মুক্তিযোদ্ধারা জীবনবাজী রেখে যুদ্ধ না করলে আজ স্বাধীন দেশে বসবাস করতে পারতাম না
নবীগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা সভায় এমপি মুমিন চৌধুরী
উত্তম কুমার পাল হিমেল,নবীগঞ্জ থেকেঃ নবীগঞ্জ-বাহুবল আসনের সংসদ সদস্য জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ন সাংগঠনিক সম্পাদক এম এ মুনিম চৌধুরী বাবু বলেছেন মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ট সন্তান। সেদিন যদি আপনারা পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ না করতেন তাহলে আজ আমরা এখানে দাড়িয়ে কথা বলতে পারতাম না। আপনারা যুদ্ধ করেছেন বলেই আমরা পেয়েছি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট বাংলাদেশ । ৩০ লক্ষ শহীদ আর দু’লক্ষ মা বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি লাল সবুজের পতাকা। বর্তমান সরকার দেশের যুগান্তকারী উন্নয়ন সাধন করেছেন। দেশকে রাজাকার মুক্ত করতে হলে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছে। তিনি মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সন্তানদের সব ধরণের সহযোগিতা করার আশ্বাস প্রদান করেন। তিনি আরো বলেন ইনাতগঞ্জ এলাকার মুক্তিযোদ্ধা শহীদ সান উল্লা ৭১ সালে পাক হানাদার বাহিনী গুলি করে হত্যা করে। তাহার পরিবার আজও শহীদ পরিবার হিসাবে তালিকাভূক্ত হতে পারেননি। এ ব্যাপারে তিনি দ্রুততার সাথে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য থানা কমান্ডের নেতৃবৃন্দের প্রতি আহবান জানান।
তিনি গত মঙ্গলবার দুপরে মহান বিজয় দিবস ২০১৪ উদযাপন উপলক্ষে নবীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা ও ‘‘ সুখি, সমৃৃদ্ব, ক্ষুধা ও দারিদ্র মুক্ত বাংলাদেশ গঠনের লক্ষে ডিজিটাল প্রযুক্তির সর্বজনীন ব্যবহার’’ এবং মুক্তিযোদ্ধা শীর্ষক সিম্পজিয়াম ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ লুৎফর রহমানের সভাপতিত্বে ও মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ফাহমিদা ইয়াছমিনের পরিচালনায় উক্ত অনুষ্টানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডঃ আলমগীর চৌধুরী, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কর্মান্ডার নুর উদ্দিন বীর প্রতিক, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ইমদাদুর রহমান মুকুল, আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক সাইফুল জাহান চৌধুরী,জাসদের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রউফ, উপজেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক ডাঃ শাহ আবুল খায়ের, সদস্য সচিব মাহমুদ চৌধুরী, নবীগঞ্জ থানার ওসি মোঃ লিয়াকত আলী, উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক এডঃ গতি গোবিন্দ দাশ,কাজী ওবায়দুল কাদের হেলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাাক আহমেদ মিলু,রবীন্দ্র কুমার পাল, নবীগঞ্জ প্রেসকাবের সাধারন সম্পাদক প্রভাষক উত্তম কুমার পাল হিমেল প্রমুখ। এতে অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন ইউপি চেয়ারম্যান এডঃ জাবেদ আলী,মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড সদস্য সচিব ও উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা রতœদীপ দাশ রাজু প্রমূখ। বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় উপজেলা চেয়ারম্যান আলমগীর চৌধুরী বলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর নেতৃত্বে আপনারা সেদিন পাক হানাদার বাহিনীর যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছেন। বাঙ্গালী জাতি মুক্তিযোদ্ধাদের ঋন কোন দিন শোধ করতে পারবেনা। তিনি বলেন যারা স্বাধীনতা যুদ্ধে বিরোধীতা করেছে,এসব রাজাকার আল বদর আল সামসদের হাতে বিএনপি নেত্রী জাতীয় পতাকা তুলে দিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি অবমাননা করেছেন। মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এ দেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু হয়েছে। যত চাপই আসুক সকল যুদ্ধাপরাধীর বিচার কাজ সম্পন্ন হবেই। তিনি আরো বলেন ইনাতগঞ্জের এক মাত্র শহীদ মুক্তিযোদ্ধা শহীদ সান উল্লার পরিবার আজও শহীদের তালিকা ভূক্ত হতে পারেনি। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আহবান জানান । পরে মুক্তিযুদ্ধা ও শহীদ পরিবারের মধ্যে শাড়ি ও লুঙ্গী বিতরন করা হয়। এদিন সকালে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ভোরে গণকবরে পুস্তক অর্পন, নবীগঞ্জ জে,কে হাই স্কুল মাঠে কুচকাওয়াজ,স্কুল চাত্র-ছাত্রীদের ক্রীড়া প্রতিযোগীতা,ভদ্রলোকের হাটা ও পুরস্কার বিতরন করা হয়।