার। জাতীয় সংসদে বিরোধী দলের চিফ হুইপের দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির প্রচার সম্পাদক।
সম্প্রতি মহান বিজয় দিবসের ৪৩তম বার্ষিকী উপলক্ষে একান্ত সাক্ষাৎকারে এই মুক্তিযোদ্ধার নানা অভিজ্ঞতা ও আক্ষেপের কথা উঠে এসেছে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলামেইলের স্টাফ করেসপন্ডেন্ট খালিদ হোসেন। তারই চুম্বক অংশ পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো-
কোন প্রেক্ষাপটে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিলেন ?
প্রেক্ষাপট তো একটাই। ছাত্রলীগ করতাম, বাংলাদেশের তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের সদস্য ছিলাম। ৬ দফার আন্দোলন দেখেছি। পশ্চিম-পূর্ব পাকিস্তানের বৈষম্য দেখেছি এবং পূর্ব পাকিস্তানে চাকরির ক্ষেত্রে যে বৈষম্য তা দেখেছি। নেতৃত্বের মুখে বা নেতাদের মুখে যা শুনেছি সেজন্য আমাকে উদ্ধুদ্ধ করেছে যে পূর্ব পাকিস্তান রাখা যাবে না, বাংলাদেশ স্বাধীন করতে হবে। তখনকার নেতৃবৃন্দের বক্তব্যে সুস্পষ্ট যে আর এ দুই পাকিস্তান এক থাকবে না। বিশেষ করে মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী, যেদিন পাকিস্তানকে আসসালামু আলাইকুম বলেছেন, সেদিন থেকে আমার মনে মধ্যে উজ্জীবিত হচ্ছিল। আমি মাওলানা ভাসানীর দল করতাম না। আওয়ামী লীগ সমর্থিত ছাত্রলীগ করতাম। সেজন্য আমি উজ্জীবিত হয়েছি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করার।
যে স্বপ্ন নিয়ে স্বাধীনতা যুদ্ধে গেছেন তার কতটুকু বাস্তবায়ন হয়েছে?
আসলে এটা, বয়স তো কম হয়নি। স্বাধীনতার হলো ৪৩ বছর, বয়সও ৬৫। ছাত্র রাজনীতি দেখেছি, আন্দোলনও দেখেছি, অনেক নেতৃবৃন্দের বক্তব্যও দেখেছি। শেরে বাংলার জীবনী পড়েছি, সোহরাওয়ার্দীর জীবনী পড়েছি। শ্রদ্ধেয় জনাব শেখ মুজিবুর রহমানের বক্তব্যও শুনেছি। সবার একটি কথাই ছিল যে দেশ স্বাধীন করলে সকল কিছুর মধ্যে গণতন্ত্রই সবার মাথার ওপর থাকবে। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে দেশ পরিচালিত হবে। কোনো বৈষম্য থাকবে না। সকল ক্ষেত্রে আমরা উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখবো। গ্রাম-গঞ্জের মানুষকে শিক্ষিত করে তুলবো। কিন্তু সেই দিকে ৪৩ বছরে কতটুকু করতে পেরেছি, আপনার চোখে কেমন লাগবে জানি না। একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে ৪৩ বছরে সকল আশা কিন্তু আমাদের পূরণ হয়নি। কিছু যে আশা পূরণ হয়নি তা নয়, হয়েছে অনেক। কিন্তু দ্যাখেন, আমি একটা উদাহরণ দিতে পারি আপনাকে যে সরকারই ক্ষমতায় আসুক, আমার বিএনপি ওদের আওয়ামী লীগ, আমার নোয়াখালী ট্রেনে যেতে এখন লাগে ৭ ঘণ্টা। আমাকে যেতে হয় আশুগঞ্জ, ভারতের গা ঘেঁষে। ৪৩ বছরের মধ্যে কি কোনো সরকার একটিবার চিন্তা করে নাই ৮০ কিলোমিটার রাস্তা সোজা করার! বলে অর্থের যোগান নাই। তাহলে হাজার কোটি টাকা চুরি হলেও যদি অর্থমন্ত্রী বলতে পারেন এটি সামান্য টাকা! তাহলে আমার মনে হয়, সে অর্থ চুরি হয়েছে, লুট হয়েছে ইদানীং, সে অর্থ দ্বারাও এই সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীনও এই ৮০ কিলোমিটার রাস্তা সোজা করতে পারতো। এটা আমার ব্যক্তিগত অভিমত। আমি কাউকে দোষারোপ করছি না একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে। আমি শুধু এইটুকু বলতে চাই। আমি স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছি এবং স্বাধীনতা যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের সংগ্রহ করার জন্য আমি সবচেয়ে বেশি কাজ আমি করেছি আমার জেলায়, নোয়াখালীতে। আমার শ্রদ্ধেয় নুরুল হক মিয়া, শ্রদ্ধেয় আব্দুল মালেক হক উকিল। খাজু মিয়া, আমার নেতা মুক্তিযুদ্ধের কমান্ডার রুহুল আমিন ভূইয়া। এদের অধীনে রাজনীতি করেছি। তাদের পা ধরে সালাম করেছি। আমি মনে করি ওনারা অন্য ভিন্ন দলের নেতা হলেও আমি তাদের শ্রদ্ধা করি। রাজনৈতিক মতভেদের কারণে স্বাধীনতার পর প্রাপ্তি কম। একদল ক্ষমতায় গেলে অন্য দল বলে কারচুপি করে গিয়েছে, আরেকটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসলে বলা হয়, বলা হয় সুষ্ঠু নির্বাচন হয়নি। প্রতিবেশী দেশ ভারত উদাহরণ নির্বাচনে হেরে গেলেও বলে আমরা তাদের সহযোগিতা করবো। কিন্তু আমার দেশে এই নিয়মটা যদি চলে আসতো তাহলে আমার উন্নতি প্রাপ্তি আরো বেশি আসতো।
জানেন কতজন মুক্তিযোদ্ধা রিকশা চালায়?স্বাধীনতা অর্জনের পর যে কম প্রাপ্তির কথা বলেছেন। মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আপনার কোনো ব্যর্থতা মনে হয় কী ?
আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রনায়ক জনাব শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে অস্ত্র জমা দিয়েছি। এখন দেশ গড়ার কাজে আছি, তখন যদি জাতির পিতা আওয়ামী লীগের বা সরকারিভাবে জাতির পিতা যাকে বলা হয়েছে তার প্রতি আমার অনেক শ্রদ্ধা আছে। কারণ আমরা নেতা-নেত্রীকে শ্রদ্ধা করতে জানি। সেদিন যদি উনি একটা লাঠি হাতে করে যেভাবে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা করেছেন, উনি পাকিস্তানে বন্দী ছিলেন। শহীদ জিয়ার নেতৃত্বে যুদ্ধ হয়েছে। শহীদ জিয়া তার পক্ষে স্বাধীনতা ঘোষণা করেছেন। এইটুকু পর্যন্ত ওই দল স্বীকার করতে জানে না। সে কারণে আমি বলি, আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বলি, মুক্তিযোদ্ধাদেরকেও তারা বিভক্ত করে রেখেছে। আজ কত মুক্তিযোদ্ধা রিকশা চালায় আপনি জানেন? আমি অনেক পেয়েছি, টাকা পাইনি। আমার আত্মতৃপ্তি আমি দেশ স্বাধীন করেছি। দেশে গণতন্ত্র আছে কি নেই, সেটির জন্য লড়াই করবো। কিন্তু আজকে যে সকল দল মিলে মিশে, যে দলই ক্ষমতায় আসুক না কেন তাকে সহযোগিতা করতো তাহলে প্রাপ্তি আরো বেশি হতো।
স্বাধীনতা বিরোধীদের নিয়ে আওয়ামী লীগ এবং আপনার দল বিএনপি যে রাজনীতি করেছে তা স্বাধীনতার চেতনার পরিপন্থি কি না?
হায়রে কপাল মন্দ, চোখ থাকিতে অন্ধ। যে প্রশ্নটা করেছেন আমি ওই জোটের সদস্য। বর্তমান জোটের জামায়াতে ইসলামীকে ইঙ্গিত করে আপনি এ কথা বলেছেন বলে আমার বিশ্বাস। মুক্তিযুদ্ধের পর দালাল আইন রহিত করেছে কারা? সত্যিকার ক্ষমা প্রদর্শন কারা করেছে? কোন সরকারের আমলে হয়েছে? এ বিষয়ে আমি বিশদ আলোচনা করতে চাইন না। কিন্তু আমি মনে করি ক্ষমাই মহত্তের লক্ষণ। আজকে আমরা বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করেছি। সত্যিকার অর্থে বুদ্ধিজীবীহীন, বুদ্ধিজীবীশূন্য একটা দেশ পরিণত করার জন্য পাকিস্তান এ চেষ্টা করেছে। নয় সেদিন ১২ ডিসেম্বর আমরা স্বাধীনতা পেতাম, সেটা আমরা পেয়েছি ১৬ ডিসেম্বর। এটার পেছনেও হয়তো কোনো রহস্য ছিল। সেজন্য আমি মনে করি প্রকৃত অর্থে যারা মানবতা বিরোধী অপরাধী তাদের বিচার হওয়া উচিৎ।
আমি বলেছি, স্বাধীনতা বিরোধীদের সঙ্গে নিয়ে একসময় আওয়ামী লীগ রাজনীতি করেছেন এখন বিএনপি করছে এটা কি স্বাধীনতার চেতনার পরিপন্থি নয়?
পরিপন্থি যদি, আগে আমার কথায় ফিরে আসেন। সব দল মিলেই যদি সহযোগিতা করতাম দেশের প্রাপ্তি আরো অনেক থাকতো। এখন বলেন আমি যাদি জামায়াতে ইসলামীকে বলি আসসালামু আলাইকুম, কালকে দেখবেন আওয়ামী লীগ তাদেরকে লুফে নিয়েছে। এ গ্যারান্টিটা কে দেবে, আপনি বলেন, আপনার এ কথা লিখতে হবে। আমি মনে করি আপনি একজন তরুণ সাংবাদিক। আমার চেয়ে বয়সে অনেক ছোট। আমার আরেক বোন আছে এখানে তার সামনে সাক্ষী রেখে বলতে চাই একথা লিখতে হবে। যে আজকে আওয়ামী লীগ বার বার বলেছে, কাদের মোল্লার ফাঁসি দেয়ার পর থেকে মানবতা বিরোধী অপরাধের বিচারের বিরোধী বিএনপি নয়। আমরা আন্তর্জাতিক মানের বিচার চেয়েছি। আজকে আপনি দেখেন তারা বলে এই যে বিচার শুরু হয়েছে, শেষ হবে, সবাইকে সাজা দেয়া হবে। জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা হবে। আজ পর্যন্ত সংসদে ১৫৩ জন, ২’শ আমি ওদিকে যেতে চাই না। সংসদে টু থার্ড মেজোরিটি। ফুল ৩৪৫ জন তারা ইনক্লুডিং জাতীয় পার্টি। তারা আজ পর্যন্ত জামায়াত ইসলামকে নিষিদ্ধ করতে পারছে? করবে না। আজকে জোট থেকে সালাম দিয়ে দিই, এটা আমাদের নির্বাচনী জোট তাদের সাথে আমাদের দলের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। সাংগঠনিক কর্মসূচি বা দলের আদর্শের অনেক মিল নেই। মিল একটাই একটা নির্বাচনী জোট। আমরা জাতীয়তাবাদী ইসলামি মূল্যবোধের শক্তিকে নিয়ে যে সরকার জিয়াউর রহমান পরিচালনা করতে চেয়েছেন তার পত্নী বেগম খালেদা জিয়াও তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। এজন্য আমি চাই হু উইল গিভ দ্য গ্যারান্টি? এটি আমার প্রশ্ন।
স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক রয়েছে, একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বিষয়টি কীভাবে দেখছেন?
আমি ১৯৯১ সালে ঘরোয়া একটা পরিবেশে বলেছিলাম সকলে মিলে যখন গণতান্ত্রিক পদ্ধতি চর্চা শুরু করেছিল। দুই নেত্রীর সেই দুর্লভ ছবি আপনাদের কাছে আছে। দুই নেত্রী লবিতে বসে সংসদীয় গণতন্ত্রের পক্ষে কথা বলেছিল। তখন আমার মনে পড়ে একটা কথা বলেছিলাম, দেশ স্বাধীন করেছি, সকল দলে মিলে মিশে কাজ করবো, সকলকে প্রাপ্তি দেবো। দেশের মানুষকে প্রাপ্তি দেবো। সেদিকে না গিয়ে অন্যদিকে আমরা কলহের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। যিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন এই কথাটি যারা স্বীকার করতে পারে না তাহলে আমরা কী করে বলতে পারি যিনি যুদ্ধের সাথে কোনো সম্পর্ক ছিল না, উনি ওই ভিন্ন একটা দেশে আটক ছিলেন, বিদেশে অন্য একটা দেশে বন্দী ছিলেন যুদ্ধের সাথে উনার সম্পর্ক ছিল! আমরা তো একথা বলতে চাই না। আমরা তো চাই আমার নেতা শহীদ জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণার কথা স্বীকার করা হোক। তখন আর এ সমালোচনায় যাবো না। আপনি দ্যাখেন এ সংসদে কত কটূক্তি তারা করেছে। কিন্তু আমার নেত্রীর সামনে আমরা শ্রদ্ধেয় শেখ মুজিবুর রহমান সাহেবকে নিয়ে আমরা কোনো কটূক্তি করিনি। আমি তখন বলেছিলাম, আসুন আমরা শেখ মুজিবুর রহমান, শেখ মুজিবুর রহমানের জায়গায় থাকুক। মাওলানা ভাসানী, মাওলানা ভাসানীর জায়গায় থাকুক। জিয়াউর রহমান, জিয়াউর রহমানের স্থানে থাকুক। কারো কোনো সমালোচনার দরকার নেই। যার স্থান ইতিহাস বিচার করবে। কে কোনখানের লোক।
রাজনীতিতে বঙ্গবন্ধুকে ধারণ করতে বিএনপি ব্যর্থ হয়েছে কি না?
না, না কী আশ্চর্য কথা! আমি তো একটা কথা বলি, যে যার স্থানে আছে মর্যাদা সবার আমার দেয়া উচিৎ। স্বীকার করা অস্বীকার করার ব্যাপার না। তারা স্বাধীনতার ঘোষণা স্বীকার করেন না। কিন্তু আমরা বলেছি যে জিয়াউর রহমান, জিয়াউর রহমানের স্থানে থাকুক। শেখ মুজিবুর রহমান সাহেব, শেখ মুজিবুর রহমানের স্থানে থাকুক। মাওলানা ভাসানী মাওলানা ভাসানীর স্থানে থাকুক। গ্রহণ করা আর না করা নয়, তিন জনের কোনো সমালোচনা হবে না। তখন মানুষ সবাই বুঝে ফেলবে। সবাই সবাইকে গ্রহণ করে নিয়েছে, আমি মনে করি।
বঙ্গবন্ধু এবং জিয়াউর রহমানকে নিয়ে রাজনীতিতে যে সমালোচনা হচ্ছে এ নিয়ে আপনার মন্তব্য কী?
শোনেন, আমি একজন বিজ্ঞ রাজনীতিবীদ নই, কর্মী। আমার অভিজ্ঞতার আলোকে আমি এই দুইজন নেতাকে নিয়ে কোনো কথা বলতে চাই না। কিন্তু কথা বলি তখনি, যখন আমার নেতা সম্পর্কে কটূক্তি করা হয়। যখন আমার নেতাকে স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে স্বীকার করে না, যখন আমার নেতাকে পাকিস্তানের চর বলা হয়। যেমন বলা শুরু করেছে একে খন্দকারকে, যেমন বলা শুরু করেছে কাদের সিদ্দিকীকে। আবার ইদানীং যেমন সমালোচনা শুরু হয়েছে শ্রদ্ধেয় নেতা মরহুম তাজউদ্দিন আহমেদকে নিয়ে। এসব বিষয়ে কোন দিন তারা কী বলে ফেলে তা আল্লাহ রাব্বুল আলামিন জানেন। অতএব এ বিষয়ে কমেন্ট করতে রাজি না। তথ্যসূত্রঃ বাংলামেইল